গল্প

ভালোবাসা – শহীদুল জহির

বাবুপুরা বস্তির গলির মুখে আসতেই মওলার চোখে পড়ে গেল হাফিজদ্দি। কি রে হাফিজদ্দি, এইডা কইথন আনলি? চিৎকার করল মওলা। মওলা হাফিজুদ্দির প্রতিবেশী। কিঞ্চিত শীর্ণ আর লম্বাটে আদলের চেহারা। আঁকড়া দেবদারুর

পিঁপড়া ও ঘাসফড়িং

গ্রীষ্মের এক চমৎকার দিনে ঘাসফড়িং তার ভায়োলিনটি নিয়ে গান গাইছিলো, নাচছিলো আর খেলা করছিলো মনের আনন্দে। হঠাৎ সে দেখতে পেলো একটা পিঁপড়া অনেক কষ্ট করে খাবার বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঘাসফড়িং

আঙ্গুর ফল টক

একদিন এক ক্ষুধার্ত শেয়াল দেখতে পেলো গাছের ডাল বেয়ে আঙ্গুরের লতা উপরে উঠে গেছে আর সেখান থেকে থোকা থোকা পাকা পাকা আঙ্গুর ঝুলছে। লোভে শেয়ালের জিভে জল এলো। সে লাফিয়ে

খুনী রহস্য

নীলা এই মুহুর্তে বসে আছে থানার কর্তব্যরত অফিসারের সামনে। নীলা এসেছে ১ বছর আগে তার মায়ের খুনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে। নীলার অভিযোগ শোনার পর অফিসার বললেন– আপনি আরো একবার ভেবে

দুষ্টু চকলেট

আমি স্বর্ণার হোম টিউটর ছিলাম। কোন এক বিকেলে যখন টিউশনি করছিলাম দেখি আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট ফুটফুটে একটা মেয়ে। সম্পর্কে আমার ছাত্রী স্বর্ণার ভাগ্নি। হাতে চকলেট নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।

এক এবং অনেক মোত্তালেব সাহেব

শাহাবাগ জাদুঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আবির ভাবতে থাকে সত্যিই যদি কোনো যাদু হতো আমার সাথে। নতুন কোনো রঙ, রাঙিয়ে দিতো আমার জীবন। আবির শব্দের অর্থ তো সুবাস। তবে কেনো আমার জীবনটা

অনিলা

তিনদিন হলো কান্তনগর এসেছি, অনিলার মুখোমুখি হবো বলে। কিন্তু আসবার পর উচ্ছ্বাসটা ডুবে গেছে। ভাবতে ভাবতে বিদায়ের সময় হয়ে এলো। সামনে দাাঁড়াবার সাহস হলো না এই কদিনে। পরিশেষে, শেষবারের মতো

স্মৃতিভ্রম

৩ ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে গেছে। শুয়ে ছিলাম নাকি আধশোয়া ছিলাম আমার তেমন মনে নেই। যতটুকু মনে পড়ে, দরজা খোলাই ছিলো। আমি বাইরে উঠোনের দিকে তাকিয়ে আছি। ঘরের মধ্যে মেয়ে অবয়বের

চাহিদা – মাহমুদ আব্দুল্লাহ

একা একা দিন আর কাটে না মৌমির। মগবাজারের ভেতরের দিকে ছোট্ট এক চিলতে ফ্ল্যাটে করবার মত কাজ আর কতই বা থাকে। সকালের দিকে সোহেলের অফিসে যাওয়ার বাহানায় নাশতা বানাতেই যা

কিছু কিছু ইতিহাস ভাসতে থাকে জলে

বারান্দায় বসে শীতের সকালের স্নিগ্ধ রোদ পোহাতে মন্দ লাগে না। খুব ভালোই লাগে। এতো ভালো লাগে অনেকে আবার প্রেমে পড়ে যায় সকালের। আফরা হয়তো প্রেমেই পড়ে গেছে। নয়তো প্রতিদিন সকালে

গত ৩ মাসের...