তৃতীয় পর্ব
দুই ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ১৮টি স্টেশন অতিক্রমের পর অবশেষে শিয়ালদহে পৌঁছালাম। স্টেশনের যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই কেবল মানুষ আর মানুষ। কেউ ঢুকছে। কেউ বের হচ্ছে। মানুষ যেন পিঁপড়ার দলের মতো দৌড়াচ্ছে। কারো এক দণ্ড দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। সর্বত্র লোকে লোকারণ্য।
এমন ভিড়ে মনে আরো বেশি ভয় জাগছে। টের পাচ্ছি প্রবল হৃৎম্পন্দন। কেবল মনে হচ্ছে, এখানেও বুঝি ছিনতাইকারী ওত পেতে আছে; সুযোগ বুঝে ঠিক ছিনিয়ে নেবে সব টাকা-পয়সা। সাহসী হওয়ার ভান করছিলাম কেবল।
খোকনকে মনে হচ্ছিল আমার চেয়ে আরো বেশি নার্ভাস। তাকে বললাম স্বাভাবিক থাকতে। এত বিশাল প্ল্যাটফর্ম, এত মানুষের আনাগোনা দেখে বিস্ময় জাগছে। খুঁজে পাচ্ছিলাম না বের হওয়ার রাস্তা। আমাদের জন্য যে এ একেবারে নতুন শহর! কলকাতার মতো বিশাল ও বৈচিত্র্যময় এই মহানগরীতে আমরা যে আগন্তুক।
ভার্সিটির অনেক বন্ধুর কাছে শুনেছি, কলকাতার মতো এত বেশি পকেটমার বিশ্বের আর কোনো শহরে নেই; যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায় তারা; পুলিশকে পর্যন্ত পরোয়া করে না। এ কথা মনে হতেই আরো বেশি আতঙ্ক বোধ করছি। কুঁকড়ে যাচ্ছে মন। তার সঙ্গে সকালের বনগাঁ স্টেশনের ঘটনাটি মনে পড়ছে বারবার। প্ল্যাটফর্মে জনসমুদ্রের মাঝখানে হাঁটতেও ভয় পাচ্ছি। কী হয় কী হয় একটা ভাব যেন ঘিরে রেখেছে। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়!
অবশেষে খুব সাবধানে ও সন্তর্পণে স্টেশন থেকে বের হলাম। হাঁটতে লাগলাম ফুটপাত ধরে। তাকাতেই দেখি, রাস্তার ঠিক মাঝখান বরাবর রেললাইনের মতো একধরনের লাইন পাতা, যা রাজপথের সঙ্গে মেশানো। মুহূর্তে বুঝে নিলাম, এগুলো ট্রাম লাইন। সুনীল-সমরেশের বইতে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা ছিল। তাই সামান্যও অবাক হইনি। আর রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের এই ট্রাম লাইনেই অকালপ্রয়াণ ঘটে। ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে স্টেশনের কাছাকাছি ‘ক্যালকাটা লজ’ নামের একটি হোটেলে উঠলাম।
হোটেলের নিচেই অনেক বড় একটি রেস্টুরেন্ট। বিলম্ব না করে স্নান-পর্ব সেরে সেখানেই খেয়ে নিলাম দুপুরের খাবার। তারপর রুমে গিয়ে গতরাত নির্ঘুম কাটানোয় ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম। ঘুম ভাঙার পর বের হলাম বিকেল ৪টায়। পথঘাট তো কিছু চিনি না। কী করা যায়—এমন চিন্তা করতেই দেখি, দুই কামরার একটি ট্রাম ডিপো থেকে বের হয়ে আসছে। খুব ধীরগতিতে।
কোনো কিছু না ভেবে প্রায় খালি ট্রামটিতে চেপে বসলাম আমরা দুজন। জানি না, ট্রামটি কোথায় যাচ্ছে। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম, ট্রামের শেষ স্টেশনে গিয়ে নামব। এপিসি রায় রোড, সূর্য সেন স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে যাওয়ার সময় মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম পড়ন্ত বিকেলের কলকাতাকে। এবার আর ভয় করছে না।
