গল্প

তিলোত্তমা

‘অত গভীর মনোযোগ দিয়ে কী দেখছ?’ বলতে বলতে ঘরে ঢুকলেন মিস্টার ঘোষ। বড় সওদাগরি অফিসে অনেকখানি উপরতলার চাকরে। ছুটির দিন বলে বেশবাসে কিছুটা ঢিলেঢালা। মুখে পাইপটি অবশ্য ঠিক আছে। কাছে

নরহরি দাস

যেখানে মাঠের পাশে বন আছে, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানে, একটা গর্তের ভিতরে একটি ছাগলছানা থাকত। সে তখনো বড় হয়নি, তাই গর্তের বাইরে যেতে পেত না। বাইরে যেতে

তুষার

ছেলেটা লম্বা। শরীরের তুলনায় হাত পায়ের নখগুলো একটু বেশিই শীর্ণ। সামনের দুটি দাঁত অতি মাত্রায় বড়। মুখটা বামদিকে একটু বাঁকা। সারাক্ষণ সেই বাঁকা মুখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে লালা। হাত পায়ের শীর্ণকায় আঙুলগুলোও

চতুর্থ পানিপথের যুদ্ধ

আমাদের ক্লাসটা ছিল একটি নৃতত্বের ল্যাবরেটরির মতো। এমন বিচিত্র মানবতার নমুনা আর কোন্ স্কুলে কোন্‌  ক্লাসে আছে জানি না। তিনটি রাজার ছেলে ছিল আমাদের ক্লাসে। একজন জংলি রাজার ছেলে, কুচকুচে

রাফির গুড ওয়ার্ক

দান বাক্সটা সামনে না আসার জন্য মনে প্রাণে খোদাকে কতবার যে ডাকা হয়েছে, সেটা আমার আঙ্গুলের কর জানে। জানে উপরওয়ালা। সিরিয়াস সময়ে প্রভুকে ডাকতে ডাকতে কিভাবে আঙ্গুলে গুনছিলাম মনে নেই।

তেলেনাপোতা আবিষ্কার

শনি ও মঙ্গলের—মঙ্গলই হবে বোধ হয়—যোগাযোগ হলে তেলেনাপোতা আপনারাও একদিন আবিষ্কার করতে পারেন। অর্থাৎ কাজেকর্মে মানুষের ভিড়ে হাঁফিয়ে ওঠার পর যদি হঠাৎ দু-দিনের জন্য ছুটি পাওয়া যায়—আর যদি কেউ এসে

বিলাসী

পাকা দুই ক্রোশ পথ হাঁটিয়া স্কুলে বিদ্যা অর্জন করিতে যাই। আমি একা নই—দশ-বারোজন। যাহাদেরই বাটী পল্লীগ্রামে, তাহাদেরই ছেলেদের শতকরা আশি জনকে এমনি করিয়া বিদ্যালাভ করিতে হয়। ইহাতে লাভের অঙ্কে শেষ

আবর্তন

গত কয়েকদিন তীব্র মানসিক যন্ত্রনায় ভুগছিলেন তড়িৎ বাবু। প্রবীণ সেতারি তড়িৎ মুখোপাধ্যায়। স্ত্রী বিছানায় শয্যাশায়ী, তিনি নিজেও এখন সব সময় সেতারে হাত দিতে পারেন না শরীরের কারণে। ছেলেকে সেতার শেখাতে

অস্ত্র

ক্যাপ্টেন সরফরাজ ইশারায় সেন্ট্রি দু’জনকে সরে যেতে বলে। হুইস্কির বোতল আর সাবমেশিন গান দু’টোই টেবিল থেকে নামিয়ে পায়ের কাছে রাখে। বেশি ভয় না দেখানোই ভালো। অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছে— ভয় দেখিয়ে

পাগলা দাশু

আমাদের স্কুলের যত ছাত্র তাহাদের মধ্যে এমন কেহই ছিল না, যে পাগলা দাশুকে না চিনে। যে লোক আর কাহাকেও জানে না, সেও সকলের আগে দাশুকে চিনিয়া ফেলে। সেবার এক নতুন

গত ৩ মাসের...