গল্প

ভাঙনের দিন

জ্যৈষ্ঠ মাসের এক বিকেলে সখীপুর বাজারে জহুরুল ইসলাম নতুন রিকশা কিনেছে। রঙিন হুডজুড়ে আঁকা গাছপালা, ফুল আর লতাপাতার ছবি। খরচ কম পড়ায় জহুরুল এই রিকশা কিনে নিয়েছে বুদ্ধি করে। গত

বাঘবন্দী – মনোজিৎকুমার দাস

গ্রামের ছেলে রমণীমোহন। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীতে বোশেখ মাসে হাঁটু জল থাকলেও কিন্তু জোয়ারের সময় অল্পস্বল্প জল ফুঁলে ওঠে। তা দূর থেকে ঠাহর করা না গেলেও নদীর

বিষয়, মিকিমাউস

প্রাককথন সকালে, ডিজিটাল ঘড়ি দশ ঘটিকার সিগন্যাল দিলে মান্না মুমিন মিকিমাউস হয়ে স্টোর রুম থেকে বাহির হয়ে আসে। ততোক্ষণে ডিজিটাল প্লাসের সকল চাকুরে যদিও অফিসে যোগ দিয়ে পারে নাই কিন্তু

ঝড়

ভোরের বাতাসে যখন দু’চোখের পাতা একটু বুজে আসছে, তখনই হঠাৎ “বাবা” ডাক শুনে চমকে ওঠে শম্ভুনাথ। চোখ মেলে অস্পষ্ট আলোয় দেখে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেয়ে চামেলি।

সে জীবন মানবের

হাসমত উল্লাহ বলেন,‘বাপ তোর কাছে জীবনে কিছু চাইনি, আজ হামার একটা কতা রাখ। তোর কোনো কামে হামি বাধা দিমুনা, তুই খালি একটা বিয়া কর।’

রুবি আপার চাবি

আড্ডা ছেড়ে দু’জন আস্তে করে কেটে পড়ে। রিক্সা নিয়ে চলে আসে আধা কিলোমিটার দূরে এক এপার্টমেন্টে। দরজা খুলে দেন যে ভদ্রমহিলা– রুবি আপা তার নাম।

একটি ঘুড়ি ও বন্ধুত্বের গল্প

পরের দিন সকালে কুমুর ঘুম ভাঙ্গলো। ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির কাউকে কিছু না বলে চলে গেল মাঠে। কিছুক্ষণ পর শুরু হলো প্রতিদিনের মতো ঘুড়ি উড়ানো।

ছায়ামানব

কাঠফাটা রোদ্দুরে দুপুরের পার্কে এখন মহাশূন্যতা– লোকজন নেই বললেই চলে। যে দু’চারজন এখানে সেখানে বসে আছে তারাও ঘেমে নেয়ে একাকার, ধুকছে শুধু। একটা দুটো কুকুর আধমরা হয়ে শুয়ে শুয়ে হাফাচ্ছে

কীর্তনখোলার কীর্তক

খটখট করে টিনের দরজাতে অস্বাভাবিক বড় আর খ্যাংরাকাঠির ন্যায় নোংরা নখ দিয়ে নক করতেই একটা ধবধবে সাদা বেড়াল বেরুলো। বেড়াল বেরিয়ে, বেড়াল ডাস্টবিনের ওপরে দাঁড়িয়ে, বেড়াল গোল দুটো চোখ পাকিয়ে

নষ্টনীড়

প্রথম পরিচ্ছেদ   ভূপতির কাজ করিবার কোনো দরকার ছিল না। তাঁহার টাকা যথেষ্ট ছিল, এবং দেশটাও গরম। কিন্তু গ্রহবশত তিনি কাজের লোক হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এইজন্য তাঁহাকে একটা ইংরেজি খবরের

গত ৩ মাসের...