রাস্তাগুলোর নাম জানা থাকায় শহরটিকে খুব চেনা ও আপন মনে হচ্ছে এবার। অনেকটা স্বস্তিবোধ করছি। কলকাতার কত বইতে কতবার এ নামগুলো পড়েছি, তার ইয়ত্তা নেই। ট্রামের শেষ স্টেশনে এসে আবিষ্কার করলাম জায়গাটার নাম ধর্মতলা। খোকনকে বললাম—দেখো, এটি ধর্মতলা; নচিকেতার সেই বিখ্যাত ধর্মতলা। গেয়ে উঠলাম অজান্তে—‘চলে এসো এই ঠিকানায়/২০১ ধর্মতলায়।’
নেমে পড়লাম ধর্মতলায়। ফুটপাত ধরে হেঁটে হেঁটে শহরটাকে চেনার চেষ্টা করছি। প্রশস্ত রাস্তা ও গগনচুম্বী অট্টালিকা দেখে চোখ ছানাবড়া। আমাদের প্রথম ইচ্ছে ছিল পাতাল-রেলে চড়া। এখানে পাতাল-রেলকে বলা হয় মেট্রো। আমার হাতে থাকা গাইড বলছে, এসপ্লানেডে মেট্রো স্টেশন আছে; কিন্তু আমরা তো এসপ্লানেড চিনি না।
কী করা যায় যখন ভাবছিলাম, তখনই একটি বাস এসে থামে সামনে। কন্ডাক্টরকে গাড়িটি এসপ্লানেডে যাবে কি না জিজ্ঞেস করতেই সে বলল— ‘আরে দাদা, এটাই তো এসপ্লানেড।’
তার উত্তরে লজ্জা পেলাম খুব। আমাদের কথাবার্তা ও ভাব দেখে সে বুঝে নিল আমরা এই শহরে আগন্তুক। তাই জানতে চাইল যে আমরা এসপ্লানেডের ঠিক কোন জায়গায় যেতে চাচ্ছি। সে কথা বলতেই সে আঙুল উঁচিয়ে পথ দেখিয়ে দিল।
পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতে লাগলাম মেট্রো স্টেশনের দিকে। এদিক-ওদিক কেবল ট্রাম লাইন চোখে পড়ছে। ট্রাম আসছে-যাচ্ছে। খোকন বলল— ‘সাবধানে হাঁটো, না হয় কাল পত্রিকায় আসবে—আরেক জীবনানন্দ দাশের ট্রাম-চাপায় মৃত্যু।’
খোকনের কথায় হাসি পেল খুব। উচ্চস্বরে হাসতে থাকি দুজন। জীবনানন্দ সম্ভবত রাসবিহারি অ্যাভিনিউতে ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান। হয়তো কবিতার ভাবনায় বা অন্য কোনো চিন্তায় এতটা মগ্ন ছিলেন যে জীবনানন্দ দাশ ট্রামের হুইশেল শুনতে পাননি। খোকনের দৃষ্টিতে আমি এই যুগের জীবনানন্দ। কারণ আমি যে জীবনানন্দ দাশের ঘোর ভক্ত।
যা হোক, মেট্রো কাউন্টার অবশেষে পেলাম। টিকিট কেটে সিঁড়ি দিয়ে ধাপে ধাপে নেমে পড়লাম পাতালপুরীতে। মুহূর্তের মধ্যে এসে পড়ে ট্রেন। উঠে পড়লাম। টিকিট ছিল টালিগঞ্জ পর্যন্ত। যেহেতু আমরা কিছু চিনি না, তাই ঠিক করেছিলাম টালিগঞ্জ থেকে আবার মেট্রোতে না হয় এখানে চলে আসব। তারপর এখান থেকে ট্রামে চড়ে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে আমাদের হোটেলে ফিরব।
মেট্রোতে ওঠার জন্য টালিগঞ্জ স্টেশনকে বেছে নেওয়ার কারণ ছিল—কলকাতার সিনেমা পাড়া হিসেবে এই টালিগঞ্জ নামটি আমাদের বেশ পরিচিত। ভাবলাম, যদি দেখা হয়ে যায় প্রসেনজিৎ কিংবা ঋতুপর্ণা, রিয়া সেন, রাইমা সেন, তাপস পাল বা রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে। তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব। না, শেষ পর্যন্ত কারো সঙ্গে দেখা হয়নি; পা বাড়াইনি সিনেমা পাড়ার দিকে।
মেট্রোতে কলকাতার আধুনিকতা ও জৌলুশ চোখে ধরা দিল। মেয়েরা এখানে অনেক বেশি স্মার্ট; চলাফেরায়ও বেশ সাবলীল। মনে হলো যেন ইউরোপ-আমেরিকার কোনো শহরে আমরা এসে পড়েছি। কত স্বচ্ছন্দে নারী-পুরুষ পাশাপাশি বসে যাতায়াত করছে। কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছে না।
