কবিতা

অবরোধ

বহুদিন আমার এ-হৃদয়কে অবরোধ ক’রে র’য়ে গেছে; হেমন্তের স্তব্ধতায় পুনরায় ক’রে অধিকার। কোথায় বিদেশে যেন এক তিল অধিক প্রবীণ এক নীলিমায় পারে তাহাকে দেখিনি আমি ভালো ক’রে,- তবু মহিলার মনন-নিবিড়

উত্তরসাময়িকী

আকাশের থেকে আলো নিভে যায় ব’লে মনে হয়। আবার একটি দিন আমাদের মৃগতৃষ্ণার মতো পৃথিবীতে শেষ হয়ে গেল তবে;— শহরের ট্রাম উত্তেজিত হয়ে উঠে সহজেই ভবিতব্যতার যাত্রীদের বুকে নিয়ে কোন্‌

মহাগোধূলি

সোনালী খড়ের ভারে অলস গোরুর গাড়ি—বিকেলের রোদ প’ড়ে আসে কালো নীল হলদে পাখিরা ডানা ঝাপটায় ক্ষেতের ভাঁড়ারে, শাদা পথ ধুলো মাছি—ঘুম হয়ে মিশিছে আকাশে, অস্ত-সূর্য গা এলিয়ে অড়র ক্ষেতের পারে-পারে

পৃথিবীর রৌদ্রে

কেমন আশার মতো মনে হয় রোদের পৃথিবী, যতদূর মানুষের ছায়া গিয়ে পড়ে মৃত্যু আর নিরুৎসাহের থেকে ভয় আর নেই এ-রকম ভোরের ভিতরে। যতদূর মানুষের চোখ চ’লে যায় ঊর ময় হরপ্পা

দেশ কাল সন্ততি

কোথাও পাবে না শান্তি—যাবে তুমি এক দেশ থেকে দূরদেশে? এ-মাঠ পুরানো লাগে—দেয়ালে নোনার গন্ধ—পায়রা শালিখ সব চেনা? এক ছাঁদ ছেড়ে দিয়ে অন্য সূর্যে যায় তারা-লক্ষ্যের উদ্দেশে তবুও অশোকস্তম্ভ কোনো দিকে

চারিদিকে প্রকৃতির

চারিদিকে প্রকৃতির ক্ষমতা নিজের মতো ছড়ায়ে রয়েছে। সূর্য আর সূর্যের বনিতা তপতী— মনে হয় ইহাদের প্রেম মনে ক’রে নিতে গেলে, চুপে তিমিরবিদারী রীতি হয়ে এরা আসে আজ নয়,—কোনো এক আগামী

বিস্ময়

কখনো বা মৃত জনমানবের দেশে দেখা যাবে বসেছে কৃষাণঃ মৃত্তিকা-ধূসর মাথা আপ্ত বিশ্বাসে চক্ষুষ্মান। কখনো ফুরুনো ক্ষেতে দাঁড়ায়েছে সজারুর গর্তের কাছে; সেও যেন বাবলার কান্ড এক অঘ্রাণের পৃথিবীর কাছে। সহসা

ইতিহাসযান

সেই শৈশবের থেকে এ-সব আকাশ মাঠ রৌদ্র দেখেছি; এই সব নক্ষত্র দেখেছি। বিস্ময়র চোখে চেয়ে কতবার দেখা গেছে মানুষের বাড়ি রোদের ভিতরে যেন সমুদ্রের পারে পাখিদের বিষণ্ণ শক্তির মতো আয়োজনে

অন্ধকার থেকে

গাঢ় অন্ধকার থেকে আমরা এ-পৃথিবীর আজকের মুহূর্তে এসেছি। বীজের ভেতর থেকে কী ক’রে অরণ্য জন্ম নেয়,- জলের কণার থেকে জেগে ওঠে নভোনীল মহান সাগর, কী ক’রে এ-প্রকৃতিতে—পৃথিবীতে, আহা, ছায়াচ্ছন্ন দৃষ্টি

পৃথিবী সূর্যকে ঘিরে

পৃথিবী সূর্যকে ঘিরে ঘুরে গেলে দিন আলোকিত হয়ে ওঠে—রাত্রি অন্ধকার হয়ে আসে; সর্বদাই, পৃথিবীর আহ্নিক গতির একান্ত নিয়ম, এই সব; কোথাও লঙ্ঘন নেই তিলের মতন আজো; অথবা তা হতে হলে

গত ৩ মাসের...