কলকাতার দিনগুলি ০৪


কলকাতার দিনগুলি


চতুর্থ পর্ব


পরদিন ঘুম ভাঙে সকাল সাতটায়।

জানালা খুলে আবিষ্কার করি আলো ঝলমলে কলকাতাকে। বাইরে রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়া দেখে মন ভালো হয়ে যায়; ফুরফুরে হাওয়া বয় মন-বাতায়নে।

গতকালের সব ঘটনা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। বারবার মনে পড়ছে সে ঘটনাগুলো। ইচ্ছে করছে এখনই দেশে ফিরে যাই। কিন্তু সে কি সম্ভব! আজ যে চৈত্রসংক্রান্তি। তীর্থস্থানে পৌঁছে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কলকাতায় এসেছি। শান্তিনিকেতনে যেতেই হবে। স্নান-পর্ব সেরে রাস্তায় নেমে আসি। হোটেলের সামনে থেকে বাসে চড়ে খুব অল্প সময়ে পৌঁছে যাই হাওড়া স্টেশনে।

এত বড় স্টেশন, এত মানুষজন, এত বিশাল প্ল্যাটফর্ম দেখে আমাদের চোখ ছানাবড়া।

বুঝতে পারলাম, ভারতের সব রাজ্যের ট্রেন এখান থেকে ছাড়ে। এখানেও মানুষজন কেবল দৌড়াচ্ছে। শিয়ালদহ স্টেশনের মতোই। কেউ ঢুকছে কেউ বের হচ্ছে। টিকিট কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের লম্বা লাইন দেখে একটু ঘাবড়ে গেলাম। টিকিট পাব তো! শঙ্কা জাগে মনে।

হাওড়া থেকে বোলপুরগামী ‘শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস’ ছাড়বে দশটায়। অথচ আমরা স্টেশনে পৌঁছে গেলাম আটটার আগে।

না, টিকিট সংগ্রহ করতে বেগ পেতে হয়নি। লাইনটি বেশি দীর্ঘ নয়। অগত্যা বোলপুরের টিকিট কেটে স্টেশনে বসে বসে দেখতে লাগলাম ট্রেনের আসা-যাওয়া। স্টেশনেই হালকা নাশতা সেরে নিলাম।

ভাষ্যকার তিনটি ভাষায়, বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে বারবার বলে চলেছেন— কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাচ্ছে কোথাকার ও কোন সময়ের ট্রেন। আর কোন প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে কোথাকার ট্রেন। মুম্বাই, পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি, বিশাখাপত্তনম, দিল্লি, জয়পুর, চেন্নাই, নাগপুর, শ্রীনগর, গৌহাটি, অমৃতসর, আহমেদাবাদ— এসব স্থানের নামগুলো বারবার কানে আসছিল। আর মনের কল্পনায় সেই সব অচেনা শহরে আমি হেঁটে বেড়াতে লাগলাম— কবে যে যেতে পারব এসব শহরে!

শান্তিনিকেতনে বৈশাখের প্রথম তিন দিন খুব আনন্দে হই চই করে কাটিয়ে ৪ বৈশাখ বিকেলে ‘শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস’ যোগে কলকাতায় ফিরে আসি আমরা।

হাওড়া স্টেশনের পাবলিক বুথ থেকে ফোন করলাম দেবাশীষদাকে। এখানে এক টাকার কয়েন দিয়ে কথা বলা যায় তিন মিনিট। অল্প কথায় তিনি জানিয়ে দিলেন, আমরা যেন ধর্মতলায় মেট্রো সিনেমার সামনে চলে আসি; তিনি ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ওখানে পৌঁছে যাবেন। বাসে যেতে আমাদেরও এর চেয়ে বেশি সময় লাগবে না বলে তিনি জানালেন।

স্টেশন থেকে বের হয়ে পায়ে পায়ে চলে আসি একেবারে রবীন্দ্র সেতুর ওপর। পরিব্রাজকের দৃষ্টিতে দেখতে থাকি পড়ন্ত বিকেলের হাওড়া-কলকাতার যুগলবন্দী। দেখি গঙ্গার বুকে ভেসে চলা বিভিন্ন ধরনের নৌযান। কিছু স্থির দাঁড়িয়ে। কিছু চলমান।

