গল্প

জব্বার সাহেব একটি আর্জেন্টিনার পতাকা কিনেছেন। দৈর্ঘ্যে পনেরো হাত প্রস্থে তিন হাত। যদিও আর্জেন্টিনার পতাকার অনুপাত ৯ঃ১৪ হবার কথা, তবু সেদিকে তার ভ্রুক্ষেপ নেই। বিশ্বকাপ বলে কথা। অফিসের সেরা আর্জেন্টিনার

ড্রেসিং টেবিলের আয়নার উপরে কোণায় এক টুকরো সমান ভাঙা। মারুফা খয়েরি রঙের টাঙাইল শাড়ি পড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে টুলে বসে আয়নায় নিজেকে অবলোকন করছে। কাল কীভাবে ছেলের সামনে গিয়ে বসবে

প্রচন্ড শীতের সকাল। রাস্তার পাশের ডাস্টবিন। খাবার খুটে খাচ্ছে ওরা দুই ভাইবোন, সেলিম আর কুলসুম। বয়স কতইবা হবে, ভাইয়ের দশ, বোনের বারো কি তেরো। বোন বলে ওঠে— ভাই দেখ মুরগির

সেবার বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মাকে নিয়ে লেখা আমাদের ম্যাগাজিনের  একটি ফিচার দেশে বিদেশে বিস্তর আলোড়ন জাগিয়েছিল। ‘বিধবা মায়ের অদ্ভুত ব্যাংক’ শিরোনামের ফিচারটি অধিকাংশ পাঠক নন্দিত হয় মূলত শিরোনামের জন্য,

ভগ্নপ্রায় শিলালিপিতে বিবর্ণ রক্ত; কাঁঠফাটা রোদে কাকের কা-কা ব্যঞ্জণায় নিথর প্রাণ; আর উদাসী ঘুঘুর কণ্ঠে ধ্বনীত হয় বিরহের তানপুরা- তানপুরার ওই সুরে আসমান জমিন যেনো একাকার, থেমে যেতে চায় জীবনের

হেলেনা দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে খাঁচায় বন্দি পাখির মতো। দৃষ্টি প্রধান ফটকের সামনে উত্তর-দক্ষিণ সড়কে। এটাকে ঠিক সড়ক বলা চলে না। তবু অন্যান্য গলিপথের তুলনায় এটা একটু প্রশস্ত। হেলেনাকে এখানে

মোবাইলের সুইচ অন করতেই স্ক্রিন ঝলওয়ার করে রিংটোন বেজে উঠলো। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষার হলের ধকল থেকে একটু হাঁফ ছেড়ে বাসে উঠতে যাবে, সে সময় । তবুও উঠতি কেশের

বাইরে রিমঝিম বৃষ্টি পড়ছে। কালো মেঘগুলো যেন পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছে। দক্ষিনা বাতাস ঝাপটে পড়ছে অবয়বে। এত কাছে থেকেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করার সময় নেই আজ। বাসা থেকে খুব দ্রুত বেরিয়ে