গল্প

আমি আবার তোমার আঙুল ধরতে চাই

ইদানীং সন্ধ্যাগুলো আসে বড় বেশি নিঃসঙ্গতা, অনেক বেশি অসহায়ত্বকে সাথে নিয়ে। চারপাশের এলোপাথারি শব্দ যেন পরিস্থিতেকে আরও বেশি দুর্বিষহ করে তোলে। প্রতিদিনই চারিদিক থেকে হা-করা অন্ধকার যেন দা বল্লম নিয়ে

বিন্দু

এই চাকরিটি হওয়ার পর রুনু যেদিন প্রথম অফিসে গিয়েছিলো, সেদিনই রিকশাটি অফিসের গেটের কাছে পৌঁছুতে না পৌঁছুতেই দেখতে পেয়েছিলো হন্তদন্ত হয়ে বিন্দু যাচ্ছে। রুনুর বুকের ভেতরে যেনো বিদ্যুৎ ছলকে উঠেছিলো

ডাস্টবিন

ডাস্টবিনটার পাশের ফুটপাতে চারজন বসে আছে। আজ বেশ সুখী সুখী চেহারা চারজনেরই। মেয়েটা মাথায় বোধ হয় তেল দিয়েছে। পুরনো লাল রঙের একটা ফিতে দিয়ে চার পাপড়ির একটি ফুল ও বেঁধেছে।

অন্য জন্মান্তর

শেষ শ্রাবণের মেঘলা আকাশ। রাতের  প্রথম প্রহরে একটানা ঘন্টা দুয়েক বৃষ্টি ঝরিয়েও মন ভরেনি আকাশের, অভিমানে মুখ গোমরা করে আছে সেই কখন থেকে। উঠোনে থিকথিকে কাদা, আয়াত আলী তবু বারবার

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

স্বামী বিমান হামলায় মারা যাওয়ার পরে তিনটি মেয়ে নিয়ে তিনি আরেক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। সে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পরেই নিউজটা প্রথমে বিবিসির প্রতিবেদক উপস্থাপন করেছেন। বড় মেয়ের ডাইরি পাওয়া গেছে।

ভালোবাসা

মেজাজ ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে ফরিদা বেগমের। গত দু’দিনে তিনজন নিয়েছে সবিতাকে। তিনজনই একই অভিযোগ করেছে। আজ মেয়েটা এলে একচোট নিতে হবে। ঘোমটা টানতে চাইলে নাচতে নামিস কেন? তিনজনেরই

টুইন প্যারাডক্স

তানির পড়ার ঘরে মাসুদ ঘণ্টা দুই ধরে ফিজিক্স পড়াচ্ছে। যেন-তেন বিষয় না ‘থিওরি অফ রিলেটিভিটি’। আজ একটা কিছু হবেই হবে। হয় তানি বুঝবে না হয় টিউশনির ইস্তফা। – বুঝলে তানি

অ্যান্টিক

মেঘখণ্ডগুলো কালো রং ধারণ করে আকাশ ছেয়ে থেকে থেকে বাঘের মতো গর্জাচ্ছে। যেকোনো সময় ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ শুরু হতে পারে। শরীফ মোটরবাইক থেকে আকাশের দিকে বার কয়েক তাকিয়ে

ঘড়ি

   ক. দুপুর বেলা। নিউমার্কেটের গেটে আফজাল সাহেব লাল মারুতি থেকে নামতেই একঝলক ঠান্ডা বাতাস তাঁর গা ছুঁয়ে গেল। এতক্ষণ গাড়ির ভেতর এসির মধ্যে ছিলেন। বাইরে ছিল ঝাঁ ঝাঁ রোদ।

নিভৃত যতনে

ক্লাসে ঢুকেই অর্ক’র পেট মোচড় দিয়ে উঠলো। আজও হবে! তৃতীয় দিন চলছে আজ। তথ্যটা যদিও জানতো, তারপরেও পেট মোচড়ালো। দু’দিন তো হলো, আর কেন বাবা! সামনের সারিতেই বসে আছে থার্ড

গত ৩ মাসের...