গল্প

প্রশ্ন

ইবু লক্ষ করে দেখেছে প্রচণ্ড কষ্টের সময়গুলোতে সে খুব একা হয়ে যায়। তার চারপাশে সে কাউকে খুঁজে পায় না। মানুষ যত বড় হয় আস্তে আস্তে সে তত একা হতে থাকে।

মাছের লেজ

তিন-চার বছর আগের কথা। তখন আমি ঢাকা পল্লবীতে থাকি। মিরপুর সাড়ে এগারো বাসস্ট্যান্ডের সাথে আমার বাসা। একদিন সকাল দশটায় বউকে নিয়ে গেলাম মিরপুর বারো নাম্বার মুসলিম বাজার। উদ্দেশ্য বাজার করা।

বিদগ্ধ বিমূর্ততা

পাশ ফিরতে পারছি না, হাত তুলতে গেলাম হাত তোলা যাচ্ছে না– যেন বিশাল আকৃতির এক ইস্পাত তাবিজ বাঁধা হাতে। কেবল হাত নয়, হাত-পা-মাথা শরীরের কোন অংশই নাড়াতে পারছি না। কথা

সুখ খোঁজার খেলা

ঠিক বাউণ্ডুলে না হলেও ভবঘুরে স্বভাবের ছিল তমাল। নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিয়মকে অবজ্ঞা করাতেই ছিল তার যত সুখ। অবজ্ঞার ভেতরে অন্য এক সুখ খোঁজার খেলায় মেতেছিল নিজেকে নিয়ে। অভাব

বাতিঘর

তখন বিকেল হবো হবো করছিল। শোভন উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটতে হাঁটতে মালিবাগ রেলগেট চলে এসেছিল। সে মূলত মগবাজার দিয়ে আসছিল, এত দূর পথ কী করে এলো সে বুঝতেই পারলো না। প্রতিদিনকার মতো

আঁতেল কবির কারাবাস ও প্রত্যাবর্তনের গল্প

ক.       পাঁচের মতোন নিতান্ত সহজ-সরল আকারের শান্তিপুর গ্রাম। হালে কত সব রটনা রটছে, ঘটনা ঘটছে। গুণতে গেলে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে, ডিজিটে ডিজিটে ক্যালকুলেটরের স্ক্রিন ভরে যাবে, হিসাবকারীর আঙ্গুল

নীল ব্যালকনি

নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের টুকরোগুলো পেটকাটি-চাঁদিয়ালের মতো উড়তে উড়তে শেষমেশ গোঁত্তা খেয়ে আরব সাগরের জলে প’ড়ে মিলিয়ে যাচ্ছে দিগন্তরেখায়। চকিতে চোখের সামনে ভেসে উঠল ছেলেবেলার মাঠ, বিশ্বকর্মা পুজো, ঘুড়ি-লাটাই

শব্দ

শব্দগুলো ফিরে ফিরে কানে আসছে। এক চাপা শব্দ। থেকে থেকে যা অস্পষ্টতার চাদরে মুড়ে থেকেও অস্পষ্ট থাকছে না। এর উৎস, এর কারণ, এর প্রয়োজনীয়তা– সবটুকুই স্পষ্ট। তবু পাশ ফিরে সেটিকে

উল্টোস্রোত

কোনো উপলক্ষ পেলেই জুটি বেঁধে ঘোরে দুজনে। শুধু ভ্যালেনটাইন্স ডে নয়, নিউ ইয়ার, পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, বন্ধু দিবসসহ অন্যান্য দিনগুলোতেও। মাহি ও রাব্বি যেন নবকাপল। মূলত তারা আদর্শ প্রেমের

নেককার

লায়লার মাকে ঘিরে ছোটোখাটো একটা জটলা ছিল। ক্রমেই সেটা বড় হচ্ছে। কেননা বিষয়বস্তু খুবই আকর্ষণীয়। মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-কে স্বপ্নে দেখার ঘটনা বর্ণনা করছেন। কাহাতক আর মৃতব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলা

গত ৩ মাসের...