কবিতা

স্বপ্নের হাত

পৃথিবীর বাধা — এই দেহের ব্যাঘাতে হৃদয়ে বেদনা জমে — স্বপনের হাতে আমি তাই আমারে তুলিয়া দিতে চাই। যেই সব ছায়া এসে পড়ে দিনের রাতের ঢেউয়ে — তাহাদের তরে জেগে

পিপাসার গান

কোনো এক অন্ধকারে আমি যখন যাইব চলে — আরবার আসিব কি নামি অনেক পিপাসা লয়ে এ মাটির তীরে তোমাদের ভিড়ে! কে আমারে ব্যথা দেছে — কে বা ভালোবাসে — সব

কার্তিক মাঠের চাঁদ (মাঠের গল্প)

জেগে ওঠে হৃদয়ে আবেগ — পাহাড়ের মতো অই মেঘ সঙ্গে লয়ে আসে মাঝরাতে কিংবা শেষরাতে আকাশে যখন তোমারে! — মৃত কে পৃথিবী এক আজ রাতে ছেড়ে দিল যারে! ছেঁড়া ছেঁড়া

নির্জন স্বাক্ষর

তুমি তা জানো না কিছু, না জানিলে- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে! যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে, পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের ‘পরে শুয়ে রবে? অনেক

অবসরের গান

শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার — চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ, তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান,

জীবন

১ চারি দিকে বেজে ওঠে অন্ধকার সমুদ্রের স্বর — নতুন রাত্রির সাথে পৃথিবীর বিবাহের গান! ফসল উঠিছে ফলে — রসে রসে ভরিছে শিকড়; লক্ষ নক্ষত্রের সাথে কথা কয় পৃথিবীর প্রাণ।

সহজ

আমার এ গান কোনোদিন শুনিবে না তুমি এসে– আজ রাত্রে আমার আহ্বান ভেসে যাবে পথের বাতাসে– তবুও হৃদয়ে গান আসে! ডাকিবার ভাষা তবুও ভুলি না আমি– তবু ভালোবাসা জেগে থাকে

পাখিরা

ঘুমে চোখ চায় না জড়াতে — বসন্তের রাতে বিছানায় শুয়ে আছি; — এখন সে কত রাত! অই দিকে শোনা যায় সমুদ্রের স্বর, স্কাইলাইট মাথার উপর আকাশে পাখিরা কথা কয় পরস্পর

বোধ

আলো — অন্ধকারে যাই — মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়, কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয় — শান্তি নয় — ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে

পাখিরা

ঘুমে চোখ চায় না জড়াতে — বসন্তের রাতে বিছানায় শুয়ে আছি; — এখন সে কত রাত! অই দিকে শোনা যায় সমুদ্রের স্বর, স্কাইলাইট মাথার উপর আকাশে পাখিরা কথা কয় পরস্পর

গত ৩ মাসের...