কবিতা

ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে

ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে।           দুঃখ-সুখের লীলা      ভাবিস এ কি রইবে বক্ষে চেপে           জগদ্দলন-শিলা।      চলেছিস রে

আমাদের ছোট নদী

আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি, দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি। চিক্ চিক্ করে বালি,

সূর্য নক্ষত্র নারী

তোমার নিকট থেকে সর্বদাই বিদায়ের কথা ছিলো সব চেয়ে আগে; জানি আমি। সে-দিনও তোমার সাথে মুখ-চেনা হয় নাই। তুমি যে এ-পৃথিবীতে র’য়ে গেছো। আমাকে বলেনি কেউ। কোথাও জল্কে ঘিরে পৃথিবীর

সময়সেতুপথে

ভোরের বেলায় মাঠ প্রান্তর নীলকন্ঠ পাখি, দুপুরবেলার আকাশে নীল পাহাড় নীলিমা, সারাটি দিন মীনরৌদ্রমুখর জলের স্বর– অনবসিত বাহির ঘরের ঘরণীর এই সীমা। তবুও রৌদ্র সাগরে নিভে গেল; বলে গেল :

যতদিন পৃথিবীতে

যতদিন পৃথিবীতে জীবন রয়েছে দুই চোখ মেলে রেখে স্থির মৃত্যু আর বঞ্চনার কুয়াশার পারে সত্য সেবা শান্তি যুক্তির নির্দেশের পথ ধ’রে চ’লে হয়তো-বা ক্রমে আরো আলো পাওয়া যাবে বাহিরে—হৃদয়ে; মানব

হেমন্তের রাতে

শীতের ঘুমের থেকে এখন বিদায় নিয়ে বাহিরের অন্ধকার রাতে হেমন্তলক্ষ্মীর সব শেষ অনিকেত অবছায়া তারাদের সমাবেশ থেকে চোখ নামায়ে একটি পাখির ঘুম কাছে পাখিনীর বুকে ডুবে আছে,– চেয়ে দেখি;– তাদের

সারাৎসার

এখন কিছুই নেই—এখনে কিছুই নেই আর, অমল ভোরের বেলা র’ইয়ে গেছে শুধু; আশ্বিনের নীলাকাশ স্পষ্ট ক’রে দিয়ে সূর্য আসে; অনেক আবছা জল জেগে উঠে নিজ প্রয়োজনে নদী হয়ে সমস্ত রৌদ্রের

গত ৩ মাসের...