গল্প

স্বরবর্ণের নীরব প্রস্থান – সুজিত সজীব

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আজ অনেক কথাই মনে পড়ছে হাসমত আলীর। শীতের কুয়াশা ভেদ করে রোদ উঠার মতো মনের ভেতরেও উঁকি দিচ্ছে ফেলে আসা জীবনের নানান ঘটনা। দীর্ঘ বয়সের পথ পাড়ি

অনিন্দিতা

বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে বাঙালি যুবকেরা চাকুরির পিছনে ছোটার সাথে সাথে আরেকটি জিনিসের পিছনে ছুটতে থাকে, সেটা হলো বউ। চাকুরি পেতে যতটুকু দেরি, এপয়ন্টমেন্ট লেটার ঘরে পৌঁছানোর সাথে সাথে বউ খোঁজার

মৃত্যুবিলাস

মিজান সাহেব আমার হাতে হাত রেখে বললেন এতদিন পর যে আবার দেখা হবে ভাবিনি। গত বছরই তো আমরা একসাথে মারা গেছিলাম। কি বলেন? আমার মনে পড়ল, হ্যাঁ গত বছরই তো

তরুণ শিক্ষক

‘আমার সাথে এতো ফ্রেন্ডলি কথা বলছেন। এতে আপনার রেপুটেশন কমে যাবে না?’, তিথির আচমকা প্রশ্নে রাহুল একটু থামে। মেসেজের উত্তর দিতে গিয়েও দিতে পারে না। মাস্টার্স পরীক্ষার রেজাল্ট পাবার পরপরেই

নিতু

এক. আমাদের বাসাটা কলোনির শেষ প্রান্তে, তাই পাড়ার সব খবরই আমরা একটু দেরিতে পাই। সেদিন সকালে আমি সবে ঘুম থেকে উঠতে যাচ্ছি এমন সময় তৃনা এসে বলল, দাদা খবর শুনেছিস।

কাকা কাহিনী

ষাটোর্ধ্ব বয়সের অনেক কাহিনীই আজ তাঁর নিজের কাছে অজানা। ভাবতে বসেও কোনো কুল কিনারা হয় না। সবকিছু আবছা আবছা লাগে। বাবা শখ করে নাম রেখেছিল প্রাণ গোপাল হালদার। কিন্তু তার

অপরিণত

কী মামা, আবার চা খাইতে আইছেন নাকি? তাচ্ছিল্যপূর্ণ কথা যদি কোনো সম্মানিত ব্যক্তি কিংবা উঁচু দরের লোক বলে, তখন কথাগুলোকে খুব কষ্টসাধ্য মনে হলেও গিলে ফেলা যায় অনায়েসে। অথবা একাজ

কথোপকথন – মেহেক

— আমার চোখে কী দেখতে পাচ্ছিস? — কেমন যেন এক নেশা! — নেশা খুঁজে পেলি, ব্যথা খুঁজে পাসনি? *** — চোখের নিচে কী কিছু একটা দেখতে পাস? — হুম, ছড়ানো

বাঙালির বিশ্বকাপ

মন্ত্রীর অনুরোধেই তাঁর ফেরা; আলমারিতে তুলে রাখা পুরাতন জুতো নতুন করে পায়ে লাগানো। ব্যাপারটা বরং আর একটু সহজ করে বলি। খুব সাধারন একটা ঘটনায় মফিজ তার খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টেনেছিল।

কুড়ানো কথা

শহরের বাতাসে একটা খবর ভেসে বেড়ায়; কহরদরিয়া গাঙের পাড়ে, মানে রাজধানী থেকে উত্তর-পশ্চিমে যে আটকুঁড়ে প্রফেসর রাজা-বাদশার মতো জীবন অতিবাহিত করছে সে নাকি ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে, গত তিন মাসে

গত ৩ মাসের...