কবিতা

আদিম

প্রথম মানুষ কবে এসেছিল এই সবুজ মাঠের ফসলের উৎসবে! দেহ তাহাদের এই শস্যের মতো উঠেছিল। ফলে, এই পৃথিবীর ক্ষেতের কিনারে, সবজির কোলে কোলে এসেছিল তারা ভোরের বেলায় রৌদ্র পোহাবে ব’লে—

অন্য এক প্রেমিককে

মাথার উপর দিয়ে কার্তিকের মেঘ ভেসে যায়; দুই পা স্নিগ্ধ করে প্রান্তরের ঘাস; উঁচু-উঁচু গাছের অস্পষ্ট কথা কী যেন অন্তিম সূত্র নিয়ে, বাকিটুকু অবিরল গাছের বাতাস। চিলের ডানার থেকে ঠিকরিয়ে

রামদাস

যুগসন্ধিতে ভারত যখন সহসা তিমিরময়— বীর সন্ন্যাসী গাহিয়া উঠিলে নব আলোকের জয়! অনাগত এক আশার স্বপ্নে নিমিষে উঠিলে জাগি, মাতিয়া উঠিলে দশের লাগিয়া, দেশ-দেবতার লাগি। ওহে সাগ্নিক, প্রাণের অনলে জ্বালালে

বেদূইন

ধবল কঙ্কাল যেথা দিকে দিকে রয়েছে ছড়ায়ে অন্তহীন বালুকা জড়ায়ে, দিবানিশি জুলিতেছে লক্ষ চুল্লিশিখা পথে পথে দৈন্য যেথা, গ্লানি বিভীষিকা, নিঃসহায় প্ৰাণ, মরুভূ-ঝটিকা গর্জে দিকে দিকে ক্ষিপ্ত, বহ্নিমান! কোটি কোটি

পরবাসী

যাহাদের পায়ে পায়ে চলে চলে জাগিয়াছে আঁকাবাঁকা চেনা পথগুলি দিকে দিকে পড়ে আছে যাহাদের দেহমাটি—করোটির ধূলি, যাহারা ভেনেছে ধান গান গেয়ে—খুঁটেছে পাখির মতো মিঠে খুদকুঁড়া, যাহাদের কামনায় ইশারায় মাটি হল

কোহিনূর

কোহিনূর তোমারে ঘেরিয়া জাগে কত স্বপ্ন–স্মৃতির শ্মশান, ভুলুণ্ঠিত লুব্ধ অভিযান; সাম্রাজ্যের অশ্রু, রক্ত, সমাধি, পতন হে হীরক, একে একে করেছ চুম্বন! স্পর্শে তব অনাদি অতীত যেন নিরন্তর মর্মে ওঠে ধ্বনি!

আঁধারের যাত্রী

চারি দিকে ধু ধু রাতি—সৃজনের অন্ধকাররাশি, জোনাকির মতো প্ৰাণ তার মাঝে চলিছে উদাসী! পত্রগুচ্ছে যেটুকু নিশীথ, যে খণ্ড আঁধারটুকু, যে তুষার শীত, তারই বুকে ঢালি তাপ, জ্বলি আমি শিখা, অনন্ত

অদ্ভুুত আঁধার এক

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই – প্রীতি নেই – করুণার আলোড়ন নেই পৃথিবী অচল আজ তাদের

কুড়ি বছর পরে

আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি! আবার বছর কুড়ি পরে- হয়তো ধানের ছড়ার পাশে কার্তিকের মাসে- তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে-তখন হলুদ নদী নরম নরম হয় শর

কমলালেবু

একবার যখন দেহ থেকে বার হয়ে যাব আবার কি ফিরে আসব না আমি পৃথিবীতে? আবার যেন ফিরে আসি কোনো এক শীতের রাতে একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে কোনো এক

গত ৩ মাসের...