গল্প

এক সকাল। আদুভাই প্রতিদিনের মতো রাস্তা ধরে হাঁটছিল। ঘর সংসার, সহায় সম্বলহীন এক ২৫/২৬ বছরের বেকার যুবক। শীতের সকাল বলে রাস্তায় লোকজন কম। একটি কাঠবোঝাই ট্রাক পাশ কেটে দ্রুতগতিতে সামনের

বয়স আর কতোই বা হবে! এই এক দুই ক্লাসে পড়লে যেটুকু হয় আর কি! পড়ালেখায় এখনকার মতো এতো ধরা বাঁধা ছিলো না। তা আবার ছোট ক্লাস পড়ুয়াদের জন্য তো নয়ই।

হাসানের ধ্রুবদৃষ্টি বারবার রাস্তায় গিয়ে পতিত হচ্ছে। রাস্তাটি ফাঁকা। চকচকে কনক্রিটের পাকা রাস্তাটি এই আধো কৃষ্ণপক্ষের রাতেও তার জ্যোতি বিলীন করে যাচ্ছে। কতক্ষণইবা হবে, ঘণ্টা দেড়েক! একটি নিঃসঙ্গ পথের সৌন্দর্য

শুনতে পাচ্ছো, আমি তোমার সেই অপরাজিতা বলছি। একদিন যাকে বাগান থেকে তুলে সাজিয়েছিলে ফুলদানীতে, যার সুবাসে হয়েছিলে সুরভিত, তারপর তোমার ভালো লাগার ঘোর কেটে গেলে তাকে ছুড়ে ফেলে দিলে ডাস্টবিনে।

দূরগ্রামে এক কবিরাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভাবীর ছেলেটা সেখানে সকালে গিয়েছিল। ছেলেটার সব সমস্যা বইয়ের মুখস্ত পড়ার মতো গড়গড় করে সে বলে দিয়েছে। মানুষ তার কাছে অমাবস্যার মুখ নিয়ে যায়

বাবলু, কেবলই শৈশব থেকে উত্তীর্ণ হয়ে এসেছিল কৈশোরের বৃত্তে। আর দশজন কিশোরের মতো বাবলুরও কৈশোরিক স্বপ্ন, ভাবনা, আবেগ ও উচ্ছ্বাস ছিলো একই রকমের। একটি কিশোরের সেই বয়সে স্বাভাবিকভাবে যতটা দুরন্ত

ব্যক্তিগত জীবনে নিজেরা কতটা সুখী হতে পেরেছিল সেকথা জানা যায়নি। তবে অন্যের সুখের পথে ওরা যে অন্তরায় ছিল, সেকথা নির্দ্বিধায়, নিঃসঙ্কচে বলা যায়। জীবনের এই সত্যটুকু গ্রহণ করাতে ছিল ওদের

০১. সখিবানু আর পদ্মকলি। প্রথমজন মা, দ্বিতীয়জন কন্যা। শুরুতেই মা আর মেয়ের মধ্যে খুবই একান্ত কিছু কথোপকথন শুনে নেয়া যাক– এ কারণে যে, এই কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে তাদের চারিত্রিক দিকের

আমারা যে আবদুল গনি ওরফে হউদ্যা গনির কথা বলছি আদতে সে একজন সাধারণ মানুষ। গাঁয়ের মানুষ আবদুল গনির ‘অউদ্যা’ নামধেয়টি প্রথম শুনেছে ফেকু মুন্সীর মেয়ে ফুলির কাছে। ফুলি একদিন আবদুল

প্রতিদিনের মতো বিকেলে নদীর পাড়ের আড্ডাটা বেশ জমে উঠেছিল। হঠাৎ মাইকে বাঁশির সুর ভেসে এলে ওরা সকলে চুপ হয়ে গেল। বাঁশিতে ছিল লোকগানের সুর, তাই কামাল বেশি মনোযোগ দিল। লোকগান