কবিতা

আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে

আকাশে সাতটি তারা যখন উঠেছে ফুটে আমি এই ঘাসে বসে থাকি; কামরাঙা লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়ার মতো গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে-আসিয়াছে শান- অনুগত বাংলার নীল সন্ধ্যা-কেশবতী কন্যা যেন এসেছে

আকাশে চাঁদের আলো

১ আকাশে চাঁদের আলো—উঠোনে চাঁদের আলো—নীলাভ চাঁদের আলো—এমন চাঁদের আলো আজ বাতাসে ঘুঘুর ডাক—অশত্থে ঘুঘুর ডাক—হৃদয়ে ঘুঘু যে ডাকে—নরম ঘুঘুর ডাক আজ তুমি যে রয়েছ কাছে—ঘাসে যে তোমার ছায়া—তোমার হাতের

অশ্বত্থে সন্ধ্যার হাওয় যখন লেগেছে

অশ্বত্থে সন্ধ্যার হাওয় যখন লেগেছে নীল বাংলার বনে মাঠে মাঠে ফিরি একা: মনে হয় বাংলার জীবনে সঙ্কট শেষ হয়ে গেছে আজ; — চেয়ে দেখ কতো শত শতাব্দীর বট হাজার সবুজ

অশ্বত্থ বটের পথে

অশ্বত্থ বটের পথে অনেক হয়েছি আমি তোমাদের সাথী; ছড়ায়েছি খই ধান বহুদিন উঠানের শালিখের তরে; সন্ধ্যায় পুকুর থেকে হাঁসটিরে নিয়ে আমি তোমাদের ঘরে গিয়েছি অনেক দিন, — দেখিয়াছি ধূপ জ্বালো,

অনন্ত জীবন যদি পাই আমি

অনন্ত জীবন যদি পাই আমি—তাহ’লে অনন্তকাল একা পৃথিবীর পথে আমি ফিরি যদি দেখিব সবুজ ঘাস ফুটে উঠে—দেখিব হলুদ ঘাস ঝরে যায়—দেখিব আকাশ শাদা হয়ে উঠে ভোরে—ছেঁড়া মুনিয়ার মত রাঙা রক্ত—রেখা

মানুষের মৃত্যু হলে

মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানুষের কাছে প্রথমত চেতনার পরিমাপ নিতে আসে। আজকের আগে যেই জীবনের ভিড় জমেছিল তারা মরে গেছে; অন্ধকারে হারায়েছে; তবু

তবু

সে অনেক রাজনীতি রুগ্ন নীতি মারী মন্বন্তর যুদ্ধ ঋণ সময়ের থেকে উঠে এসে এই পৃথিবীর পথে আড়াই হাজার বছরে বয়সী আমি; বুদ্ধকে স্বচক্ষে মহানির্বাণের আশ্চর্য শান্তিতে চ’লে যেতে দেখে—তবু—অবিরল অশান্তির

পৃথিবীতে এই

পৃথিবীতে এই জন্মলাভ তবু ভালো; ভূমিষ্ঠ হবার পরে যদিও ক্রমেই মনে হয় কোনো-এক অন্ধকার স্তব্ধ সৈকতের বিন্দুর ভেতর থেকে কোনো অন্য দূর স্থির বলয়ের চিহ্ন লক্ষ্য করে দুই শব্দহীন শেষ

১৯৪৬-৪৭

দিনের আলোয় ওই চারি দিকে মানুষের অস্পষ্ট ব্যস্ততা : পথে-ঘাটে ট্রাক ট্রামলাইনে ফুটপাতে; কোথায় পরের বাড়ি এখুনি নিলেম হবে—মনে হয়, জলের মতন দামে। সকলকে ফাঁকি দিয়ে স্বর্গে পৌঁছুবে সকলের আগে

এই সব দিনরাত্রি

মনে হয় এর চেয়ে অন্ধকারে ড়ুবে যাওয়া ভালো। এইখানে পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারা দেশে এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে। তাদের সম্রাট নেই, সেনাপতি নেই; তাদের হৃদয়ে কোনো সভাপতি

গত ৩ মাসের...