কয়েক স্টেশন পার হয়েই টালিগঞ্জ। টালিগঞ্জ ওই লাইনের শেষ স্টেশন। পরে পাতালরেলের লাইন অনেক দূর গেলেও ওই সময় ছিল টালিগঞ্জ পর্যন্ত। পাতালপুরী থেকে বের হয়ে ওপরে উঠলাম। এবার কোথায় যাব—সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। তখনো সন্ধ্যা নামেনি। ভাবলাম, দেবাশীষদার কাছেই চলে যাই; ঠিকানা তো ঠিক মনে আছে।
দেবাশীষদা থাকেন দেশপ্রিয় পার্কের কাছে। ব্যবসা করেন। তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য টালিগঞ্জ থেকে বাসে চেপে বসি। ভাড়া দিতে গিয়ে দেশপ্রিয় পার্কের কথা বলতেই কন্ডাক্টর জানাল, ‘আপনারা ভুল গাড়িতে উঠেছেন, উল্টো দিকের বাসে যান।’
কী আর করা! নেমে পড়লাম। বিপরীত দিকের বাসে চেপে দেশপ্রিয় পার্কের সামনে নামলাম। কন্ড্রাক্টর পার্কটি দেখিয়ে দিল।
দেবাশীষদার দোকান ‘মিরা সিলেকশন’ খুঁজে পেতে একটুও সময় লাগেনি। পরপর অনেকগুলো দোকান লাগোয়া। আমাদের দেখে তো তিনি যেন আকাশ থেকে পড়েছেন! দেবাশীষদা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, আমি কলকাতায় এসেছি।
এখানে তাঁর সম্পর্কে একটু বলে রাখছি।
আমরা দুজন একই গ্রামের ছেলে। বয়সে তিনি আমার দুই বছরের বড়। তাই পড়তেন দুই ক্লাস ওপরে। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় মা-বাবা তাঁকে মামার বাড়ি কলকাতার বাঘা যতীনে পাঠিয়ে দেন। তাঁর মামারা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মানুষ; কলকাতায় থিতু হয়েছেন আশির দশকে। তিনি এসেছেন ১৯৯৪ সালে। আসার পর থেকেই ব্যবসায় জড়িয়ে গেছেন; কিছুদিন মামার দোকানে থেকে পরে নিজেই শুরু করেছেন। ব্যবসায় বেশ উন্নতি করলেও মানসিক দিক থেকে তিনি একটুও বদলাননি। অবিকল আগের মতোই আছেন।
যা-ই হোক, খবর না দিয়ে আসার জন্য দেবাশীষদা মৃদু ভর্ৎসনা করলেন আমাকে। তবে খুশি যে হয়েছেন, তা প্রকাশ পায় চোখেমুখে। বেশি কথা বলতে পারছিলেন না ব্যস্ততার জন্য। কারণ নতুন বছরের জন্য কেনাবেচার ধুম চলছিল দোকানে।
সেই দিন ছিল ২৯ চৈত্র। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল পরদিন শান্তিনিকেতনে যাব এবং সেখানে উদ্যাপন করব পয়লা বৈশাখ। সেই ইচ্ছে প্রকাশ করি দেবাশীষদার কাছে। তিনি ট্রেনের খবর নিয়ে আমাদের জানালেন যে, সকাল ১০টায় হাওড়া থেকে ‘শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস’ যোগে বোলপুর যেতে হবে। খবরটি জেনে আশ্বস্ত হলাম।
কিছুক্ষণ পর ভিড় একটু কমলে তিনি আপ্যায়ন করালেন আমাদের। গল্প করলেন বেশ কিছুক্ষণ। বিদায়বেলায় আমাদের বললেন—দেশপ্রিয় পার্কের সামনে থেকে ট্রামে করে বালিগঞ্জ চলে যাও। বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে শিয়ালদহের ট্রেন আছে।
বালিগঞ্জে আঙুর খুব সস্তা দেখে এক কেজি কিনে নিলাম; টিকিট কেটে স্টেশনের বেঞ্চিতে বসে কিছু খেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন এলো। কিন্তু ভিড়ের কারণে আমরা ট্রেনে উঠতে পারলাম না। আমরা জানতাম না যে, কিছুক্ষণ পরপর ট্রেন আসে।
