গল্প

দাগ

যা দেখা যায় না: বুকের ওপর তখনও খুব ভারি মতোন কিছু একটা অনুমান করতে পারছে ফাতেমা। মেয়েটা উজ্জ্বল শ‍্যামলা। কিন্তু চেহারার মধ্যে একটা আভিজাত্যের ভাব তখনো ফুটে আছে। একদলা কদর্য

ঘৃণার গোলাপজল

রাশি। মেয়েটার বয়স গত মাঘে হলো উনিশ। গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা, ছিপছাপ গড়ন, মানান সই উচ্চতা। দেখতে নজর কাড়ার মতো না হলেও, যথেষ্ট সুন্দরী ও মায়াবী! গোলাকার মুখে সূর্যমুখী হাসির

অভাব

রোজ বাসে, টেম্পুতে গাদাগাদি করে যেতে বড্ড অস্বস্তিতে ভুগতে হয়, কী এক জীবন! সকাল হলেই ঘর, শ্বশুর-শাশুড়ি, বাচ্চা-কাচ্চা সামলে দৌড়াতে হয় অফিসের জন্য। সেখানেও স্বস্তি নামক শব্দটির সাথে দেখা মেলা

গন্তব্য নিরুদ্দেশ

আমি এক বেকার যুবক, হে হে হে। জন্মের পর থেকে বাপের হোটেলে মানুষ। ক্যাবাৎ, কোনো কন্ট্রিবিউশন নাই, স্রেফ গলধঃকরণ করে চলছি, আর বড় বড় গপ্পো মেরে দিনাতিপাত করি। ইদানীং অবশ্য

শিকারি

বনাঞ্চলের ধারের গ্রামটিতে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে এক দিগ্বিজয়ী দোপেয়ো শিকারিকে কেন্দ্র করে। তার হাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে পঞ্চাশেক চারপেয়ো বাঘ্র। তার নতুন দায়িত্ব গ্রামটিতে আধিপত্যবিস্তারী সুচতুর এক বাঘ্রকে

একজন বটবৃক্ষ

দুগির মায়ের প্যাটের বিষ উঠছে। ভোরের আজানের আগে আগে তার নিন ভাঙলে সে উঠে কলপাড়ে গেছিল, তখুনি বুঝছে সময় হয়া গেইচে। হাত পা ধুয়ে ঘরে এসে দুগির বাপক ডাকে– এই

নোনা অশ্রু

এই গল্পটি একটি দলকে নিয়ে। ছয় জনের একটি তরুণ দল। হাসান, জয়, রাসেল, শিবা, সুমিত ও প্রান্তদের দল। প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দলটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, মঞ্চনাটক ও নানান ধরনের সৃজনশীল কর্মকান্ডের

জাপানিজ রূপকথা: উরাশিমা ও সাগরকন্যা

একদা জাপানের এক উপকূলবর্তী অঞ্চলে উরাশিমা নামে এক জেলে বাস করত। সে দেখতে ছিল যেমন, কাজেও তেমন পটু। সারারাত ধরে নৌকোতে করে সে সমুুদ্রে মাছ ধরত। সেই মাছ বিক্রি করেই

স্টুয়ার্ট ক্যামিন্সকির গল্প: জ্যাসন সাইকসের রহস্যাবৃত খুন

স্টুয়ার্ট এম. ক্যামিন্সকি (১৯৩৪-২০০৯) একজন প্রখ্যাত আমেরিকান মিস্টিরিয়াস স্টোরি ও নভেল লেখক। রহস্য গল্প ও উপন্যাস, ফিল্ম স্টোরির লেখক হিসাবে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজোড়া। ইংরেজি ভাষায় তাঁর লেখা একটি গোয়েন্দা কাহিনিকে

নির্মল বাসনা

গল্পটি সুইডিশ কবি ও কথাসাহিত্যিক লিন্ডা বসট্রোম কিনসগার্ডের ‘WISH’ গল্পের অনুবাদ। গল্পটিতে অতি চমৎকারভাবে একটি পরিবারের পরিচয় দেওয়া হয়েছে। গল্পটির অনুবাদ করেছেন নয়ন মাহমুদ । আমি দীর্ঘদিন যাবত হৃদয়ের গভীরে

গত ৩ মাসের...