কবিতা

মহিলা

এইখানে শূন্যে অনুধাবনীয় পাহাড় উঠেছে ভোরের ভিতর থেকে অন্য এক পৃথিবীর মতো; এইখানে এসে প’ড়ে- থেমে গেলে- একটি নারীকে কোথাও দেখেছি ব’লে স্বভববশত মনে হয়;- কেননা এমন স্থান পাথরের ভারে

প্রয়াণপটভূমি

বিকেলবেলার আলো ক্রমে নিভেছে আকাশ থেকে। মেঘের শরীর বিভেদ ক’রে বর্শাফলার মতো সূর্যকিরণ উঠে গেছে নেমে গেছে দিকে–দিগন্তরে; সকলি ছুপ কী এক নিবিদ প্রণয়বশত। কমলা হলুদ রঙের আলো– আকাশ নদী

পটভূমির

পটভূমির ভিতরে গিয়ে কবে তোমার দেখেছিলাম আমি দশ-পনেরো বছর আগে;—সময় তখন তোমার চুলে কালো মেঘের ভিতর লুকিয়ে থেকে বিদ্যুৎ জ্বালালো তোমার নিশিত নারীমুখের;—জানো তো অন্তর্যামী। তোমার মুখঃ চারিদিকে অন্ধকারে জলের

তার স্থির প্রেমিকের নিকট

বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই,- -আমি বলিনাতো। কারো লাভ আছে;– সকলেরই;– হয়তো বা ঢের। ভাদ্রের জ্বলন্ত রৌদ্রে তবু আমি দূরতর সমুদ্রের জলে পেয়েছি ধবল শব্দ– বাতাসতাড়িত পাখিদের। মোমের প্রদীপ বড়ো

একটি কবিতা

আমার আকাশ কালো হতে চায় সময়ের নির্মম আঘাতে; জানি, তবু ভোরে রাত্রে, এই মহাসময়েরই কাছে নদী ক্ষেত বনানীর ঝাউয়ে ঝরা সোনার মতন সূর্যতারাবীথির সমস্ত অগ্নির শক্তি আছে। হে সুবর্ণ, হে

আজকে রাতে

আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা বলা যেত; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর। কিন্তু যেই নিট নিয়মে ভাবনা আবেগ ভাব বিশুদ্ধ হয় বিষয় ও তার যুক্তির ভিতর;-

মহাত্মা গান্ধী

অনেক রাত্রির শেষে তারপর এই পৃথিবীকে ভালো ব’লে মনে হয়;—সময়ের অমেয় আঁধারে জ্যোতির তারণকণা আসে, গভীর নারীর চেয়ে অধিক গভীরতর ভাবে পৃথিবীর পতিতকে ভালোবাসে, তাই সকলেরই হৃদয়ের ’পরে এসে নগ্ন

প্রিয়দের প্রাণে

অনেক পুরোনো দিন থেকে উঠে নতুন শহরে আমি আজ দাঁড়ালাম এসে। চোখের পলকে তবউ বোঝা গেল জনতাগভীর তিথি আজ; কোনো ব্যতিক্রম নেই মানুষবিশেষে। এখানে রয়েছে ভোর,- নদীর সমস্ত প্রীত জল;-

নারীসবিতা

আমরা যদি রাতের কপাট খুলে ফেলে এই পৃথিবীর নীল সাগরের বারে প্রেমের শরীর চিনে নিতাম চারিদিকের রোদের হাহাকারে,– হাওয়ায় তুমি ভেসে যেতে দখিণ দিকে– যেই খানেতে যমের দুয়ার আছে; অভিচারী

জয়জয়ন্তী সূর্য

কোনো দিন নগরীর শীতের প্রথম কুয়াশায় কোনো দিন হেমন্তের শালিখের রঙে ম্লান মাঠের বিকেলে হয়তো বা চৈত্রের বাতাসে চিন্তার সংবেগ এসে মানুষের প্রাণে হাত রাখেঃ তাহাকে থামায়ে রাখে। সে-চিন্তার প্রাণ

গত ৩ মাসের...