কবিতা

কবিতাশয্যা

প্রত্যয় হামিদের কবিতা কবিতাশয্যা যখন আমি কবির শয্যায় হয়ে উঠি নিরেট কবিতা। উত্থিত অনুভূতি ঠোঁটে ছুঁয়ে শুদ্ধ করি সমূহ বচন। যখন আমি কবির শয্যায়– সে আমাকে শব্দে শব্দে ভেঙে গড়ে

চুরুট ও অন্যান্য

সেবক বিশ্বাসের ৫টি কবিতা সন্ন্যাসী আকাশ স্ফুরিত জলের ঝিলিকে কেঁপে ওঠে অরুন্ধতী, গোধূলির গায়ে কেমন পুরোনো ফুলের গন্ধ, দিগন্তের চিঠি বুঝি খুলে গেছে কবিতার হাতে; পায়রার পাখায় সাদা সাদা উজ্জ্বল

সভ্যতার উপকরণ

এলিজা খাতুনের তিনটি কবিতা ‘বিম্বিত ক্ষণে’, ‘হেমন্ত চলে না যায়’ এবং ‘সভ্যতার উপকরণ’ বিম্বিত ক্ষণে আয়নার সামনে এসে দাঁড়াতেই ওপার থেকে সে বললো– ‘তোমাকে দাঁড়িয়ে থাকতেই হবে।’ গাঢ় সংকটে, অনটনে–

অনিদ্রা

অনিদ্রা কী এক কঠিন অনিদ্রা রোগে ভুগছো তুমি আমার স্বদেশভূমি; বাংলাদেশ তোমার দুচোখে ঘুম নেই কতদিন হলো? চোখের নিচে কালির আস্তরণ দেখে আমারও নিদ্রা টুটে যায় মাঝরাতে ধড়ফড় করে জেগে

এসো, তোমার পাশে একটু বসি

জোবায়ের মিলনের দুটি কবিতা ‘এসো, তোমার পাশে একটু বসি’ এবং ‘অনার্য সময়’ এসো, তোমার পাশে একটু বসি এসো, তোমার পাশে একটু বসি তুমিও আমার পাশে একটু বসো পাশাপাশি বসে ভেতরে

উপন্যাসের পাতা থেকে

ময়ূখ হালদারের তিনটি কবিতা ‘রেসকোর্স’, ‘উপন্যাসের পাতা থেকে’ এবং ‘আগামীর ইতিহাস’ রেসকোর্স ন’টার সাইরেন বাজে না এখন আর কলে পড়া ইঁদুরের মতো কুলি-কামিনের ভোর বাজারের সবচেয়ে উঁচু আকন্দ গাছটায় বসেছে

বিবাহিতদের অশ্বজ্ঞান

বিবাহিতদের অশ্বজ্ঞান খুন হতে থাকি জনারণ্যে— বারংবার খুনের স্পর্শে টেরা হয়ে আসে চোখ নোনতা গন্ধে হাওয়ায় ওড়ে বেহিসেবি চুল। অজস্র মুখের কারবার এখানে— বিবাহিতরা বলেন, ব্যাচলরদের চোখে ব্যাকরণ নেই সুন্দরের

কী চাহ আমার দেশ!

কী চাহ আমার দেশ! এটা রমনীকান্তের ভিটে বাড়ি। অবাঞ্ছিত ঘাসে ভরেছে উঠোন ঠাকুর ঘরে শাপ আর শামুক খেলা করে বড় ঘর ভরে আছে ইঁদুর বাদুর পুকুরে প্রচুর কলমি আর শাপলা

বাইবেলের মোরগ

রিগ্যান এসকান্দারের দুটি কবিতা ‘বাইবেলের মোরগ’ এবং ‘প্রেম ও যুদ্ধবিষয়ক’ বাইবেলের মোরগ প্রিয়তমা ডিডো, তোমার কান্নার ভেতর ঢুকে যাচ্ছে একটা ভোর আর ভোরের বেদনা স্রোতে জেগে উঠছে একটি রঙিন মোরগ।

পৌষের রয়ানি

সানাউল্লাহ সাগরের পৌষের কবিতা পৌষের রয়ানি এক পুরোহিতের দরজা থেকে ফিরে এসেছি, ঘায়েল ডালে শরীর ছড়িয়ে পুড়ছি শৈশব; আহা রঙিন প্লাবন। আফ্রিকার ঘ্রাণ ছুটে যাচ্ছো কই? সওদাগর এমন সবুজ বৈঠকে

গত ৩ মাসের...