তখন তো আর মুঠোফোন ছিল না যে কল দিয়ে মুহূর্তে মুহূর্তে সব জেনে নেব। আর ট্রেন নেই মনে করে স্টেশন ছেড়ে বের হয়ে বাইরে এলাম; সিদ্ধান্ত নিলাম, ট্যাক্সিতে চড়েই সোজা শিয়ালদহ যাব। কিন্তু শিয়ালদহ এখান থেকে বেশ দূরে বিধায় ট্যাক্সিওয়ালারা কিছুতেই যেতে রাজি হলো না।
পরবর্তীতে যে ঘটনাটি ঘটে তা ভাবলে আজও শিহরিত হই।
অগত্যা ট্যাক্সি না পাওয়ায় বালিগঞ্জ স্টেশনের সামনে থেকে হেঁটে হেঁটে গড়িয়াহাট মোড়ে চলে আসি। কন্ডাক্টরকে জিজ্ঞেস করে শিয়ালদা যাওয়ার জন্য বাসে চেপে বসলাম।
রাত নয়টার সময়ও বাসে নারী-পুরুষ প্রায় সমান সমান। বাসের সামনের অর্ধেক নারীদের জন্য আর পেছনের অংশ পুরুষদের। বিষয়টা ঢাকাবাসী হিসাবে অবাক করে আমাদের।
এদিকে বাস যায় তো যায়, আমাদের গন্তব্য আর আসে না। জানালার বাইরে হঠাৎ তাকিয়ে দেখি, বাসটি শহর এলাকা ছেড়ে নির্জন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।
বিভ্রান্ত হয়ে পাশের ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করলাম—দাদা, বাসটি কি শিয়ালদহ যাচ্ছে না?
তিনি উত্তর দিলেন—শিয়ালদহ তো অনেক আগেই পার হয়ে এসেছে। বাসটি এখন যাচ্ছে সল্টলেকের দিকে।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দূরবীন উপন্যাস পড়ে আগেই জেনেছিলাম, সল্টলেক বা লবণহ্রদ হচ্ছে কলকাতার অভিজাত এলাকা। অনেকটা আমাদের উত্তরার মতো বিচ্ছিন্ন।
ঢাকা থেকে এসেছি শুনে আমাদের প্রতি তাঁকে সদয় মনে হলো। ভদ্রলোক আমাদের আশ্বস্ত করে বললেন, আমি সামনের স্টেশনে নামব। আপনারাও আমার সঙ্গে সেখানে নেমে পড়ুন। তারপর উল্টো দিকের বাসে চেপে শিয়ালদহ যেতে পারবেন।
এদিকে রাত সাড়ে নয়টা বেজে গেছে। হোটেল ম্যানেজার জানিয়েছিল যে দশটায় হোটেল বন্ধ হয়ে যাবে। ভয়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। এমনিতেই অচেনা শহর, তার ওপর এত রাত। আবার মনে পড়ে যায় সকালে বনগাঁ স্টেশনের ছিনতাইয়ের কথা।
আমাদের উদ্বিগ্ন চেহারা ও দুর্দশা দেখে ভদ্রলোক সাহায্যে এগিয়ে এলেন। একটি ট্যাক্সিক্যাব ঠিক করে দিয়ে ড্রাইভারকে বলে দিলেন, আমরা ওনার আত্মীয় এবং আমাদেরকে ৫০ টাকায় শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে যেন হোটেলে পৌঁছে দেয়।
বিবেকানন্দ রোড হয়ে এপিসি রায় রোডে উঠতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম; ফেললাম স্বস্তির নিশ্বাস। ট্যাক্সি যখন হোটেলের গেটে পৌঁছে, তখন দশটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি।
দুশ্চিন্তা আর ভয়ে খোকন রাতে কিছুই খেতে পারল না। নিজে আতঙ্কিত বোধ করলেও আমি তাকে বারবার অভয় দিচ্ছিলাম।
সকাল থেকে এই পর্যন্ত এতগুলো ঘটনার জন্য দুজনেই কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমাদের সঙ্গে এসব কী হচ্ছে! এভাবে বেশ উত্তেজনা আর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় ভ্রমণের প্রথম দিন।
(চলবে…)
প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব
পঞ্চম পর্ব ষষ্ঠ পর্ব সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব