কবিতা

আমি কবি– সেই কবি–

আমি কবি– সেই কবি– আকাশে কাতর আঁখি তুলি হেরি ঝরা পালকের ছবি! আন্‌মনা আমি চেয়ে থাকি দূর হিঙুল-মেঘের পানে! মৌন নীলের ইশারায় কোন্ কামনা জাগিছে প্রাণে! বুকের বাদল উথলি উঠিছে

হৃদয়ে প্রেমের দিন

হৃদয়ে প্রেমের দিন কখন যে শেষ হয় — চিতা শুধু পড়ে থাকে তার, আমরা জানি না তাহা; — মনে হয় জীবনে যা আছে আজো তাই শালিধান রূপশালি ধান তাহা… রূপ,

হায় পাখি একদিন কালীদহে ছিল না কি

হায় পাখি, একদিন কালীদহে ছিল না কি – দহের বাতাসে আষাঢ়ের দু’পহরে কলরব কর নি কি এই বাংলায়! আজ সারাদিন এই বাদলের কোলাহলে মেঘের ছায়ায় চাঁদ সদাগর: তার মধুকর ডিঙাটির

সোনার খাঁচার বুকে রহিব না আমি

সোনার খাঁচার বুকে রহিব না আমি আর শুকের মতন; কি গল্প শুনিতে চাও তোমরা আমার কাছে — কোন্‌ কোন্‌ গান, বলো, তাহলে এ — দেউলের খিলানের গল্প ছেড়ে চলো, উড়ে

সেই দিন এই মাঠ

সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে নাকো জানি — এই নদী নক্ষত্রের তলে সেদিনো দেখিবে স্বপ্ন–সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে! আমি চ’লে যাব ব’লে চালতাফুল কি আর ভিজিবে

সমুদ্রের জলে আমি দেহ ধুয়ে

সমুদ্রের জলে আমি দেহ ধুয়ে, চেয়ে থাকি নক্ষত্রের আকাশের পানে চারিদিকে অন্ধকার: নারীর মতন হাত, কালো চোখ, ম্লান চুল ঝরে যতদূর চোখ যায় নীলজল হৃষ্ট মরালের মতো কলরব করে রাত্রিরে

সন্ধ্যা হয়ে আসে

সন্ধ্যা হয়ে আসে—সন্ধ্যা হয়ে আসে একা একা মাঠের বাতাসে ঘুরি আমি—বসি আমি ঘাসে ওই দূরে দেখা যায় কার লাল পাড় প্রসাদের বউ বুঝি—পাশে বুঝি তার প্রসাদ রয়েছে বসে-বাড়িতেছে সন্ধ্যার আঁধার

সন্ধ্যা হয়

সন্ধ্যা হয় — চারিদিকে মৃদু নীরবতা কুটা মুখে নিয়ে এক শালিখ যেতেছে উড়ে চুপে; গোরুর গাড়িটি যায় মেঠো পথ বেড়ে ধীরে ধীরে; আঙিনা ভরিয়া আছে সোনালি খড়ের ঘন স্তূপে; পৃথিবীর

শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ

শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ — বহুকাল গেয়ে গেছ গান সোনালি চিলের মতো উড়ে উড়ে আকাশের রৌদ্র আর মেঘে, — লক্ষ্মীর বাহন যেই স্নিগ্ধ পাখি আশ্বিনের জ্যোৎস্নার আবেগে গান গায় —

যেদিন সরিয়া যাব তোমাদের কাছ থেকে

যেদিন সরিয়া যাব তোমাদের কাছ থেকে – দূর কুয়াশায় চ’লে যাবো, সেদিন মরণ এসে অন্ধকারে আমার শরীর ভিক্ষা ক’রে লয়ে যাবে;- সেদিন দু’দও এই বাংলার তীর — এই নীল বাংলার

গত ৩ মাসের...