গল্প

আগুনের আলো

সেই ব্রিটিশ আমলের একজন শিক্ষিত, চাকরিজীবীর কন্যা শারমীন বেগম। একনিষ্ঠ, সৎ স্কুলমাস্টার স্বামীর আদর্শকে সম্মান জানাতেই নির্বিবাদে গ্রামে রয়ে গেলেন কোন ধরনের উচ্চবাচ্য ছাড়া। অথচ তাঁর ভাই-বোনেরা রাজধানীতে গাড়ি-বাড়ি কিনে

লাং

(১) কৃষি প্রধান গ্রাম। আছে বড় গেরস্থ। বড় গেরস্থের বড় বাড়ি। গ্রামের বড় গেরস্থ বাড়ি গুলোর মধ্যে চাপা হিংসে কাজ করে। কে কার চেয়ে বেশি ফসল মাড়াবে সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত

ফড়িং জীবন

ইদানীং অদ্ভুত কিছু স্বপ্ন দেখে হেলাল। রাতে ঘুম হয় না। অনেকগুলো গাঙপাখি, গায়ের রঙ হলুদ, ঝাঁক বেঁধে হেলালের দিকে ধেয়ে আসতে থাকে। অদ্ভুত তাদের মুখভঙ্গি। বিচিত্র তাদের শব্দ। ঘুম ভেঙে

অযাচিত এবং কারো প্রথম ইচ্ছে

মোটা কাঠটা ঠিক কোন গাছের ছিল মনে হয় কেউই তা বলতে পারবে না। কিন্তু কোনো মজবুত কাঠ যে ওটা অবশ্যই ছিল সেটা একেবারে হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছিল মানিক। আর ঐ

সৌজন্যের শিশু

১. অফিসের মোভমেন্ট খাতায় ডেভিড লেখে, গুলিয়াখালী। এখন অক্টোবর। কার্তিক মাস। শনিবার। আজ অফিস খোলার দিন। শহর থেকে বাসে আসতে আসতে দেখেছে, ধানক্ষেতের আলে সারি সারি সীম গাছ। সাদা আর

একটি শুক সংবাদ

‘একটি শুক সংবাদ’, ‘একটি শুক সংবাদ…’ বাক্যটা রিপিট হওয়ার আগেই আমার কানে আসে। কান খাড়া করি, সুখ সংবাদের কথাই তো বলছে। মনটা আনন্দে নেচে উঠলো। নতুন এলাকা, নতুন কর্মস্থলের দিকে

প্রতিষেধক

কিতাব্বে কথা বলতে বলতে নানি লক্ষ্য করেন–নাতনি অন্যমনস্ক হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘কিরে আতিয়া’ তুই কিছু শুনছিস না? হ্যাঁ শুনছি, তুমি বলে যাও। চমক ভেঙে আতিয়া বেগম বলেন। হ্যাঁ, মন

যাইফুনিয়াম– ২৬৭

সকালবেলা ড্রাইভওয়ে থেকে গাড়ি বের করার সময় মুন দেখলো বাসার ভেতর থেকে সাইফ বের হয়ে এসে তাকে ডাকছে।  মুন গাড়িটা একটু পিছিয়ে জানালার কাঁচ নামালো। সে না রেগে যেতে চেষ্টা

ঘোলাটে চাঁদের আলোয়

মধ্যরাতকে সঙ্গী করে হেঁটে চলেছে নূরা পাগলা। চোখে বুনো উন্মজ্জন জাগিয়ে চরাচরের গভীর ঘুমকে তাচ্ছিল্য করে, তার পথচলা অজানা গন্তব্যে। মাথার উপর ঘোলা চাঁদ, পথের পাশের অচেনা বনফুলের চাহনীকে অবজ্ঞা

হরিজন

গগণ সাধুর ঘরে ঢুঁকে মাথার উপর থেকে গামছাটা সরালো। তারপর সেটা দিয়ে গা মুছলো। গত দুদিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। আষাঢ় না আসতেই বৃষ্টির অত্যাচার শুরু হয়েছে এবার। হরিজন পল্লীটা

গত ৩ মাসের...