আর ভয় করছে না। বেশ স্বাভাবিক লাগছে, যেন আমরা এবার কলকাতা জয় করতে এগিয়ে যাচ্ছি। মনে এখন অসীম সাহস। কারণ এখন থেকে দেবাশীষদা আমাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হতে যাচ্ছেন। অনুসন্ধিৎসু মনে বাসে উঠলাম।

রবীন্দ্র সেতু (হাওড়া ব্রিজ) থেকে চোখে পড়ে দূরে আরো একটি সুন্দর ব্রিজ— বিদ্যাসাগর সেতু। এই সেতুরও নান্দনিকতা হলো, এর নিচে কোনো পিলার নেই। টানা ব্রিজ। দুটি সেতুই আপন বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জল। দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালির নামে সেতু দুটির নামকরণ। পরে জেনেছি, দক্ষিণেশ্বরের কাছে রয়েছে বিবেকানন্দ সেতু (বালি ব্রিজ) নামে আরো একটি সেতু। ধীরে ধীরে যানজট ঠেলে আমরা পৌঁছে যাই গন্তব্যে। কন্ডাক্টরই আমাদের নামিয়ে দেয় মেট্রো সিনেমার সামনে।

নেমে দেখি দেবাশীষদা আগেই এসে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেখান থেকে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম এবং ইডেন গার্ডেনের (ক্রিকেট খেলার জন্য বিখ্যাত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ভেন্যু) পাশ দিয়ে হেঁটে চলে এলাম গঙ্গার ধারে। প্রবেশ করলাম মিলেনিয়াম পার্কে। গঙ্গার সুশীতল বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে গেল।

এখান থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ওপারের হাওড়া শহরটি। পার্কটি ভ্রমণার্থীদের জন্য ছোট ছোট বেঞ্চ দিয়ে চমৎকারভাবে সাজানো। ছোট ছোট গাছগুলোও বেশ নয়নাভিরাম।

পার্কের মধ্যখানে ‘রানি রাসমণি’-র একটি ভাস্কর্য আমার নজর কাড়ে। আগে থেকে জানতাম, এ মহীয়সী নারীই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের জন্য জায়গা দান করেন। এমনকি তিনি সেই মন্দির নির্মাণে করেছিলেন সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা। পৃথিবীতে কত ধনী ব্যক্তি হারিয়ে যায়, তাঁদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ভুলে যায়, কিন্তু কিছু মানুষ ঠিক রয়ে যায় মানুষের মনের মন্দিরে। মানুষ তাঁদের লালন করেন। কৃতকর্মই তাঁদের বাঁচিয়ে রাখে অনাগতকালের মানুষের হৃদয়ে। সমাজ-ধর্ম আর মানুষের জন্য কিছু করলে তা কখনো বিফলে যায় না। রানি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এসব ভেবে ভাস্কর্যের সামনে শ্রদ্ধায় আমার মাথা নত হয়ে এলো।

কলকাতার প্রেমিক-প্রেমিকাদের বেড়ানোর যে কয়েকটি জায়গা আছে, তার মধ্যে মিলেনিয়াম পার্কটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ— এ-কথা জানলাম দেবাশীষদার কাছে। কার্যত দেখলামও তাই। সারে সারে জুটি বসে আছে অভিনব কায়দায়। ঢাকার চেয়ে এখানকার তরুণ-তরুণীদের অনেক বেশি অগ্রসর মনে হলো।

আমরাও একটি বেঞ্চ দখল করে বসলাম। তিনজন মিলে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। বাদাম খেলাম। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে গঙ্গার বুকে। তারপর রাত। রাতের গঙ্গার মোহময় রূপ ভীষণ মুগ্ধ করে আমাদের। ওপারের হাওড়া শহরটিকে এপার থেকে মনে হচ্ছিল আলোর স্বপ্নপুরী।

রাতে থাকার জন্য দেবাশীষদা যেখানে নিয়ে গেলেন, তা এক চমৎকার অভিজ্ঞতা। ব্যাচেলর কৃষ্ণদা, যার এক কামরার ঘরে আমরা রাতে ছিলাম, একটি অদ্ভুত চরিত্র। কৃষ্ণদার কথার মধ্যে সহজে ধরা পড়ে যে তিনি খুব কৃপণ। তিনি কিছুতে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, দুটি ছেলে বাংলাদেশ থেকে শুধু কলকাতায় বেড়ানোর জন্য এতগুলো টাকা খরচ করে আসতে পারে!

