কবিতা

স্থান থেকে

স্থান থেকে স্থানচ্যুত হয়ে চিহ্ন ছেড়ে অন্য চিহ্নে গিয়ে ঘড়ির কাঁটার থেকে সময়ের স্নায়ুর স্পন্দন খসিয়ে বিমুক্ত করে তাকে দেখা যায় অবিরল শাদা-কালো সময়ের ফাঁকে সৈকত কেবলই দূরে সৈকতে ফুরায়;

আছে

এখন চৈত্রের দিন নিভে আসে—আরো নিভে আসে; এখানে মাঠের পরে শুয়ে আছি ঘাসে; এসে শেষ হয়ে যায় মানুষের ইচ্ছা কাজ পৃথিবীর পথে, দু-চারটে–বড়ো জোর একশো শরতে; উর ময় চীন ভারতের

পৃথিবীতে

শস্যের ভিতরে রৌদ্রে পৃথিবীর সকালবেলায় কোনো-এক কবি বসে আছে; অথবা সে কারাগারে ক্যাম্পে অন্ধকারে; তবুও সে গ্ৰীত অবহিত হয়ে আছে এই পৃথিবীর রোদে– এখানে রাত্রির গন্ধে–নক্ষত্রের তরে। তাই সে এখানকার

লোকেন বোসের জর্নাল

সুজাতাকে ভালোবাসতাম আমি — এখনো কি ভালোবাসি? সেটা অবসরে ভাববার কথা, অবসর তবু নেই; তবু একদিন হেমন্ত এলে অবকাশ পাওয়া যাবে এখন শেলফে চার্বাক ফ্রয়েড প্লেটো পাভলভ ভাবে সুজাতাকে আমি

দিনরাত

সারা দিন মিছে কেটে গেল; সারা রাত বড্ড খারাপ নিরাশায় ব্যর্থতায় কাটবে; জীবন দিনরাত দিনগতপাপ ক্ষয় করবার মতো ব্যবহার শুধু। ফণীমনসার কাঁটা তবুও তো স্নিগ্ধ শিশিরে মেখে আছে; একটিও পাখি

অনন্দা

এই পৃথিবীর এ এক শতচ্ছিদ্র নগরী। দিন ফুরুলে তারার আলো খানিক নেমে আসে। গ্যাসের বাতি দাঁড়িয়ে থাকে রাতের বাতাসে। দ্রুতগতি নরনারীর ক্ষণিক শরীর থেকে উৎসারিত ছায়ার কালো ভারে আঁধার আলোয়

যুবা অশ্বারোহী

যুবা অশ্বারোহী, রাঙা কঙ্করের পথে কোন ব্যথা বহি ফিরিতেছ একা একা নদীতীরে–সাঁঝে। তোমারে চিনি না মোরা, আমাদের মাঝে তোমারে পাই নি খুঁজে, দুপুরের রূঢ় কলরবে নগরীর পথে মোরা নামিয়াছি যবে,

বর্ষ-আবাহন

ওই যে পূর্ব তোরণ-আগে দীপ্ত নীলে, শুভ্র রাগে প্রভাত রবি উঠল জেগে দিব্য পরশ পেয়ে, নাই গগনে মেঘের ছায়া যেন স্বচ্ছ স্বৰ্গকায়া ভুবন ভরা মুক্ত মায়া মুগ্ধ-হৃদয় চেয়ে। অতীত নিশি

নিবেদন

কবিযশ চাহি না মা, তোমার দুয়ারে আসিয়াছি মুগ্ধ প্ৰাণে পূজিতে তোমারে! বিগত শৈশবে কবে অরুণের সনে ছন্দোময়ী উদেছিলে মোর বাতায়নে! এসেছিলে চিত্তে মোর পুলক সঞ্চারি নিখিল কবির কাব্যে ঝঙ্কারি ঝঙ্কারি

কবি

বীণা হাতে আমি তব সিংহাসনতলে কালে কালে আসি কবি–কভু পরি গলে জয়মালা, কভু হিংস্র নির্দয় বিদ্রূপ তুলে লই অকুণ্ঠিতে, খুঁজে ফিরি রূপ সৃজনের ছায়াধূপে, আকাশে আলোকে, ধরণী, ড়ুকারি ওঠে যে

গত ৩ মাসের...