গল্প

বার কুইন মৌমিতা

তলপেটে ব্যথায় ছিড়ে যাচ্ছে মৌমিতার। বারবার ন্যাপকিন পাল্টাতে হচ্ছে তার। পাশের বাসার ভাবীর কথা অনুযায়ী গরম দুধ খাচ্ছে, বাথরুমে গেলে গরম পানি ব্যবহার করছে কিন্তু তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না।

ফসলের মৌসুম

দাঁতে দাঁত পিষে তিনি বিনোদের সব কথা হজম করলেন, মুখে কিচ্ছুটি বললেন না, টুঁ শব্দটিও করলেন না। মনে মনে শুধু বললেন, ‘শালা রামছাগল, একটা সময় কতো নাকানিচুবানি তোরে খাওয়াইছি। আর

ভুলবিদ্যার দাবাখেলায় সিংহ রাজার কেশর

তখন উত্তপ্ত ও উত্থিত পৃথিবীর বাসিন্দা আমি! বনের ভেতর ছুটছি তো ছুটছি! পায়ের তলায় শুকনো শালপাতার মর্মর শব্দে মিলিয়ে যাচ্ছে চাঁপার কণ্ঠস্বর! ….সৌরোষ, যাসনে, দাঁড়া বলছি! আমি দাঁড়াতে পারছি না,

গোলাপসম

আমার চিলেকোঠার ঘরের পাশেই একখণ্ড ছাদ। তার রেলিং ধরে উঁকি দিলে প্রতিদিন ঠিক তিনটা কুড়ি মিনিটে একটা মধ্য বয়সী ছেলেকে দেখি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে। ছেলেটা একমনে যেন গাড়ির আসা-যাওয়া দেখে।

অতিপ্রাকৃত গল্পঃ অপার্থিব কাশি

রাত বারোটা। গ্রামে এই সময়ে গভীর রাত। আজ‌ও ঠিক ঘুম আসছে না। তাই খুব পুরোনো একটা ডাইরি নিয়ে বসলাম। লিখতে নয় পড়তে। বাড়ির পুরোনো ট্রাঙ্ক ঘেঁটে ডাইরিটা পেয়েছি। অনেকদিন লেখা

স্বপ্ন যাপন

বাপ সনাই বাগদি বলতো, “বুঝলি বাপ,আমরা হলাম গে জলের মানুষ। জলের সাথেই আমাগের সম্পক্ক। জল রে যত ভালোবাসপি জল তোরে ততই দেবে। আর এট্টা কথা। জাল-নৌকো নে’ জলে নামলিই খালি

পথ

তুই ছেড়ে দিলি কেন? কেন দিলি বল! আরে এ শহরে আমরা এখন রাজনীতি করি। আমরা লিডার। আমাদের এক ডাকে সারা শহর জুড়ে হাজার নেতা বের হয়ে রাজপথ দখল করবে। আর

সৎকার

বাংলাদেশের ছোট্ট একটি জেলা মাগুরা। নবগঙ্গা বিধৌত অসম্ভব সুন্দর জেলা। মাগুরা জেলার ছোট্ট একটি সবুজে ঘেরা ছায়া ঢাকা গ্রাম বাগডাঙা। ওয়াপদা-মাগুরা হাইওয়ের পাশে রামনগর বাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে হিন্দু

প্রেমের গপ্পো

মাগো। তুমি এতো মজা করে কথা বলতে পারো। তারপর? মেয়েটা তোমাকে কি বললো? বুলার হাসি আর থামে না, স্বামীর প্রাক-বিবাহ প্রেমের গল্প শোনে আর হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে, খিলখিল এবং

যে জীবন কুকুরের বিড়ালের

ভার্চুয়াল উঠানে ভেসে বেরানো ছোটো এই গল্পটি আপনি নিশ্চয়ই পড়ে থাকবেন। আনসার গল্পটা পড়ার পর তার শত শত গ্রাহককে শুনিয়েছেন। কাজের ফাঁকে সামান্য অবসর পেলেই বলতে শুরু করেন– স্বর্গের দরজায়

গত ৩ মাসের...