কৃষ্ণদা তার রুমটি আমাদের জন্য ছেড়ে দিয়ে চলে যান বন্ধুর বাড়িতে। যাওয়ার আগ পর্যন্ত বারবার বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করে আমাদের অতিষ্ঠ করে তোলেন। আমরাও উল্টোপাল্টা উত্তর দিয়ে তার সঙ্গে রসিকতা করি। তবে সেসব ঠাট্টার অনেক কিছুই তিনি ধরতে পারেননি। মনে হলো, তিনি খুব সহজ-সরল। দেবাশীষদা আমাদের রাতের জন্য রুটি ডাল সবজি কিনে দিয়ে চলে গেলেন। বলে গেলেন, সব যেন খেয়ে শেষ করি; তিনি সকালে যত দ্রুত সম্ভব চলে আসবেন।

সকালে এসে কৃষ্ণদা যখন দেখেন যে আমরা রাতের খাবারের অর্ধেক না খেয়ে নষ্ট করেছি। বিষয়টি তাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে। অনেকক্ষণ ধরে বোঝালেন টাকা-পয়সার মাহাত্ম্য। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করার জন্য মৃদু ভর্ৎসনা করেন আমাদের। তার কথা শুনে আমরা হাসি মিটিমিটি করে। তাকে আরো ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য আমরা বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করি।

আড্ডা চলার মধ্যেই দেবাশীষদা এসে হাজির; পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বের হবেন আমাদের নিয়ে।

পাশেই ছিল একটি ছোট পুকুর; সেখানে স্নান করলাম সাঁতার কেটে। তারপর নাশতা সেরে নিলাম। কোথায় কোথায় বেড়াব তার একটি তালিকা ছিল আমাদের; দেবাশীষদার হাতে তা তুলে দিলাম। তিনি বললেন— হবে; সব হবে। দেরি না করে চলো দ্রুত বেরিয়ে পড়ি। বের হতেই রবীন্দ্রনাথের কবিতা মনে পড়ে—

‘ইঁটের-টোপর-মাথায়-পরা     শহর কলকাতা

অটল হয়ে বসে আছে—     ইঁটের আসন পাতা।

ফাল্গুনে বয় বসন্তবায়,       না দেয় তারে নাড়া।

বৈশাখেতে ঝড়ের দিনে      ভিত রহে তার খাড়া।

শীতের হাওয়ায় থামগুলোতে   একটু না দেয় কাঁপন।

শীত বসন্ত সমান-ভাবে       করে ঋতুযাপন।।’

এ বিশাল ইঁটের নগরীতে বেড়ানোর জায়গার অভাব নেই। প্রথমে ঢুকলাম ভারতীয় জাদুঘরে। ব্রিটিশদের বানানো এই বিশাল এই জাদুঘরে প্রবেশ করে আমরা যারপরনাই বিস্মিত। ঘুরতে ঘুরতে কেবল মনে হচ্ছিল, এ দেখার বুঝি শেষ নেই! পিরামিডের দেশ মিসরে না গিয়েও চার হাজার বছরের পুরোনো একটি মিসরীয় মৃতদেহের মমি এ জাদুঘরে দেখলাম। নিজেদের মনে হলো খুব সৌভাগ্যবান।

প্রায় তিন ঘণ্টা পর জাদুঘর থেকে বের হলাম। সময়ের হিসাব করে অনেক কিছুই আমাদের বাদ দিতে হলো। মনে মনে গাইলাম—ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু। এখনো তো ঘোরার সব জায়গাই বাকি। সবে তো শুরু হলো মাত্র।

জাদুঘরের অনতিদূরে বিড়লাদের প্লানেটরিয়াম। বিড়লা তারকামন্দির নিয়ে বইয়ে অনেক কিছু পড়েছি। দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। আজ পূরণ হবে সেই ইচ্ছে। সে কথা ভাবতেই ভালো লাগছিল। তারপর আমরা চলে এলাম প্লানেটরিয়ামের মূল ফটকে। মন্দিরটির বাইরের চাকচিক্য দেখে বেশ অভিভূত হলাম।

বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় শো পরিচালিত হয় এখানে। প্রতিটি শোয়ের সময়কাল ৩০ মিনিট। তখন ইংরেজি শো চলছিল; এরপরই বাংলা শুরু হবে। চারপাশে হাঁটাহাঁটি করে সময়টা পার করলাম। তারপর এলো আমাদের পালা। টিকিট কেটে দল বেঁধে ঢুকলাম ভেতরে।

বাতি নেভানোর কিছুক্ষণ পর সমস্ত আকাশ হাজারো তারাসহ আমাদের মাথায় ওপর চলে এলো। অডিটরিয়াম অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় একটু ভয় ভয় লাগছিল। ভাষ্যকার তারকারাজি গ্রহ-নক্ষত্রের সঙ্গে একটি একটি করে বাংলায় বর্ণনা দিতে থাকলেন। বেশ উপভোগ করলাম এই তারকামণ্ডল। বের হওয়ার পরও অনেকক্ষণ সেই অনুভূতি মনের মধ্যে ছড়িয়ে ছিল।

বিড়লা মন্দির থেকে বের হয়ে যাই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে। মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামে নির্মিত ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল’ কলকাতার এক উল্লেখযোগ্য পর্যটন-কেন্দ্র। এ প্রাসাদের ভেতরে কেবল ইতিহাস, বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস, ভারতবর্ষের পরাধীন যুগের ইতিহাস। ইতিহাস আমাকে খুব টানে। তাই কৌতূহলী হয়ে প্রতিটি ছবি দেখলাম এবং ছবির নিচের লেখাগুলো পড়লাম। জানতে পারি পরাধীন যুগের অনেক তথ্য। টের পাই অদ্ভুত এক ঘোর লাগা।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উল্টোদিকে ময়দান। রাস্তা পার হয়ে চলে এলাম আমরা। ময়দান থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল। বেশ কিছু ছবি তুললাম এখানে। ময়দানের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে কলকাতার বিখ্যাত ভেলপুরী খেলাম। সেই স্বাদ যেন আজও মুখে লেগে আছে।

তারপর ট্যাক্সিতে বিদ্যাসাগর সেতু পার হয়ে চলে এলাম হুগলীর বোটানিক্যাল গার্ডেনে। বিশাল এই বাগানের বৃক্ষবৈচিত্র্য দেখে আমি বিস্মিত। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। কোন গাছটি নেই বাগানটিতে! মনে হলো পৃথিবীর সমস্ত গাছ এখানে আছে।

এই বাগানে আমাদের জন্য বিশেষ দর্শনীয় ছিল ‘গ্রেট বেনিয়ান ট্রি’, সেই বিশাল বটবৃক্ষ। জানলাম, বটবৃক্ষটির বয়স প্রায় ৪০০ বছর। মূল গাছটি কোনো এক ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে যাওয়ার পর এখন টিকে আছে কেবল শিকড়। ২৮০০ শিকড়ের বৃক্ষহীন গাছটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা হলেও সীমানার বাইরে চলে গেছে অনেক শিকড় ও ঝুরি। অনেককে দেখলাম গাছটিকে ঘিরে থাকতে, যেন কেবল তারা গাছটি দেখতেই এসেছে।

(চলবে…)


প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব

পঞ্চম পর্ব ষষ্ঠ পর্ব সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব


 

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
কবিতা

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে—সবচেয়ে সুন্দর করুণ : সেখানে সবুজ ডাঙা ভ’রে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল; সেখানে গাছের নামঃ কাঁঠাল,

চলছি উধাও

চলছি উধাও, বল্গাহারা- ঝড়ের বেগে ছুটেশিকল কে সে বাঁধছে পায়ে!কোন্‌ সে ডাকাত ধরছে চেপে টুটি!-আঁধার আলোর সাগরশেষেপ্রেতের মতো আসছে ভেসে!আমার

শকুন

মাঠ থেকে মাঠে মাঠে — সমস্ত দুপুর ভরে এশিয়ার আকাশে আকাশে শকুনেরা চরিতেছে; মানুষ দেখেছে হাট ঘাঁটি বস্তি — নিস্তব্ধ

গল্প

কাছের মানুষ দূরের ভালোবাসা

হেলেনা দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে খাঁচায় বন্দি পাখির মতো। দৃষ্টি প্রধান ফটকের সামনে উত্তর-দক্ষিণ সড়কে। এটাকে ঠিক সড়ক বলা চলে