গল্প

শূন্যতা – রুমান হাফিজ

ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে খোরশেদের কন্ঠ। – কিরে কই তুই? – এইতো বাসায়, আর তুই? – আমি তো পুরবী গেইটে দাঁড়িয়ে আছি। তুই আসতে পারবি, চা খাবো। – না

সময়ের প্রয়োজনে

কিছুদিন আগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অগ্রবর্তী ঘাটিতে গিয়েছিলাম। ক্যাম্প কমান্ডার ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। সেই ব্যস্ততার মুহূর্তে আমার দিকে একটা খাতা এগিয়ে দিয়ে বললেন, আপনি বসুন। এই খাতাটা পড়ুন

দাঙ্গা – সোমেন চন্দ

লোকটি খুব তাড়াতাড়ি পল্টনের মাঠ পার হচ্ছিল। বোধ হয় ভেবেছিল, লেভেল ক্রসিং-এর কাছ দিয়ে রেলওয়ে ইয়ার্ড পড়ে নিরাপদে নাজিরাবাজার চলে যাবে। তাহার হাতের কাছে বা কিছু দূরে একটা লোকও দেখা

সবুজ মানুষ – সত্যজিৎ রায়

আমি যার কথা লিখতে যাচ্ছি তার সঙ্গে সবুজ মানুষের কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, তা আমার সঠিক জানা নেই। সে নিজে পৃথিবীরই মানুষ, এবং আমারই একজন বিশিষ্ট বন্ধু— স্থাানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের

জোঁক

সেদ্ধ মিষ্টি আলুর কয়েক টুকরো পেটে জামিন দেয় ওসমান। ভাতের অভাবে অন্য কিছু দিয়ে উদরপূর্তির নাম চাষী-মজুরের ভাষায় পেটে জামিন দেয়া। চাল যখন দুর্মূল্য তখন এ ছাড়া উপায় কি?ওসমান হুঁক্কা

ফিরিয়ে দেবার সময়

১. তার তীব্র চাউনি আমাকে ভীত, সম্ভস্ত করে ফেলে। ঝড়ো মেষ তছনছ করে ফেলে পরিপার্শ্ব। আমি বুঝে উঠতে পারিনা কি এমন অন্যায় আমার। আমার অন্যায় ছিলো এটুকুই। দীর্ঘ দিন তাকে

প্রতিশোধ

শিপলু আমার ভাই। ও অবশ্য তা-ই জানে। আমাদের দুজনেরই পঁচিশ ছুঁই ছুঁই বয়স। এ বয়সে আমরা সারাক্ষণ খুনসুঁটি আর হুটোপুটি করে কাটাই। কিন্তু কেউ কাউকে ছেড়ে থাকতে পারি না। খেতে

ক্রোধ

সবে শীত পেরিয়ে বসন্ত এসেছে। নব বসন্তের আমেজে মত্ত রয়েছে সবকিছু। এমনি বসন্তমত্ত বিকেলের স্নিগ্ধ রোদ মেখে শহরের বড় পাকা রাস্তার ফুটপাথ ধরে এগিয়ে চলছে মেহের। নব বসন্তে পাখিরা কোলাহল

রিলিফ ওয়ার্ক – আবুল মনসুর আহমেদ

বন্যা । সারা দেশ ভাসিয়া গিয়াছে। গ্রামকে গ্রাম ধুধু করিতেছে। বিস্তীর্ণ জলরাশির কোথাও কোথাও ঘরের চাল ও বাশের ঝাড়ের ডগা জাগাইয়া লোকালয়ের অস্তিত্ব ঘোষণা করিতেছে। এই বিস্তীর্ণ জলরাশির মধ্যে মৃত্তিকার

দুধভাতে উৎপাত

একটু বেলা হলে বৃষ্টি ধরে এলো। তবে আবুল মাস্টারের উত্তরপাড়ার জমিতে পাট কাটা শুরু হয়েছে, শালার মাস্টার আজ আসবে না। ইস্কুলে গেলে জুত করে ভেলায় চাপা যায়। ইস্কুলের নিচে এবাদত

গত ৩ মাসের...