কবিতা

পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন বাস করে

পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন বাস করে হৃদয়ের নরম কাতর অনেক নিভৃত কথা জানিয়াছি; পৃথিবীতে আমি বহুদিন কাটায়েছি; বনে বনে ডালপালা উড়িতেছে — যেন পরী জিন্‌ কথা কয়; ধূসর সন্ধ্যায় আমি

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে ভোরের দোয়েলপাখি —

পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত

পৃথিবী রয়েছে ব্যস্ত কোন্‌খানে সফলতা শক্তির ভিতর, কোন্‌খানে আকাশের গায়ে রূঢ় মনুমেন্ট উঠিতেছে জেগে, কোথায় মাস’ল তুলে জাহাজের ভিড় সব লেগে আছে মেঘে, জানি নাকো, আমি এই বাংলার পাড়াগাঁয়ে বাধিঁয়াছি

পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি

পাড়াগাঁর দু পহর ভালোবাসি — রৌদ্র যেন গন্ধ লেগে আছে স্বপনের; — কোন গল্প, কি কাহিনী, কি স্বপ্ন যে বাঁধিয়াছে ঘর আমার হৃদয়ে, আহা, কেউ তাহা জানে নাকো — কেবল

দূর পৃথিবীর গন্ধে ভরে ওঠে

দূর পৃথিবীর গন্ধে ভরে ওঠে আমার এ বাঙালির মন আজ রাতে; একদিন মৃত্যু এসে যদি দূর নক্ষত্রের তলে অচেনা ঘাসের বুকে আমারে ঘুমায়ে যেতে বলে তবুও সে ঘাস এই বাংলার

তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও

তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও—আকাশের রৌদ্র ধুলো ধোঁয়া থেকে স’রে এইখানে চ’লে এসো; পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন তোমাদের কথা শুনিয়াছি—তোমাদের ম্লান-মুখ দেখিয়াছি—তোমাদের ক্লান্ত রক্তাক্ততা দেখিয়াছি কত দিন—ব্যথিত ধানের মতো বুক

তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও

তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও — আমি এই বাংলার পারে র’য়ে যাব; দেখিব কাঁঠালপাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে; দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের সন্ধ্যায় হিম হয়ে আসে ধবল রোমের নিচে তাহার হলুদ

তুমি কেন বহু দূরে

তুমি কেন বহু দূরে — ঢের দূর — আরো দূরে — নক্ষত্রের অস্পষ্ট আকাশ তুমি কেন কোনদিন পৃথিবীর ভিড়ে এসে বলো নাকো একটিও কথা; আমরা মিনার গড়ি — ভেঙে পড়ে

তবু তাহা ভুল জানি

তবু তাহা ভুল জানি — রাজবল্লভের কীর্তি ভাঙে কীর্তিনাশা: তবুও পদ্মার রূপ একুশরত্নের চেয়ে আরো ঢের গাঢ় — আরো ঢের প্রাণ তার, বেগ তার, আরো ঢের জল, জল আরো; তোমারো

চিরদিন শহরেই থাকি

চিরদিন শহরেই থাকি পড়ে থাকি পাটের আড়তে করি কেরানির কাজ—শুভে-লাভে যদি কোনোমতে দিন যায় চ’লে আকাশের তলে নক্ষত্রেরা কয় কোন্‌ কথা জোৎস্নায় প্রাণের জড়তা ব্যথা কেন পায় সে সব খবর

গত ৩ মাসের...