কবিতা

শতাব্দী

চার দিকে নীল সাগর ডাকে অন্ধকারে, শুনি; ঐখানেতে আলোকস্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে ঢের একটি-দুটি তারার সাথে — তারপরেতে অনেকগুলো তারা; অন্নে ক্ষুধা মিটে গেলেও মনের ভিতরের ব্যথার কোনো মীমাংসা নেই জানিয়ে

মৃত্যু স্বপ্ন সংকল্প

আঁধারে হিমের আকাশের তলে এখন জ্যোতিষ্কে কেউ নেই। সে কারা কাদের এসে বলেঃ এখন গভীর পবিত্র অন্ধকার; হে আকাশ, হে কালশিল্পী, তুমি আর সূর্য জাগিয়ো না; মহাবিশ্বকারুকার্য, শক্তি, উৎস, সাধঃ

হে হৃদয়

হে হৃদয় নিস্তব্ধতা? চারিদিকে মৃত সব অরণ্যেরা বুঝি? মাথার ওপরে চাঁদ চলছে কেবলি মেঘ কেটে পথ খুঁজে- পেঁচার পাখায় জোনাকির গায়ে ঘাসের ওপরে কী যে শিশিরের মতো ধূসরতা দীপ্ত হয়

সামান্য মানুষ

একজন সামান্য মানুষকে দেখা যেতো রোজ ছিপ হাতে চেয়ে আছে; ভোরের পুকুরে চাপেলী পায়রাচাঁদা মৌরলা আছে; উজ্জ্বল মাছের চেয়ে খানিকটা দূরে আমার হৃদয় থেকে সেই মানুষের ব্যবধান; মনে হয়েছিলো এক

যদিও দিন

যদিও দিন কেবলি নতুন গল্পবিশ্রুতির তারপরে রাত অন্ধকারে থেমে থাকাঃ—লুপ্তপ্রায় নীড় সঠিক ক’রে নেয়ার মতো শান্ত কথা ভাবা; যদিও গভীর রাতের তারা (মনে হয়) ঐশী শক্তির; তবুও কোথাও এখন আর

মানুষ যা চেয়েছিল

গোধূলির রঙ লেগে অশ্বত্থ বটের পাতা হতেছে নরম; খয়েরী শালিখগুলো খেলছে বাতাবীগাছে—তাদের পেটের শাদা রোম সবুজ পাতার নীচে ঢাকা প’ড়ে একবার পলকেই বার হয়ে আসে, হলুদ পাতার কোলে কেঁপে-কেঁপে মুছে

সূর্য রাত্রি নক্ষত্র

এইখানে মাইল মাইল ঘাস ও শালিখ রৌদ্র ছাড়া আর কিছু নেই। সূর্যালোকিত হয়ে শরীর ফসল ভালোবাসিঃ আমারি ফসল সব,- মীন কন্যা এসে ফলালেই বৃশ্চিক কর্কট তুলা মেষ সিংহ রাশি বলয়িত

সময়ের তীরে

নিচে হতাহত সৈন্যদের ভিড় পেরিয়ে, মাথার ওপর অগণন নক্ষত্রের আকাশের দিকে তাকিয়ে, কোনো দূর সমুদ্রের বাতাসের স্পর্শ মুখে রেখে, আমার শরীরের ভিতর অনাদি সৃষ্টির রক্তের গুঞ্জরণ শুনে, কোথায় শিবিরে গিয়ে

যতিহীন

বিবেলবেলা গড়িয়ে গেলে অনেক মেঘের ভিড় কয়েক ফলা দীর্ঘতম সূর্যকিরণ বুকে জাগিয়ে তুলে হলুদ নীল কমলা রঙের আলোয় জ্বলে উঠে ঝরে গেল অন্ধকারের মুখে। যুবারা সব যে যার ঢেউয়ে– মেয়েরা

মাঘসংক্রান্তির রাতে

হেপাবক, অন্ত নক্ষত্রাবীথি তুমি, অন্ধকারে তোমার পবিত্র অগ্নি জ্বলে। অমাময়ী নিশি যদি সৃজনের শেষ কথা হয়, আর তার প্রতিবিম্ব হয় যদি মানব হৃদয়, তবুও আবার জ্যোতি সৃষ্টির নিবিড় মনোবলে জ্ব’লে

গত ৩ মাসের...