কবিতা

বিস্ময়

কখনো বা মৃত জনমানবের দেশে দেখা যাবে বসেছে কৃষাণঃ মৃত্তিকা-ধূসর মাথা আপ্ত বিশ্বাসে চক্ষুষ্মান। কখনো ফুরুনো ক্ষেতে দাঁড়ায়েছে সজারুর গর্তের কাছে; সেও যেন বাবলার কান্ড এক অঘ্রাণের পৃথিবীর কাছে। সহসা

তোমাকে

মাঠের ভিড়ে গাছের ফাঁকে দিনের রৌদ্র অই: কুলবধুর বহিরাশ্রয়িতার মতন অনেক উড়ে হিজল গাছে জামের বনে হলুদ পাখির মতো রূপসাগরের পার থেকে কি পাখনা বাড়িয়ে বাস্তবিকই রৌদ্র এখন? সত্যিকারের পাখি?

গভীর এরিয়েলে

ডুবলো সূর্য; অন্ধকারের অন্তরালে হারিয়ে গেছে দেশ। এমনতর আঁধার ভালো আজকে কঠিন রুক্ষ শতাব্দীতে। রক্ত-ব্যথা ধনিকতার উষ্ণতা এই নীরব স্নীগ্ধ অন্ধকারের শীতে নক্ষত্রদের স্থির সমাসীন পরিষদের থেকে উপদেশ পায় না

আমাকে একটি কথা দাও

আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতো সহজ মহৎ বিশাল, গভীর – সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তে মলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের মতন: আমি যাকে আবহমান কাল ভালোবেসে এসেছি

অনেক নদীর জল

অনেক নদীর জল উবে গেছে — ঘরবাড়ি সাঁকো ভেঙে গেল; সে সব সময় ভেদ করে ফেলে আজ কারা তবু কাছে চলে এল যে সুর্য অয়নে নেই কোনো দিন, — মনে

১৩৩৩

তোমার শরীর — তাই নিয়ে এসেছিলে একবার — তারপর — মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্‌ দিকে জানি নি তা — মানুষের ভিড় রাত্রি আর দিন তোমারে

মেঠো চাঁদ (মাঠের গল্প)

মেঠো চাঁদ রয়েছে তাকায়ে আমার মুখের দিকে — ডাইনে আর বাঁয়ে পোড়া জমি — খড়-নাড়া — মাঠের ফাটল, শিশিরের জল! মেঠো চাঁদ — কাস্তের মতো বাঁকা, চোখে– চেয়ে আছে —

পেঁচা (মাঠের গল্প)

প্রথম ফসল গেছে ঘরে, হেমন্তের মাঠে মাঠে ঝরে শুধু শিশিরের জল; অঘ্রানের নদীটির শ্বাসে হিম হয়ে আসে বাঁশপাতা — মরা ঘাস — আকাশের তারা! বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা! ধানক্ষেতে

পঁচিশ বছর পরে (মাঠের গল্প)

শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে বলিলাম: ‘একদিন এমন সময় আবার আসিয়ো তুমি, আসিবার ইচ্ছা যদি হয়!– পঁচিশ বছর পরে!’ এই বলে ফিরে আমি আসিলাম ঘরে; তারপর কতবার

ক্যাম্পে

এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি; সারারাত দখিনা বাতাসে আকাশের চাঁদের আলোয় এক ঘাইহরিণীর ডাকে শুনি — কাহারে সে ডাকে! কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার; বনের ভিতরে আজ শিকারীরা আসিয়াছে,

গত ৩ মাসের...