কবিতা

জীবন অথবা মৃত্যু চোখে রবে

জীবন অথবা মৃত্যু চোখে র’বে – আর এই বাংলার ঘাস র’বে বুকে; এই ঘাস:সীতারাম রাজারাম রামনাথ রায়- ইহাদের ঘোড়া আজো অন্ধকারে এই ঘাস ভেঙে চ’লে যায়- এই ঘাস:এরি নিচে কস্কাবতী

চারিদিকে শান্ত বাতি

চারিদিকে শান্ত বাতি — ভিজে গন্ধ — মৃদু কলরব; খেয়ানৌকোগুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে; পৃথিবীর এই সব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল;- এশিরিয়া ধুলো আজ — বেবিলন ছাই হয়ে আছে।

চলে যাব শুকনো পাতা-ছাওয়া ঘাসে

চলে যাব শুকনো পাতা-ছাওয়া ঘাসে — জামরুল হিজলের বনে; তলতা বাঁশের ছিপ হাতে রবে — মাছ আমি ধরিব না কিছু; — দীঘির জলের গন্ধে রূপালি চিতল আর রূপসীর পিছু জামের

ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে

ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে শিয়রে বৈশাখ মেঘ-শাদা-শাদা যেন কড়ি-শঙ্খের পাহাড় নদীর ওপার থেকে চেয়ে রবে- কোনো এক শঙ্খবালিকার ধূসর রূপের কথা মনে হবে-এই আম জামের ছায়াতে কবে

ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন

ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে; তখনো যৌবন প্রাণে লেগে আছে হয়তো বা — আমার তরুণ দিন তখনো হয়নি শেষ- সেই ভালো — ঘুম আসে-বাংলার তৃণ আমার বুকের নিচে

ঘাসের ভিতরে সেই চড়ায়ের শাদা ডিম

ঘাসের ভিতরে সেই চড়ায়ের শাদা ডিম ভেঙে আছে — আমি ভালোবাসি নিস্তব্ধ করুণ মুখ তার এই — কবে যেন ভেঙেছিল — ঢের ধুলো খড় লেগে আছে বুকে তার — বহুক্ষণ

ঘাসের বুকের থেকে

ঘাসের বুকের থেকে কবে আমি পেয়েছি যে আমার শরীর — সবুজ ঘাসের থেকে; তাই রোদ ভালো লাগে — তাই নীলাকাশ মৃদু ভিজে সকরুণ মনে হয়; — পথে পথে তাই এই

ঘাটশিলা—ঘটশিলা—

ঘাটশিলা—ঘটশিলা— কলকাতা ছেড়ে বল ঘাটশিলা কে যায় মিছাই চিরদিন কলতাকা থাকি আমি, ঘাটশিলা ছাই। চিঠির উপরে তবু চিঠি কয়েকটা দিন এইখানে এসে তুমি থেকে যাও চিঠিগুনো হয়ে গেল পুরোনো মলিন

ঘরের ভিতরে দীপ জ্বলে ওঠে সন্ধ্যায়

ঘরের ভিতরে দীপ জ্বলে ওঠে সন্ধ্যায়—ধীরে ধীরে বৃষ্টি ক্ষান্ত হয় ভিজে চালে ডুমুরের পাতা ঝরে—শালিখ বসিয়া থাকে মুহূর্ত সময় জানালার কাছে এসে, ভিজে জানালার কাছে মৌমাছি বহুক্ষণ মৃদু গুমরায় এইসব

গোলপাতা ছাউনির বুক চুমে

গোলপাতা ছাউনির বুক চুমে নীল ধোঁয়া সকালে সন্ধ্যায় উড়ে যায়- মিশে যায় আমবনে কার্তিকের কুয়াশার সাথে; পুকুরের লাল সর ক্ষীণ ঢেউয়ে বার-বার চায় সে জড়াতে করবীর কচি ডাল; চুমো খেতে

গত ৩ মাসের...