গল্প

রিটায়ার্ড

দীর্ঘ পঁচিশ বছরের অধ্যাপনা থেকে রাই অবসর নিলো। যদিও আরো দুই বছর সে চাকরীটা করতে পারতো তবু…. রিটায়ার্ডমেন্টের টাকা ব্যাংকে রেখে বাকী জীবনটা হরিদ্বারের কটেজে কাটিয়ে দেবে লেখালেখি করে এটা

ভাইফোঁটা

– চাচা মিয়া, পার্থ কই আছে জানেন? – না তো বাবাজী। পার্থ নামের কাউকে তো চিনি না। কেনো? কী সমস্যা? পার্থ এই এলাকায় পুলিশের খোচর। এমনিতে সে একজন ছিঁচকে চোর।

জেলখানার পরী

জেলখানার মানুষগুলো বন্দী। এর মধ্যেকার সমস্ত ঘাস, লতা-পাতা, গাছ, গাছে বসা পাখিকেও বন্দী মনে হচ্ছে বাহারের। পাখিগুলোর যদিও ডানা আছে এবং তারা সন্ধ্যা হলে নিজ ঘরে ফিরে যায়, তারপরেও দিনের

ফেরা – শেলী জামান খান

হতভম্বের মতোই নিথর নিশ্চল হয়ে দরজার চৌকাঠ ধরে দাঁড়িয়ে রইল ফারিয়া। বজ্রাহত মানুষের মতো একদৃষ্টিতে সে দেখছে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটিকে। এও কী সম্ভব? একদম অবিকল দেখতে আরেকটা মানুষ। সেই

পিঁপড়ামন্ত্র

তারপর সব সৈন্য ফিরলো, অর্ধেক দাঁড়িয়ে আছে জং(কিংবা রক্ত) লাগা তলোয়ার ঠেসে, অর্ধেক শুয়ে আছে কাঠের বাক্সে। আর আকাশের (কিংবা ব্রহ্মাণ্ডের) মতো শূন্য চোখ, বিকট শব গন্ধের ওষুধের মতো– নাকে

আঠার কলার একটি

নাচনসাহা গ্রামনিবাসী বেণুকর মন্ডলের কয়েক বিঘা জমি আছে, তা চষবার লাঙল আছে এবং লাঙল টানিবার বলদ আছে; কারো কাছে কিছু পাওনা আছে, কারো কাছে কিছু ঋণ আছে; গৃহসংলগ্ন খানিক পতিত

চলার পথে

দিনের শেষভাগ উপস্থিত। আকাশের নির্লিপ্ত সূর্য আস্তে আস্তে তলিয়ে যাচ্ছে গভীরে। সমস্ত পৃথিবীতে নেমে আসছে অন্ধকার। আচ্ছা এই সূর্য তলিয়ে কোথায় যায়? বিজ্ঞানের কথা মানতে মন চাই না। ইচ্ছে হয়

ভাঙ্গা গড়া

নছিমনের নছিবটা বরাবরই খারাপ। মনে মনে আশা ছিল এবার একটা ছেলে হবে। কিন্তু সকল আশায় ধূলি উড়িয়ে আবারো জন্ম নিল মেয়ে, এমন সংবাদে (?) আশাহত সিরাজ মিয়া এক পলকের জন্যও

আমার

আমার। এইটা আমার গল্প। আমি শান্তা। সোহানা শান্তা। সম্মান তৃতীয় বর্ষ, হিসাববিজ্ঞান, সরকারি আনন্দমোহন কলেজ। আমার, মুখমণ্ডল গোলাকার, গায়ের রঙ ফর্সা, উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি, বয়স… সরি মেয়েদের বয়স

নৈঃশব্দের আর্তনাদ

পাশের বাড়ির রহমত মিয়ার কাশির ভরা যৌবন ফুটেছে। সারাদিন ঘং ঘং করা এখন একটিই কাজ তার। লিকলিকে শরীর গাল দুটো চুয়ালে গিয়ে ঠেকেছে। চমৎকার কালো বর্ণের মানুষ। ভাবানাশীল মানুষ হিসেবে

গত ৩ মাসের...