গল্প

ইলেক্ট্রিসিটিহীন প্রায় জঙ্গলের মতো প্রত্যন্ত এ তল্লাটে সন্ধ্যার পর থেকে নেমে আসে অঘোষিত কারফিউ। পুরো লোকালয় তখন চলে যায় হিংস্র জানোয়ারদের শাসনে! রাতের বেলা জন্তুদের দাপাদাপি, শেয়ালের হুক্কাহুয়া আওয়াজে সজাগ

একমাত্র ঘুমের ভেতর জীবনের সহজ সরল অথবা খুবই জটিল কিছু অর্থ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় ব্রতী চৈতালি বেগম স্নানাহার ফেলে ক্ষয়ে যাওয়া বীভৎস শরীর নিয়ে ঘুমের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিজেকে ছেড়ে দিয়ে

সময়টি ভরা বসন্তের। ভোরের কুয়াশা কেটেছে। সূর্য কেবলই উঠেছে। পাখিরাও জেগেছে। ভালোবাসার আলো ছড়িয়েছে সূর্য। সূর্যকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উড়ছে পাখিরা, গাইছে দল বেঁধে। অনবরত সুরের গুঞ্জনে মাতিয়ে রাখছে প্রকৃতিকে। মাঝে

পড়াশুনা, খেলাধুলা, ঝোপে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো– প্রভৃতির ভেতর দিয়ে  হাসিব যখন শৈশব এবং কৈশোরের দিনগুলো কাটিয়েছে তখন তার গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত ছিলোনা। পশ্চিমে সূর্য ডুবে যাওয়ার পর চারদিকে আঁধার

রোদটা বেশ হেলে পড়েছে। কাঁধের গামছাটা দিয়ে ভালো করে কপালের ঘামটা মুছে নিল। জ্যৈষ্ঠ মাস অথচ আকাশে ছিটেফোঁটা মেঘও নেই। এই রিক্সা যাবেন? রিন রিনে কন্ঠে শুনে ফিরে তাকাল ফেলু

যুদ্ধশিশু —বাবার নাম? —যুদ্ধ। —মায়ের নাম? —যুদ্ধ। —ঠিকানা? —এখনও কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। একরঙা রাস্তা ও দেয়াল, এমনকি বাড়িঘরগুলোও লালে লাল—আকাশটা ধরাছোঁয়ার বাইরে, নইলে ওটাকেও লাল করে ছাড়তো এরা। বললাম—এমন

গল্পটি ঝুম্পা লাহিড়ীর একটি ইতালিয়ান গল্পের ইংরেজি অনুবাদ “The Boundary” থেকে অনূদিত। গল্পটি “The New Yorker”-ম্যাগাজিনে কথাসাহিত্য বিভাগে ২০১৮ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। প্রতি শনিবার একটা করে নতুন পরিবার

কলিং বেল বেজেই যাচ্ছে। বেরোনোর সময় আবার কে? দরজা খুলতেই পরীর মতো এক মেয়ে, বুকের কাছে একটা টেডি বিয়ার ধরে দাঁড়িয়ে। – কী চাই? – চকলেট আছে ঘরে। দাও না!

তপু ক্লাস থ্রি-তে পড়ে। তপুদের বাসা পটিয়া সবুর রোডে। আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারি। তপুর স্কুল বন্ধ। তপু জানে আজ মাতৃভাষা দিবস। সেই ভোর থেকে অনেক লোক প্রভাতফেরী করে। ফুল নিয়ে

আলফাঁস দুদে একজন ফরাসি গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং কবি। তিনি ১৮৪০ সালের ১৩ মে ফ্রান্সের নিমেসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাহিত্যের “নিউট্রালিজম” মুভমেন্টের সাথে যুক্ত ছিলেন– যারা সাহিত্যে রোমান্টিকতার বিপরীতে নির্দিষ্টতা,