গল্প

নিস্তব্ধ পাড়ার ঘুম ভাঙালো লরির চাকার বিশ্রী আওয়াজটা। ভোর হবে হবে সবে। হুড়মুড় করে বিছানা ছেড়ে উঠলাম। দোতলার ব্যালকনি থেকে উঁকি দিতেই দেখি, ইটভর্তি দৈত্যাকার লরিটা নির্মলদার ভিটের সামনে। পঁচিশটা

পেঁয়াজ আর রসুনের মরশুমে লালপুর হাটের চারপাশের গ্রামগুলোতেও পেঁয়াজ রসুনের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। হাটের দুমাইল দূর থেকেও বাতাসে কাঁচা পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধটা বেপারিদের নাকে এসে লাগে। গন্ধটা তখন আর শুধু

দু ঘন্টা ধরে অঝোরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। রবীনবাবু ঘড়ির দিকে তাকাতে প্রমিলা বলল, তুমি এত চিন্তা কর না তো! যাও খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়। কী করে ঘুমব? রাত ১০টা বাজতে

মাঘ মাসের মাঝামাঝি ইজাজ যখন বাড়িতে ফিরলো, একা ফিরলো না। গায়ে চাদর জড়ানো ঘোমটা সমেত একজন নারীও ঢুকলো তার পিছুপিছু। ঘন কুয়াশার মধ্যে গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে আসার সময় যে দু-চারজনের

লেখক সম্পর্কে: জন্ম ৪ অক্টোবর ১৯৭৪, ঢাকায়। বাবা মো. জাকারিয়া, মা মাহমুদা বেগম-এর চার সন্তানের মধ্যে তিনি প্রথম। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে স্মৃতিবিজড়িত দুরন্তপনায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে। পেশায় প্রসূতি ও

অনেকদিনের দুশ্চিন্তাটা ইদানিং বেড়েই চলেছে ইউনুছের বউয়ের। কৃষকের বউ সে। সুখের সংসার। পরের ক্ষেতে কাজ করে যা রোজগার করে তা দিয়ে বুদ্ধির জোরে সংসারটা ভালোই চালায় ইউনুছের বউ লতা। সংসারে

আমি কখনো ভুলেও সে বাড়িতে পা মাড়াতাম না, যদি কুকুরের লাশ নিয়ে এভাবে চিৎকার চ্যাঁচামেচি না করতো পাড়ার ছেলে মেয়েরা, হৈ হুল্লোড়ে মেতে না উঠতো প্রতিবেশী চাঁন মিয়ার বউ মোছাম্মদ

আমার ভবিষ্যতের ভাবনায় গ্রামের মানুষের কৌতুহলের সীমানা অনেক বড় ছিল। তারা প্রায়ই আমাকে নিয়ে অতিবাস্তবপ্রসূত বাণী নিসৃত করত। বড় হয়ে ডাক্তার হবো, কেউবা বলত ইঞ্জিনিয়ার, আবার যারা একটু বোদ্ধা ছিলেন

১. শ্মশানে গেলাম ৫ বন্ধু মিলে, রাতের তৃতীয় প্রহর শেষ হওয়ার কিছু আগেই ফিরে এলাম, তবে একা! গিয়েছিলাম খালি পেটে, ফিরে এলাম ভরাপেটে। অনেকদিন পর টাটকা মানুষের রক্ত মাংস খেলাম।