গল্প

এক সকালের অপেক্ষায়

সময় পেলেই আমি জানলার ধারে গিয়ে বসি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই। স্কুলের ছুটি থাকলে দুপুরে ভাত খেয়ে উঠে। এক একদিন স্কুল থেকে ফিরে মাঠে না গিয়ে জানলার ধারে বসে থাকি।

বমি

পরিবারের সবাই খাবার টেবিলে বসে রাতের আহার সারছে। চামচের টুংটাং শব্দের পাশাপাশি “এই সবজি আজ বেশ ভালো হয়েছে” কিংবা “কি হল ভাত নে” এমন আহার্য আবদার চলছে সমান তালে। কারো

লেচু কাহিনি

বহুত সহ্য করছি– না, এভাবে আর পারা যায় না… হক টাকা দিয়ে ভাড়া থেকে যদি এত ঝামেলায় দিন গুজরান করতে হয় তবে ভাড়াটিয়া কেইবা থাকতে চায়? সোলায়মান মিয়াও থাকবে না।

অপাংক্তেয়

ক্র্যাচে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ান নুরুল আমিন। জেল কর্মকর্তা ডেকে পাঠিয়েছেন। সেন্ট্রি এসেছে সাথে করে তাকে নিয়ে যেতে। তিনি ভেবে পান না হঠাৎ তার ডাক পড়লো কেন। বরাবরের অন্তর্মুখী নুরুল

অপবিত্র

কালা মিয়া তার  ছাতাটা  ডান দিকে একটু কাত করে দেয়, বৃষ্টির ছাটটা যাতে একটু কম লাগে। সামনে গোটাকতক পাকা তাল নিয়ে বসেছে সে। সাদা একটা পলিথিন দিয়ে যতটুকু ঢাকা যায়

ভাত ও ভাতার

এ ঘরে সর্বসাকুল্যে দুইটা মাত্র মুখ। মা ও মেয়ে। মেয়ের নাম নাজমা। মায়ের কোনো নাম নেই। বয়স হলে মায়েদের নাম মুছে যায়। সবাই তাকে নাজমার মা বলে ডাকে। ফজরের আজান

মায়াহরিণীরা!

হরিণ মায়াময় প্রাণী! হরিণের প্রতি হরিণীর মায়া, বাচ্চার প্রতি মা হরিণের, বাবা হরিণের, আর সব হৃদয়ের বোন। এইভাবে হরিণের মায়ার সংসার। একসাথে দলবেঁধে চলে। বিশ্রামের সময় রসুনের মতো বসে, মুখ-মাথা

ওয়ারিশ

আমজাদ আলী তার বাম হাতে প্রতিদিন রাতে একটা করে ইনজেকশান ফোটায়। ইদানিং অবশ্য পায়ে ফোটায়। প্রতিদিন নেশার ঔষধ কেনা লাগে। সিরিঞ্জ কেনা লাগে না। এক সিরিঞ্জে প্রায় অনেকগুলো বছর কাটিয়ে

অতনু ফিরে যাবে

এটা কি আগে এখানে ছিল, না ছিল না? একটা বেঁটে মতো গম্বুজ, তার সবদিকই নানারকম পোস্টারে মোড়া, একটা বড় ফিল্মের পোস্টারে এক যুবতী দু’চোখ দিয়ে হাসছে। এক পাশে ছিল ধানক্ষেত

গাধা ও শিয়াল

একদিন একটি গাধা একটি কুয়ার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় সে কুয়ার ভেতর একটি শব্দ শুনতে পেল। সে কুয়ার ভেতর তাকাতেই সে দেখল একটি শিয়াল কুয়ার ভেতরে পড়ে গেছে ।

গত ৩ মাসের...