গল্প

ভাঙন

শরীরটাকে একরকম টেনে-হিঁচড়ে তনুশ্রী অটোয় এসে বসলো। অটোওয়ালাকে কী করে বাসার ঠিকানা বলেছিল অথবা আদৌ বলেছিল কি না, এখন আর তা মনে পড়ছে না। রাত বেশ গভীর হয়ে গিয়েছিল সেদিন।

রিকশাওয়ালা অথবা পক্ষীরাজের গল্প

আচমকা ঘুম ভাঙতেই ঝটকা মেরে উঠে বসলো নিশে, ‘ক্কে- কে—ডা?’ ‘ইজ্ঞে আমি গো ভ্যানঅলা। ভয় পালা নেকি?’ ‘ভয়? কে– ক্কেনে?’ নিশেকে ওভাবে তড়াক করে লাফিয়ে উঠতে দেখে হেসেই উঠতে যাচ্ছিলো

জেলফেরত

ছয় বছর আট মাস পর আজ নেত্রকোনা জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পেলাম। আমার জন্যে কেউ জেল গেটে অপেক্ষায় ছিল না। শহীদ মিনার পার হয়ে সোজা তেরিবাজার মোড়ে এসে দাঁড়ালাম।

গগণ শিরীষ, ৪ঠা আষাঢ়

সকাল। চুলায় চায়ের পানি ফুটছে। টেলিভিশনে চলছে ট্রাভেল এন্ড লিভিং চ্যানেল। বাসায় কেউ নেই। বাইরে বৃষ্টি নেমেছে। আর খাবার টেবিলে বসে ল্যাপটপ খুলে আমি কী লিখব তাই ভাবছি। ভাবছি চুলায়

সিঁড়ি

আকাশে বাজছে ঘন্টা। নীলা নামের মেয়েটিকে ফ্রেমে আনো দেখি। প্রথমে ওর মুখের ক্লোজ। গাড়ির ভেতর দিয়ে। চলন্ত গাড়ি। ও বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। রাস্তাঘাটের দৃশ্য দেখছে। ভাগ্য ভালো এখনো পর্যন্ত

ভেজাল

এতদিন সরষের তেলে ভেজাল চলছিল, ঘি-এ ভেজাল চলছিল, ওষুধে ভেজাল চলছিল। কোর্টে, কাছারিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে, সর্বত্র ভেজালে ভেজালে একাকার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার যা দেখলাম তারপর আমার বাকরোধ না

প্রকাণ্ড বৃক্ষ ও হলদি গাছ

এক বনের ধারে ছিল বিরাট একটি গাছ। তার শিকড় যেমন মাটির অনেক গভীরে পৌঁছেছিল তেমনি ডালপালাও চারপাশের অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছিল। গাছটির ঘন পাতার রাশি সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে মানুষকে

ছিত্তম

      বিলকিছের  কথা আর জিকাইয়া কী করবেন দাদা, বিলকিছ মরছে কপালের দোষে। শুধু বিলকিছ না দাদা, বিলকিছের মতো কতো বিলকিছ, তনু যে প্রতিদিন কতো ভাবে নির্যাতন হচ্ছে, মরছে

যে ছেলেটি জীবনানন্দ হতে চেয়েছিল

অর্পিতাকে ভালোবেসেছিল গৈরিশ, বাবু গৈরিশ চন্দ্র দাশ। যে জীবনানন্দ দাশ হতে চেয়েছিল; এখনও চায় বলে হনহন করে হেঁটে চলেছে রেললাইনের পাশ দিয়ে। সোজা কথায়– আত্মহত্যা করতে চলেছে গৈরিশ। অর্পিতাকে ভালোবেসেছিল

প্রেমহীন

চারপাশে সোডিয়াম লাইটের রহস্যময় হলদেটে আলোর ছড়াছড়ি। মালিবাগের ফুটপাথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে সাইফের মনে হয় রাত অনেক হয়েছে, এখন তার বাসায় ফেরা উচিত। পরক্ষণেই মনে হয়, নাহ, রাত বোধহয় বেশি

গত ৩ মাসের...