গল্প

গফুরের বাড়ি ‌ফেরা

শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার বেশ কদিন আগেই গফুরকে মুক্ত করে দিল কারাকর্তৃপক্ষ। আগেই ভেবে রে‌খেছিল মুক্তির দিনটিতে একা ফিরবে সে। জীবনে দ্বিতীয়বার এমন একান্ত সময় আর নাও আসতে পারে। দিনটা

রুমকিদের গল্প

  বাসার ছাদে একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আয়েশা। এই বাড়ির একমাত্র ছাদে আসলেই তার মনে হয় এই জায়গাটা তার নিজের। মেয়েরা আর তাদের বাবা মিলে খুব সুন্দর একটা

চিরায়ত প্রথার বাইরে কোভিড নাইন্টিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বুদ্ধদেব বসুর আত্মজীবনী পাঠের কৃপায়। আর যেদিন সৈয়দ শামসুল হক লোকান্তরিত হন, সেদিন ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়া আমার ঢাকা

দৌড়

অটোর ভাড়া দি‌তে গি‌য়ে আবিষ্কার কর‌ে, তার কা‌ছে খুচরে‌া নেই। অগত্যা একশ টাকার নোটটা চাল‌কের দি‌কে দ্রুত বা‌ড়ি‌য়ে ধর‌ে জবা। চাল‌কের অত তাড়া নেই। সে ধী‌রে সু‌স্থে প‌কেট হাত‌ড়ে এক

কী চাই

কী চাই? অনেক কিছু চাই। ভালো রেজাল্ট চাই, তারপর চাকরি চাই। চাকরি হলে সুন্দরী বউ চাই। বাড়ি চাই গাড়ি চাই, সোনা দানা আরও কত কিছু চাই। এ চাওয়ার শেষ কোথায়?

কর্নেলের প্রিয় পোষাপ্রাণী

নির্মল এবং নিরেট গ্রামীণ জনপদ থেকে জনাকীর্ণ শহরে আগমন। শিক্ষার প্রয়োজনই পদাপর্ণের পথ প্রসারিত করে। আর এতে অগ্রজই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারই স্পৃহায়

প্রেয়সীর সমাধিভূমি

তুমি লেখক, কাজেই চাইলেই তুমি সবকিছু লিখতে পারবে না, বিশেষত এখানে সৎ থাকা তুলনামূলক কঠিন। অসংখ্য সীমারেখার মধ্য দিয়েও জানি তুমি লিখবে, কেননা লেখনীতে আছে এক অনাবিল সুখ। সবকিছু শিখতে

লকডাউনের চারটি অণুগল্প

ছোঁয়াচে ডাস্টবিনে ময়লার পলিথিনটা ফেলে বাসায় ঢুকতে গিয়ে সমবয়সী একটা ছেলেকে ঠিক গেটের সামনে সিগারেট টানতে দেখলো সানী। মুহূর্তেই কেমন অস্থির লাগলো তার। ১৩ দিন আজ! সানীর অনাকাঙ্ক্ষিত আগমনে হতভম্ব

গণপ্রজাতন্ত্রী

অফিস শেষে বাসায় ফেরার জন্য অফিস বাসে বসে আছি। ক্লান্তি লাগছে খুব। অফিসে খুব কাজ ছিল বলা যায় না। তবে অফিসটাকে মাঝে মাঝে খুব ক্লান্তিকর মনে হয়। বাইরে গুমোট গরম,

আমার আপন কাকতাড়ুয়া

রান্না শেষ করে ল্যাপটপ চালু করেছে। একটু দারুণ গল্প লেখতে বসবে। আজ সন্ধ্যায় অফিসের পোশাকেই হাঁটতে গিয়ে পানি শুকিয়ে যাওয়া হাওরে নেমেছিলো। কোথাও কোথাও ছোপ ছোপ কচুরিপনা জমে আছে, ওরা

গত ৩ মাসের...