কবিতা

জীবন

১ চারি দিকে বেজে ওঠে অন্ধকার সমুদ্রের স্বর — নতুন রাত্রির সাথে পৃথিবীর বিবাহের গান! ফসল উঠিছে ফলে — রসে রসে ভরিছে শিকড়; লক্ষ নক্ষত্রের সাথে কথা কয় পৃথিবীর প্রাণ।

অবসরের গান

শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার — চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ, তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান,

প্রেম

আমরা ঘুমায়ে থাকি পৃথিবীর গহ্বরের মতো — পাহাড় নদীর পারে অন্ধকারে হয়েছে আহত — একা — হরিণের মতো আমাদের হৃদয় যখন! জীবনের রোমাঞ্চের শেষ হলে ক্লান্তির মতন পান্ডুর পাতার মতো

শকুন

মাঠ থেকে মাঠে মাঠে — সমস্ত দুপুর ভরে এশিয়ার আকাশে আকাশে শকুনেরা চরিতেছে; মানুষ দেখেছে হাট ঘাঁটি বস্তি — নিস্তব্ধ প্রান্তর শকুনের; যেখানে মাঠের দৃঢ় নীরবতা দাঁড়ায়েছে আকাশের পাশে আরেক

পরস্পর

মনে পড়ে গেল এক রূপকথা ঢের আগেকার, কহিলাম, শোনো তবে — শুনিতে লাগিল সবে, শুনিল কুমার; কহিলাম, দেখেছি সে চোখ বুজে আছে, ঘুমানো সে এক মেয়ে — নিঃসাড় পুরীতে এক

কয়েকটি লাইন

কেউ যাহা জানে নাই কোনো একবানী — আমি বহে আনি; একদিন শুনেছ যে সুর — ফুরায়েছে পুরনো তা — কোনো এক নতুন কিছুর আছে প্রয়োজন, তাই আমি আসিয়াছি, আমার মতন

অনেক আকাশ

গানের সুরের মতো বিকালের দিকের বাতাসে পৃথিবীর পথ ছেড়ে — সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে হৃদয় ভাসিয়া যায় — সেখানে সে কারে ভালোবাসে! — পাখির মতন কেঁপে — ডানা মেলে —

হিন্দু-মুসলমান

মহামৈত্রীর বরদ-তীর্থে-পুণ্য ভারতপুরে পূজার ঘন্টা মিশিছে হরষে নমাজের সুরে-সুরে! আহ্নিক হেথা শুরু হয়ে যায় আজান বেলার মাঝে, মুয়াজ্জেনদের উদাস ধ্বনিটি গগনে গগনে বাজে, জপে ঈদগাতে তসবি ফকির, পূজারী মন্ত্র পড়ে,

স্মৃতি

থমথমে রাত, আমার পাশে বসল অতিথি- বললে আমি অতীত ক্ষুধা-তোমার অতীত স্মৃতি! -যে দিনগুলো সাঙ্গ হল ঝড়বাদলের জলে, শুষে গেল মেরুর হিমে, মরুর অনলে ছায়ার মতো মিশেছিলাম আমি তাদের সনে;

সেদিন এ ধরণীর

সেদিন এ ধরণীর সবুজ দ্বীপের ছায়া-উতরোল তরঙ্গের ভিড় মোর চোখে জেগে জেগে ধীরে ধীরে হল অপহত- কুয়াশায় ঝ’রে পড়া আতসের মতো! দিকে দিকে ডুবে গেল কোলাহল,- সহসা উজার জলে ভাটা

গত ৩ মাসের...