কবিতা

পূজারিণী

এত দিনে অবেলায়- প্রিয়তম! ধূলি-অন্ধ ঘূর্ণি সম দিবাযামী যবে আমি নেচে ফিরি র”ধিরাক্ত মরণ-খেলায়- এ দিনে অ-বেলায় জানিলাম, আমি তোমা’ জন্মে জন্মে চিনি। পূজারিণী! ঐ কন্ঠ, ও-কপোত- কাঁদানো রাগিণী, ঐ

আমাদের অভ্যন্তরে নাজিল হোক প্রেম

মুখের বিজ্ঞাপন তোমাকে বিভ্রান্ত করবে, মানুষের মন কিন্তু লোহালক্কড়ে ভরপুর; অতএব শুদ্ধতার খোঁজে তুমি ঢুকে পড়বে যন্ত্রাংশের শরীরে, ওরা তোমার জ্যুসে সন্তরপণে মিশিয়ে দেবে নিদ্রাজনিত সিরাপ। অতঃপর যে হাত তোমার

ডিভোর্স

আমি কেন বিড়াল পুষি, তুমি কেন ইঁদুর– এ নিয়ে বহু তর্কাতর্কির পর একদিন ডিভোর্স হলো। তুমি চুপচাপ ছায়া রেখে চলে গেলে আমি চুপচাপ ছায়া বুকে ঘুমিয়ে গেলাম। এদিকে তোমার ইঁদুর

চশমা

সবকটা চশমা ভেঙে ফেলার পর, চোখ দুটো ছুঁড়ে দেবো গঙ্গায় (কফিন থেকে ভেসে আসছে চুমু ও হাততালি) তারপর একটা লাফ দী র্ঘ লা ফ একটা তারিখ এসে খেয়ে যাবে অন্য

মন-শরীরী

জীর্ণ যানের মোহভালে, খাঁচাখানা এগিয়ে চলে। চাঁদ জোছনে অমল শ্রবণ, মনডালিতে অবগাহন, সাত মহলা কুঠুরিতে নিত্য দিনযাপন। কামসাগরে মন ডুবিলে খ্যাপা গা ঝাড়া দেয় “গুরু” বলে, সাধনপথে পূর্ণশশী, দেখা যাবে

যোগিনী অক্ষম

বাজুবন্ধ খুলে যায়নি যে প্রহেলিকার, বসন্তের রঙ ফিকে করা আভরণ তৃণা শূন্যতা জড়িয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে তারও জানার ছিলো ঢের: দেবতা যদি সবার হয়, তবে উত্তর করতে পারো– পূজারি কেন

ছাতিমফুল ও দাঁড়কাক

পাঁজরে পোষা দাঁড়কাক– ছাতিমফুলের গন্ধে বিমূঢ় খুঁড়ে ফেলে অন্তরাত্মা ছাতিমগাছের নিচে দাঁড়াতেই দাঁড়কাক মেলে দেয় ডানা, আর ফুলের শরীর গেঁথে যায় পালকে পালকের ভাঁজে ভাঁজে ছাতিমফুলের মাদল বাজে…

শূন্যের ভিতরে শূন্য

জলের ভেতরে জল; কাছে এসে গান গায় তৃষা। দূরের আগুনে পোড়ে– জলের জ্বালাপোড়া শরীর কেন তার দুঃখের কপাল। সাথে পোড়ে চৈতালী দুপুর। মেঘের বিকেল নিয়ে গান করে বিনিদ্র বাতাস। ঘুমহীন

পাসিং শো

(কোনোদিন চোখে দেখিনি এই পাসিং শো নামের সিগারেটটা, অনেক আগে ছিলো, কিন্তু নামটা আজও বুক ফাটিয়ে দেয়) এক. বিড়িটা নিভে যাচ্ছে বারবার, বারবার, সদ্য গ্যাসভরা লাইটার জ্বেলে ধরাতে হচ্ছে। এদিকে

যে খায় স্বপ্নেও খায়

শাহজাহান পারভেজ রনি’র কবিতা যে খায় স্বপ্নেও খায় গত রাতে তারা দা আসলেন। মানে, তারাপদ রায়। এসে বললেন– হ্যাঁ রে চুঁই, বলতে পারিস মাল খেলে কী হয়? প্রশ্নটা শুনে আমার

গত ৩ মাসের...