পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি
পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি ওই কেটে গেল; ওরে যাত্রী। তোমার পথের ‘পরে তপ্ত রৌদ্র এনেছে আহ্বান রুদ্রের ভৈরব গান। দূর হতে দূরে বাজে পথ শীর্ণ তীব্র দীর্ঘতান সুরে, যেন পথহারা
পুরাতন বৎসরের জীর্ণক্লান্ত রাত্রি ওই কেটে গেল; ওরে যাত্রী। তোমার পথের ‘পরে তপ্ত রৌদ্র এনেছে আহ্বান রুদ্রের ভৈরব গান। দূর হতে দূরে বাজে পথ শীর্ণ তীব্র দীর্ঘতান সুরে, যেন পথহারা
শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে। বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে।” কহিলাম আমি, “তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই। চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর
আমার মনের জানলাটি আজ হঠাৎ গেল খুলে তোমার মনের দিকে। সকালবেলার আলোয় আমি সকল কর্ম ভুলে রইনু অনিমিখে।
আজ প্রভাতের আকাশটি এই শিশির-ছলছল, নদীর ধারের ঝাউগুলি ওই
সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা আঁধারে মলিন হল–যেন খাপে-ঢাকা বাঁকা তলোয়ার; দিনের ভাঁটার শেষে রাত্রির জোয়ার এল তার ভেসে-আসা
দূর হতে কী শুনিস মৃত্যুর গর্জন, ওরে দীন, ওরে উদাসীন– ওই ক্রন্দনের কলরোল, লক্ষ বক্ষ হতে
সর্বদেহের ব্যাকুলতা কী বলতে চায় বাণী, তাই আমার এই নূতন বসনখানি। নূতন সে মোর হিয়ার মধ্যে দেখতে কি পায় কেউ। সেই নূতনের ঢেউ অঙ্গ বেয়ে পড়ল ছেয়ে নূতন বসনখানি। দেহ-গানের
যেদিন উদিলে তুমি, বিশ্বকবি, দূর সিন্ধুপারে, ইংলণ্ডে দিকপ্রান্ত পেয়েছিল সেদিন তোমারে আপন বক্ষের কাছে, ভেবেছিল বুঝি তারি তুমি কেবল আপন ধন; উজ্জ্বল ললাট তব চুমি রেখেছিল কিছুকাল অরণ্যশাখার বাহুজালে, ঢেকেছিল
এইক্ষণে মোর হৃদয়ের প্রান্তে আমার নয়ন-বাতায়নে যে-তুমি রয়েছ চেয়ে প্রভাত-আলোতে সে-তোমার দৃষ্টি যেন নানা দিন নানা রাত্রি হতে রহিয়া রহিয়া
যে-কথা বলিতে চাই, বলা হয় নাই, সে কেবল এই– চিরদিবসের বিশ্ব আঁখিসম্মুখেই দেখিনু সহস্রবার
শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির একটি ম্যাগাজিন। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে দর্পণ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং গল্পবাজ ম্যাগাজিনকে আত্তীকরণ করে।
© 2019-2023 Dorpon Magazine