কবিতা

শারমিন সুনতানা রীনার ১টি কবিতা কলমি লতা তোমাকে হারানোর ব্যথা ভুলে যেতে ফিরে যাই কৈশরের স্মৃতিময়তায় মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে কড়া রোদ ঘামে ভিজে কতটা মনোযোগে ফড়িংয়ের ডানায় বেঁধেছি রঙ

রিগ্যান এসকান্দারের সুফিয়াতন্ত্র কাব্যগ্রন্থের চারটি কবিতা: “রাবেয়া বসরি”, “পুলসিরাত”, “কাজল” এবং “ব্যাঙ” রাবেয়া বসরি ধর্মীয় অনুশাসন মোতাবেক, কৈশোরেই আমার ওপর তাগিদ আসে নামাজের। তবুও আমি ঠিক নামাজি হয়ে উঠতে পারি

জাহেদ হোছাইনের চারটি কবিতা ময়নাতদন্ত মানুষ পোড়াবার ষোলোকলা তুমি এত সহজেই শিখে যাবে ভাবিনি; অভিবাদন তোমাকে। সেদিন শান্তিনগরে হাওয়া খেতে গিয়ে হারিয়েছি আমার আড়াই হাজার খুদেবার্তা। আমি তন্ন-তন্ন করে খুঁজেছি

আশরাফ উল আলম শিকদার-এর তিনটি কবিতা তবু মাফ করো না, মা গলি শেষের দোতলা বাড়িটায় আমি থাকি, সস্ত্রীক আমার পরিবারের অন্যান্য সব কোথাও না কোথাও আছে ঐ বাড়িতেই, নিজের নিজের

ম য়ূ খ হা ল দা রে র   ক বি তা ডারউইন ইজ দ্য বস্ আকাশে স্পর্ধার চিল + বুকে নক্ষত্রদের পাড়ায় ঘর বানানোর সাহস এক নম্বরের জুয়াড়ি নদী=রেসকোর্সের মাঠ

সাজ্জাদ সাঈফ-এর তিনটি কবিতা আমাদের মন কাঁদে শিরদাঁড়া টানটান জামগাছটার ছায়া নিঃস্বার্থ– আমাকে এখানেই পাবে, গুল কচলিয়ে মুখে এইদিক দিয়ে ছোটলোকেরা যাবে, কাছেই হাটবাজার, বন্যার অতিমানবিকতায় কমেছে হাঁসের দাম, নদীপাড়ে

গিয়াস গালিব-এর চারটি কবিতা বিসৃত বিকেল সে-অ্যাক বিসৃত বিকেল, দূরে কোথাও বইছে প্রাচীন হলুদ ঘেরাণ আবেগের চটি পড়ে কাশফুল দোল খেলে জাঁইর বাগান পেরিয়ে ছুটি শরৎনদীর নাগাদ, প্রাক্তনের মুখাবয়ব খোঁজের

সিদ্ধার্থ সিংহের কবিতা লোকগুলোকে দেখছি এক দঙ্গল লোক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এক দঙ্গল লোক দেবতার মণিমাণিক্য লুঠ করছে এক দঙ্গল লোক ট্রামে-বাসে আগুন ধরাচ্ছে এক দঙ্গল লোক জোর করে দোকানের

সীমা শামীমার তিনটি কবিতা মন খারাপের রাত কোনো কোনো মন খারাপ খুব একা হয় সিটকে পড়া ট্রেনের বগির মতো আনএটেন্ডেট, অন্ধকার খসে পড়ে স্মৃতির আরশিতে– দৃষ্টিহীন কুয়াশার মতো বিছিয়ে থাকা

মিলন ইমদাদুলের তিনটি কবিতা মানব সভ্যতা ঈশ্বরের বামপকেটে ঝুলে ছিলো যে লাল আপেল মানুষ মূলত তারই সন্তান পৃথিবীতে এসেছিলেন আদম আপেলটিকে ভালোবেসে; অতঃপর– অভিশপ্ত আদম মনুষ্যরূপে যুগে যুগে করে গেলেন