গল্প

টিউশানি পড়াতে যাওয়ার পথে বাড়িটা প্রায়ই চোখে পড়ে সমীরণের। জানলায় খড়খড়ি লাগানো। একটানা লম্বা বারান্দার পুরোনো দিনের রঙচটা গ্রিলে লোহার ফুল ফুটে আছে চিরকালের মতো। কেমন পুরোনো বই-এর মতো দেখতে

এই ঝুলন্ত আসমান লাল হয়ে গেলে একজন লোক পথ চলে; গাছ-পালা, লতা-পাতা ও বন-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে, লাল মাটিকে পেছনে ফেলে, উকুনের মতো বিলি কেটে। তার ক্লান্ত পা, ঢুলুঢুলু চোখ ও

অটোর সামনে বসা মেয়ে রোমানকে চমকে দিয়ে বলল, আমি চিনি উত্তরা গণভবন। রোমান মোবাইলে কথা বলছিল। মোবাইলের ওপ্রান্তজনকে খুব আবেগ নিয়ে বলছিল, ট্রেন থেকে নেমে অটো নিয়েছি। কিন্তু এই অটোটা

এক. হাউ টু প্রিপেয়ার ফর দ্যাট জব? নিজের সঙ্গে গল্প করা? না মোটেও সহজ কাজ নয়। কাজটা এখন পর্যন্ত করে দেখা হয়নি। অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে সে। ভেতরে ভেতরে এক

গ্রামের নাম সুয্যুখোলা। দু-চার ক্লাস লেখাপড়া জানা মানুষজন কাগজে-কলমে লেখার সময় লেখে সূর্যখোলা। এই সুয্যুখোলা গ্রামের প্রান্তে বন-বনানীর মাথা ফুঁড়ে সূর্য ওঠে বেশ খানিকটা দেরিতে। আবার সূর্য ডোবার আগেই আঁধার

আমাদের বিচ্ছেদের কয়েক বছর পরে আমি বৈরুত থেকে পাঠানো একটা চিঠি পেলাম। সেটা পাঠিয়েছিল আমার ভাই মাজিন। তাতে সাদা-কালো ছবি ছাড়া আর তেমন কিছুই ছিল না। মেইলবক্সের পাশে আমার বাড়ির

আজ কি হাটবার! বাজারে এত লোকের ভিড়! তিনি বাজারের ঠিক মাঝপথ দিয়ে হাঁটছেন। ভিড় ঠেলে যেতে তার সমস্যা হচ্ছে। দু’হাত দু’দিকে ছড়িয়ে হাঁটতে ভালো লাগার কথাও না। এভাবে না হেঁটেও

হরফ আলি ঘরে ফেরামাত্র বউ কৈফিয়তের সুরে জিজ্ঞেস করে, ‘আইজগে কিছু করতে পারিছো। নাকি সারাদিন নেতার পিছে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়ায়্যাই শেষ। কামের কাম কিছু হয় না। শুধু মাঝে

[লেখক পরিচিতি: জেমস জয়েস ( ১৮৮২- ১৯৪১) এর জন্ম ডাবলিনে। পড়াশোনা আয়ারল্যান্ডে। পড়াশোনাকালে উন্মেষ ঘটে তাঁর সাহিত্য সাধনার। ডাবলিন তাঁর জন্ম স্থান হলেও তাঁর জীবনের দীর্ঘতম সময় কাটে বিদেশবিভূঁয়ে। বিদেশী

অপরাহ্ণ থেকেই আদনানের মেজাজ যেন তাড়া খাওয়া শজারুর পুচ্ছ। দুপুরে কামরান সাহেবের সঙ্গে আদনানের মায়ের কথা কাটাকাটি হয়েছিল, কথা কাটাকাটির সময় মায়ের মুখটা মলিন দেখাচ্ছিল, দুপুরে খাওয়ার সময় আদনানের সঙ্গে