গল্প

শিব মূর্তি 

নয়ন মাহমুদের গল্প: শিব মূর্তি মানুষটা তিন দিন থেকে বাড়িতে নাই। সতীনের কাছে গেছে। ছোটবেলা থেকে সে পরী ধরা। সৈকতকে বলি, কিরে বাপ কি করিস? – এইতো মা, ছবি আঁকি।

বন্ধু তুই লোকাল বাস

দশটার অফিস দশটায় না। আসলে শুরু হয় সাতটায়। তা না হলে কিভাবে হবে বলুন? সকাল হলেই এলাহি কাণ্ড শুরু হয়ে যায়। অথচ সকালের ঘুমটাই নাকি মিষ্টি। কিন্তু মিষ্টি ঘুমিয়ে মিষ্টি

মানচিত্রের কান্নার রঙ ছিল লাল

সনোজ কুণ্ডু-এর গল্প: মানচিত্রের কান্নার রঙ ছিল লাল এস্রাজের সুরের মতো জলপতনের শব্দ শিবানির কানে আসে। যদিও এ শব্দের সাথে তার পরিচয় নতুন নয়। কারণ তার স্বামী শিবু প্রতিদিন অন্তত

শ্রাবণের শেষ রাত

মা যেদিন বললেন আমার জন্য মেয়ে দেখেছে, সেদিনই আমার মনে কি যেন এক আশংকা দোলা দিয়ে ছিল। সমস্ত বিবেক স্তব্ধ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মায়ের মুখে বিজয়ে হাসিতে আমি সেদিন

কষ্টডাঙার মেঘ

মানিকরতন শর্মার গল্প: কষ্টডাঙার মেঘ কলিং বেল বাজাতেই একজন মাঝবয়সী মহিলা বের হলেন। কাকে চাই? জানতে চাইল ভদ্রমহিলা। মাসুদ আছে? না, ওনি কি এখানে থাকতেন? এটা ৫০২ নম্বর বাড়ি না!

প্রাকটিস

গৌতম রায়ের গল্প: প্রাকটিস বাজারের থলেটার দিকে হাত বাড়াতে গিয়েও একবার যেন পিছিয়ে এলো গদা। যাবো বাজারে? মা তো বলেনি কিছু বাজারের কথা। কালকের যা আছে তা দিয়ে চলে যাবে

আতঙ্ক

  সৌমিত্র চৌধুরী-এর গল্প আতঙ্ক আজকেও ঘুম ভেঙে গেল গার্গীর। মাঝ রাত্তির। রাস্তার হাই মাস্টের আলো কাঁচের জানলা গলে ঘরে এসে ঢুকেছে। দৃশ্যমান সবকিছু। পাশের খাটে পাশ ফিরে শুয়ে উড়িষ্যার

গাছটিও যোদ্ধা ছিল

পিন্টু রহমান-এর কিশোর গল্প গাছটিও যোদ্ধা ছিল সব হারিয়ে ছেলেটি বৃক্ষের শাখায় আশ্রয় নেয়। ছেলে বলতে আমার বন্ধু বিপু। কতই বা বয়স তখন! এই বারো কিংবা তের। লেখাপড়া ভালো লাগতো

যুক্তিতর্ক

নয়ন মাহমুদের গল্প: যুক্তিতর্ক মহামান্য চেয়ারম্যান সাহেব, আমি জব্বার হোসেইন, নিবাস মুন্সিপাড়া। গত তিন সপ্তাহ ধরে সুনিয়মিত গরুটির ওপর আমি নজর রাখি। পেটের ভাত হজম করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে

লাশ

আশরাফ পিন্টুর দুটি অণুগল্প: “লাশ”, “বিধির লিখন” লাশ লাশ নিয়েই সে ব্যস্ত থাকে সব সময়। প্রতিদিন লাশ আসে পাঁচ-সাতটা করে। কখনো বেশি; যখন অ্যাকসিডেন্ট হয়– ফাটা, থেতলে যাওয়া বহু লাশ

গত ৩ মাসের...