কবিতা

১৪০০ সাল

[কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “আজি হতে শতবর্ষ পরে” পড়িয়া] আজি হ’তে শত বর্ষ আগে! কে কবি, স্মরণ তুমি ক’রেছিলে আমাদেরে শত আনুরাগে, আজি হ’তে শত বর্ষ আগে। ধেয়ানী গো, রহস্য-দুলাল! উতারি’

বর্ষা-বিদায়

ওগো বাদলের পরী! যাবে কোন্ দূরে ঘাটে বাঁধা তব কেতকী পাতার তরী! ওগো ও ক্ষণিকায়, পুব-অভিসার ফুরাল কি আজ তব? পহিল ভাদরে পড়িয়াছে মনে কোন্ দেশ অভিনব? তোমার কপোল-পরশ না

কাণ্ডারী হুশিয়ার!

১ দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুশিয়ার! দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভূলিতেছে মাঝি পথ, ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ? কে আছ জোয়ান,

কুলি-মজুর

দেখিনু সেদিন রেলে, কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে! চোখ ফেটে এল জল, এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল? যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ

লিচু চোর

বাবুদের তাল-পুকুরে হাবুদের ডাল-কুকুরে সে কি বাস করলে তাড়া, বলি থাম একটু দাড়া। পুকুরের ঐ কাছে না লিচুর এক গাছ আছে না হোথা না আস্তে গিয়ে য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে গাছে

প্রলয়োল্লাস

তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর! ঐনূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! আস্‌ল এবার অনাগত প্রলয়–নেশায় নৃত্য–পাগল, সিন্ধু–পারের সিংহ–দ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল! মৃত্যু–গহন অন্ধকুপে,

কারার ঐ লৌহ কপাট

১ কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী। ওরে ও তরুণ ঈশান! বাজা তোর প্রলয় বিষাণ! ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি। ২ গাজনের বাজনা

কামাল পাশা

[তখন শরৎ-সন্ধ্যা। আস্মানের আঙিনা তখন কার্বালা ময়দানের মতো খুনখারাবির রঙে রঙিন। সেদিনকার মহা-আহবে গ্রীক-সৈন্য সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইহা গিয়াছে। তাহাদের অধিকাংশ সৈন্যই রণস্থলে হত অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে। বাকি সব প্রাণপণে পৃষ্ঠ

খেয়া-পারের তরণী

যাত্রীরা রাত্তিরে হতে এল খেয়া পার, বজ্রেরি তূর্যে এ গর্জেছে কে আবার? প্রলয়েরি আহ্বান ধ্বনিল কে বিষাণে! ঝন্‌ঝা ও ঘন দেয়া স্বনিল রে ঈশানে! নাচে পাপ-সিন্ধুতে তুঙ্গ তরঙ্গ! মৃত্যুর মহানিশা

চল্ চল্ চল্

চল্ চল্ চল্। ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল, নিম্নে উতলা ধরণী-তল, অরুণ প্রাতের তরুণ-দল চলের চলের চল্ চল্ চল্ চল্। ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত, আমরা টুটাব তিমির

গত ৩ মাসের...