গল্প

তৈজস বৃত্তান্ত

দিন দুপুর বা রাত দুপুর হোক। কাকের মুখে খবর পেলেই হংসেশ্বর হানা দেবেই। বাহন তার মাডগার্ডহীন সাইকেল। উলঙ্গ চাকা দেখে বোঝা যায় না, কোনটা সামনে গড়াবে। পাড়ার ছেলেরা প্রথম প্রথম

ক্ষুধিত খরায় জীবনের খতিয়ান

: কহছি, আর ভাত লিব্যা নাকি? খরখরে কণ্ঠে মতি জিজ্ঞাসা করে। চোখ ভর্তি ধোঁয়াটে বিতৃষ্ণা। ভাত নিবে কি নিবে না, তা মতির জিজ্ঞাসা করার কথা নয়। দায়িত্বটা তার স্ত্রীর, কারণ,

একটি বিড়ালের আত্মকথা

হঠাৎ মেঝেতে খসখস একটা শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল। ব্যথাতুর ঝাপসা চোখে দেখলাম কে যেন একজন পাশ কেটে চলে গেল। তলপেটের নিচের দিকটায় অসহ্য ব্যাথা। যন্ত্রণার প্রচণ্ডতায় চোখে তন্দ্রা এসে

পুরস্কার

মূল: জামাল ফায়িজ ভাষান্তর : আদনান সহিদ চাকরি জীবনের দ্বিতীয় বছরেই সে ‘শ্রেষ্ঠ চাকুরিজীবীর’ পুরস্কারটি অর্জন করলো। কিন্তু তার বিভাগের নতুন পরিচালক সেবারই প্রথম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন। মহাপরিচালক

শুধুই আমার

‘এসো এসো বৌদিভাই। এই দেখ, এই হলো তোমার ঘর। কী সুন্দর করে সাজিয়েছে ছোড়দাভাই। তাই না?’ হাত ধরে টানতে টানতে বীথি নিয়ে আসে রঞ্জাকে। নতুন বউ রঞ্জা সদ্যই পা রেখেছে

চাপ

প্রসব বেদনা উঠেছে এক মহিলার। চারিদিকে ঘিরে আছে দাইসহ অন্য মহিলারা। সবার মুখে দুঃশ্চিন্তার ছাপ। প্রসব বেদনায় মহিলা তারস্বরে কোকাচ্ছে। দাই মাঝে মাঝে পরীক্ষা করছে আর বলছে, চাপ দাও মা

বিসর্জন

– হ্যাঁ, এটাই। বামে নামিয়ে দিন। রিকশাটা থামার আগে তার থেকে যেনো লাফিয়ে নামলো অল্পবয়স্ক একটি মেয়ে। চোখে ঝড়ের কবলে পড়া পাখির ব্যস্ততা, চিবুকের ভাঁজে রোমাঞ্চের ছাপ। চোখ মেলে দেখছে

এই শহরে এক পাগলের আবির্ভাব হয়েছিল

বেশ কিছুদিন যাবৎ শহরের মানুষের মুখে একটা কথা শোনা যাচ্ছে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে, রাস্তায় চলার পথে, একসাথে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় কিংবা কাজের শেষে ক্লান্ত শরীর জিরিয়ে নেওয়ার সময় ব্যস্ত

বন্ধ্যত্বমোচন

স্ত্রীটি ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে, ‘নিজের গলদ চোখে পড়ে না, শুধু শুধু আমার দোষ। আমি তো আবাদি জমি। আমার কী করার আছে। নিজে শোধরাও। তোমার কোনো খুঁত আছে কিনা সেইটে চিন্তে

যে মন্দিরে পতিতারা রানি

নিরুত্তাপ চোখে অঙ্গের বসন খুলতে শুরু করে মেয়েটি। খোঁপার কাঁটা খোলে, গলার মালা খোলে, ওড়না খোলে, কামিজ খোলে কিন্ত অর্ন্তবাসে আটকে যায়। রায়হান তাকে থামিয়ে দেয়। থেমে যায় মেয়েটি। অন্য

গত ৩ মাসের...