কবিতা

দ্রাঘিমালণ্ঠন

সাজ্জাদ সাঈফের তিনটি কবিতা দ্রাঘিমালণ্ঠন-১২ এত জোরে বৃষ্টি হচ্ছে আর তোমার ভিতর শব্দ করে আছড়ে পড়ছে গাছেরা একে একে এর কিছুই আমাকে জাগাতে যথেষ্ট নয় জেনে এক কাঠবিড়ালির হাঁটার আওয়াজ

দুঃখনদী

মাহমুদ হায়াত এর দুটি কবিতা দুঃখনদী দুঃখনদী বারোমাস আমি না হয় ভেসেই গেলাম জলে তুমি শুধু ভালো থেকো সুখগুলো সব পুষে রেখো আমি না হয় না থাকারই দলে। দুঃখনদী বারোমাস

গুপ্ত ঝরনার দিকে অভিযাত্রা

চাণক্য বাড়ৈর তিনটি কবিতা নাগলিঙ্গম ফুটেছ অদ্ভুত ফুল– নাগলিঙ্গম। এই অরণ্য-আড়ালে থোকা থোকা ফুটে আছ সহস্র স্বয়ম্ভূ তারা– নীলাভ অন্ধকারে জ্বেলেছ রূপাগুণ– দেহদীর্ণ পুষ্পের প্রদীপ। এই বিহ্বল বসন্তের দুপুরে ছড়িয়েছ

নষ্ট ফুল

মজুমদার নোভেলের চারটি কবিতা নষ্ট ফুল পৃথিবীর সব ফুল নষ্ট হয়ে গেলে, সব বসন্ত চিরতরে নাখোশ হয়ে গেলে– মগজের আস্ত চক্রটাকে সেদিন থামিয়ে দেব, পাপটাকে ঘোষিত করবো পূন্যতা। শরীরের ভিতর

ইউটোপিয়া

শিশির আজমের দুটি কবিতা জবাগাছ বিকেলের দেয়ালের পাশে ব্লু ইউনিফর্ম আর জবাগাছ জবাগাছের বিষয়ে আমরা তেমন কিছু জানি না আসলে সে কিছু হারায়ে ফেলছে হয়তো অথবা হারাই নাই কিন্তু চাইতেছে

বিমানতরঙ্গ

মাসুদুল হকের কাব্যগুচ্ছ বিমানতরঙ্গ  ১. বিচ্ছেদপত্র বিমান বন্দরে এলেই তোমার কথা মনে পড়ে আমাদের যৌথভাবে বিশ্বভারতী যাবার কথা ছিল অথচ রান‌ওয়ে জুড়ে তোমার ছায়া পড়ে আছে ২. তৃতীয় বিশ্ব  নিরাপত্তা

টিফিনবাক্স ও পাঁচ মশলা স্বাদ

আবু তাহেরের তিনটি কবিতা রক্তাক্ত ডালিম অসময়ে ফেঁটে যাওয়া ডালিম, রক্তাক্ত বুক তুমি কাকে দেখাও? তুমিও কি ফলরাজ্যের অনাদৃত কোনো কবি? অসম দুঃখের ভারে ছুঁড়ে দিয়েছো আর্তনাদ! অথচ ফলাওকাঙ্ক্ষার দু’টো

দেহগণিত

মজুমদার নোভেল-এর কবিতা দেহগণিত। দেহমন দেহঋণ দেহযোগ দেহসঞ্চয় দেহক্রোধ– দেহআশ্রম দেহযাপন, দেহক্রম। দেহশ্রম দেহপণ দেহপিঞ্জর– দেহক্ষণ। দেহসময় দেহপ্রণয় দেহসনাতন, দেহমিলনায়তন।

প্রাক্তন

নয়ন মাহমুদ-এর কবিতা প্রাক্তন তুমি চলে গেলে নিশ্চুপ, কোনো এক পৌষের রাতে: বললে, ‘কবুল।’ কবিতাকে বিষাদে ভরিয়ে দিয়ে আমার হাতে তুলে দিলে অমরত্বের পাসপোর্ট। যদিও সংসার হয় নি আমাদের; অথচ

ফুলস্টপ

রাখি দে-এর তিনটি কবিতা স্রোত বিমূর্ত শব্দের ধারাবিবরণীতে ভেসে গেছে মুহূর্তের নির্যাস, অমোঘ সত্যের মতো যা ছিলো সবই নৈঃশব্দের কিনারায় একটু একটু করে পাড় বেঁধেছে। স্বপেয় চুমুকে জড়িয়ে থাকা মরসুমি

গত ৩ মাসের...