গল্প

এই গল্পের নাম যমজ রাখলে অসার্থক হতো না, হয়তো বেখাপ্পাও মনে হতো না, কারণ, এখানে যমজ গাছ, যমজ ফল, যমজ জ্বিন, যমজ মেয়ে ও যমজ পুরুষের সাক্ষাৎ পাওয়া যাবে; প্রথমে

এক ছিল ছিল কৃষক। তার ছিল একটি গাধা আর একটি গরু। কৃষক বোঝা আনা-নেওয়া ও চলাচলের বাহন হিসেবে গাধাকে ব্যবহার করতো আর গরু দিয়ে হালচাষ করাতো। গম ও ধান মাড়াইয়ের

আমি রাজপথ। অহল্যা যেমন মুনির শাপে পাষাণ হইয়া পড়িয়া ছিল, আমিও যেন তেমনি কাহার শাপে চিরনিদ্রিত সুদীর্ঘ অজগর সর্পের ন্যায় অরণ্যপর্বতের মধ্য দিয়া, বৃক্ষশ্রেণীর ছায়া দিয়া, সুবিস্তীর্ণ প্রান্তরের বক্ষের উপর

বালকদিগের সর্দার ফটিক চক্রবর্তীর মাথায় চট্ করিয়া একটা নূতন ভাবোদয় হইল; নদীর ধারে একটা প্রকাণ্ড শালকাষ্ঠ মাস্তুলে রূপান্তরিত হইবার প্রতীক্ষায় পড়িয়া ছিল; স্থির হইল, সেটা সকলে মিলিয়া গড়াইয়া লইয়া যাইবে।

(এক) সুধীর আসিয়াছে। তাহার হাতে একটা ফুলসুদ্ধ ডাঁটা। চোখে মুখে হাসি ভরা! তাহার সমস্ত মন যেন পাখা মেলিয়া উড়িতে চাহিতেছে। সুধীর আসিয়াই বলিল– “হাসি আজ ভারি সুখবর আছে। কি দেবে

পঁচাত্তরে পড়তে আর তিনমাস; কিন্তু স্বপ্নেন্দুর মাথার  একটি চুলও সাদা হয়নি। দাড়ি কামাবার সময় আয়নার সামনে বসে নিজেকে লক্ষ্য করেন তিনি। দুদিন দাড়ি না কামালে (সেটা খুব কম হয়) গালে

প্রিজন ভ্যানের জালিকাটা ছোট্ট জানালার বাইরের জগতে চোখ রাখতে রাখতে জহুরুল হক পিছনে ফেলে আসা পাঁচটি বছরের দিকে মনের চোখ জোড়া মেলে ধরে। আহা কী রঙ্গিন সে সব দিন। শখের

ঐ যে ঐ দিন বৃষ্টিস্নাত বিকেল বেলায়! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যেদিন চুমো কেলেঙ্কারি হয়েছিল ঘটনাটি সেদিনেরই। রিমঝিম বৃষ্টি বিড়ম্বনায় সময় কাটানোর জন্য আমরা তখন আশিক ভাইয়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম

অনার্স ২য় বর্ষের পরীক্ষা শেষ। ফ্রি সময় কাটছে। কলেজ জীবনের প্রথম থেকেই পাঠ্য বইয়ে মন নেই। পাঠ্য বইয়ে কোনো টান অনুভব করছি না। সব ভালবাসা কবিতা-উপন্যাসে। বড় বড় উপন্যাস পড়া

সুন্দরবনের পশুর নদীতে ঘূর্ণিস্রোত, প্রচন্ড ঝড় তুফান। বিপদ সংকেত শুনে মানুষ নিরাপদে যেতে পারলেও যেতে পাড়ে না বনের যত পশু-পাখি। মরমর করে ভাঙছে সুন্দরী, গরান– ওড়ে যাচ্ছে ডালপালা। এক বাঘিনী