গল্প

স্বর্ণমৎস্য

একদা একটি দ্বীপে এক জীর্ণ কুঁড়েঘরে এক বৃদ্ধ জেলে তার স্ত্রীর সাথে বসবাস করতো। তারা ছিলো খুবই দরিদ্র। বৃদ্ধ লোকটি প্রতিদিন জাল ফেলে কিছু মাছ ধরার চেষ্টা করতো। কিন্তু সে

ছ্যাঁচড়া মানুষের পাগলামি

ভোর রাত থেকে মোবাইলটা টুংটাং করে বেজেই চলছে অসহ্যকরভাবে। রিসিভ করতে মন সায় দিচ্ছে না। আবার ঘুমও আসছে না। এপাশ-ওপাশ হতে হতে সকাল সাতটা বেজে গেলো। তারপরও অনর্গল ফোনটা বেজেই

তিনটি আত্মা ও ভ্রমজাল

আঁধারের বুক চিরে আলোর মিছিল। ঝোপের আড়ালে জ্বোনাকির খেলা। আমি কেবল আকাশ পানে চেয়ে। তারার পানে চেয়ে। তারাগুলো পিট পিট করে জ্বলছে। সেই সাথে জ্বলে জ্বলে উঠছে মনের মধ্যে লুকিয়ে

পৃথ্বী-পুরাণ

একটা গাছ ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে লতাপাতারা গলাগলি করে বলে : চুপ, একদম নিশ্চুপ ভ্রমরার বোল্লার টুপ। টুপ করে ঘুম আসে না বনি আদমের। চুপ করে না সন্তানরা। গরমে ঘুম

মাটির মানুষ পানির মানুষ

ঢাকার মানুষদের সম্পর্কে জাহিদের ধারণাটা এমন: সেখানে দুই ধরনের মানুষ বাস করে। প্রসঙ্গত বলে রাখা উচিত জাহিদ কিন্তু তার সমবয়সীদের নিয়েই এ ধারণা পোষণ করে। যাদের বয়স আঠারো থেকে বিশ

বিচার

রাত দশটা বাজতে এখনো দশ মিনিট বাকী আছে। সালিশি বৈঠকে লোক সমাগম অন্যান্য বার থেকে বেশি। কারণ এ যাবৎ যত বৈঠক হয়েছে, এটা তার থেকে ভয়ানক। এরকম ঘটনা এর আগে

দায়ভার

ইশরাত জাহান নিপার বিয়ে হয়েছে তৌফিক ইমাম পান্নার সাথে তের বছর পূর্বে। ব্যাংক কর্মকর্তা পান্না বিয়ের সময় ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি একটি ব্যাংকে চাকরী পান। বিয়ের দুবছর পর তাদের একটি

লোকটা

লোকটা চলে যাবার পর আমার মনে হলো পাখিটার নাম মোঃ ইদ্রিস আলি। আদি নিবাস ভরতপুর। পোস্ট পারখিদিরপুর, থানা আটঘরিয়া। এক সময় ভরতপুর গ্রামে কোন পাকা রাস্তা ছিলো না। জলে-জঙ্গলে ভরা ছিলো

শোধ

রাস্তায় বাসের চাকাটি পাংচার না হলে ঠিক দুপুর তিনটায় বাড়ি পৌঁছতে পারতো লাবিব। পাংচার হওয়ার কারণেই না আরও দুঘণ্টা দেরি হয়ে গেল। তবুও ভাগ্য ভালো যে, পিছনের চাকাটি নষ্ট হওয়াতে

দানবের শিষ্য

সে অনেকদিন আগের কথা। এক ছিল বালক। তার নাম ছিল ম্যানুয়েল। তার পিতা-মাতা এতটাই গরিব ছিল যে, তারা তাকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারতো না। তাই সে সারাদিন জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতো,

গত ৩ মাসের...