কলকাতার দিনগুলি ০২


কলকাতার দিনগুলি


দ্বিতীয় পর্ব 


একটি গ্রাম থেকে ‘কলকাতা’ কীভাবে পরিণত হয়েছিল তিলোত্তমা নগরীতে, ভারতবর্ষের রাজধানী শহরে, প্রাচ্যের অন্যতম প্রধান শহরে—তার কিছু ইতিহাস এখানে বর্ণনা করতে চাই। যেহেতু ভ্রমণকাহিনিটি কলকাতা মহানগরীকে কেন্দ্র করে, তাই কলকাতার ইতিহাসের খানিকটা বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।

কলকাতা নগরী পত্তনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের এক সুদীর্ঘ কাহিনি। বলে রাখা ভালো, এই লেখার প্রতিটি ভ্রমণকাহিনিতে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ কোনো না কোনোভাবে এসেছে; প্রাধান্য পেয়েছে রবীন্দ্র-স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো।

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরদের আদি পদবি ছিল ‘কুশারী’। সম্ভবত ‘কুশ’ গ্রামের ব্রাহ্মণ ছিলেন বলে তাঁদের নামের সঙ্গে ‘কুশারী’ পদবি যুক্ত হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে, তখনকার দিনে গ্রামের নামানুসারে নির্ধারিত হতো নামের শেষে পদবি। যদি পদবি পরিবর্তন না হতো, আমাদের হয়তো এখন লিখতে হতো রবীন্দ্রনাথ কুশারী। যাক, সে ভিন্ন কথা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন রামলোচন ঠাকুরের পোষ্যপুত্র। রামলোচন ঠাকুরের কোনো পুত্রসন্তান না থাকায় তিনি তাঁর মেজ ভাইয়ের ছেলে দ্বারকানাথ ঠাকুরকে দত্তক নিয়েছিলেন। রামলোচন ঠাকুরের পিতার নাম ছিল নীলমণি ঠাকুর। নীলমণি ঠাকুরের তিন সন্তানের মধ্যে রামলোচন ছিলেন জ্যেষ্ঠ। নীলমণি ঠাকুরই জোড়াসাঁকো অঞ্চলে শেঠ বৈষ্ণবচরণ প্রদত্ত জমির সঙ্গে আরো জমি কিনে ক্রমে ক্রমে স্থাপন করেছিলেন তাঁর নিজস্ব প্রাসাদ।

এই ‘নীলমণি ঠাকুর’ তাঁর অগ্রজ দর্পনারায়ণের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে মেছো-বাজারের পাথুরিয়া ঘাটার অভিজাত পল্লির বাড়ি ছেড়ে জোড়াসাঁকোয় আশ্রয় নেন। জোড়াসাঁকো তখন একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। ব্রাহ্মণকে ভূমিদানের পুণ্যার্জনের আশায় নীলমণি ঠাকুরকে আশ্রয় দিলেন কলকাতার বিখ্যাত ধনপতি ‘শেঠ বৈষ্ণবচরণ’।

নীলমণি ঠাকুরের আদি পুরুষ পঞ্চানন ও শুকদেব কুশারী কলকাতার আদিযুগের স্টিভেডর ও কন্ট্রাক্টর। ‘কুশারী’ পদবিধারী এই দুই খুল্লতাত আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদের কারণে স্ব-গ্রাম খুলনার রূপসাতীরের পিঠাভোগ গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ভাগ্যান্বেষণে। ঘুরতে ঘুরতে এঁরা এসে পৌঁছান গোবিন্দপুরের খাঁড়ির কাছে।

ছোট জাতের ব্রাহ্মণ হলেও তাঁদের সাজ-পোশাকে কোনো ত্রুটি ছিল না। পরনে পাটের কাপড়, মাথায় স্থুল শিখা এবং কপালে চন্দন, গায়ের রং গৌর; দেখলেই ব্রাহ্মণ বলে চেনা যায়। গোবিন্দপুরের খাঁড়ির পাশে তখন শুধু কয়েক ঘর জেলে, মালো আর কৈবর্তের বাস। ব্রাহ্মণ দেখে তারা ষাষ্টাঙ্গে প্রণাম করল এবং এখানেই তাঁদের অধিষ্ঠিত হওয়ার অনুরোধ জানাল। তাঁরা সবিনয়ে গ্রহণ করলেন এই অনুরোধ।

সেই গোবিন্দপুরের খাঁড়ির নামই আজকের আদি গঙ্গা বা টালির নালা। গোবিন্দপুর, সুতানটি এবং কলকাতা নামে তিনটি গ্রামজুড়ে ইংরেজরা তখন পত্তন করলেন ‘কলকাতা’ নামের নতুন একটি শহর। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শহরটিকে লন্ডনের অনুকরণে গড়ে তোলার নীলনক্শা করেন তারা; সেভাবে এগিয়ে যায় সবকিছু।

সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী দিনেমার, পর্তুগিজ আর ফরাসিদের মোকাবেলা করার জন্য ব্রিটিশরা গোবিন্দপুর খাঁড়ির কাছে একটি দুর্গ বা ফোর্ট নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। ১৭০২ সালে তারা সমাপ্ত করে পুরোনো ফোর্ট উইলিয়ামের নির্মাণকাজ এবং বাংলা প্রেসিডেন্সির মূল কেন্দ্র বলে ঘোষণা দিল কলকাতাকে।

১৭৫৬ সালে ফরাসি বাহিনীকে হারানোর পর ইংরেজরা দুর্গের বিভিন্নমুখী উন্নয়ন সাধন করে। তারপর ১৭৫৭ সালে ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ উদ্দৌল্লার বিশাল বাহিনীকে দেশীয় স্বার্থান্বেষী মহলের হঠকারিতা আর কূটকৌশলে পরাজিত করে ইংরেজরা দখলে নেয় বাংলা-বিহার-ওড়িশার শাসনক্ষমতা।

এই গোবিন্দপুর খাঁড়ি দিয়ে জাহাজ চলাচলের সুবিধার জন্য এটিকে কেটে প্রশস্ত করা হয়। গ্রামের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সাহেবরা যখন আসেন, তখন গ্রামের জেলেরা নিজেরা কথা বলার সাহস না পেয়ে ব্রাহ্মণ দুজনকে সামনে এগিয়ে দেয়। ব্রাহ্মণ দেবতুল্য, তাই গ্রামের মানুষ তাঁদের ‘ঠাকুর’ বলে ডাকে। সাহেবরা সঠিক উচ্চারণ করতে পারে না, তাঁরা বলেন টেগোর। এভাবেই ঠাকুর শব্দটির ইংরেজি উচ্চারণ হয়ে যায় টেগোর, যা চলে আসছে অদ্যাবধি।

শুরুর দিকে পঞ্চানন ও শুকদেব সাহেবদের জাহাজে মালপত্র সরবরাহ করতেন। তারপর সাহেবদের সঙ্গে ভালোমতো পরিচয় হয়ে যাওয়ার সুবাদে আরও নানা রকম কাজের ভার পেতে লাগলেন তাঁরা। নতুন শহরে তখন অনেক রকমের কর্মোদ্যম চলছে। সিরাজ উদ্দৌল্লা হঠাৎ এসে কলকাতার কেল্লা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ইংরেজরা ময়দানের ফাঁকা জায়গায় মজবুত করে তৈরি করে নতুন কেল্লা বা ফোর্ট উইলিয়াম।

এসব কাজের ঠিকাদারির ভার পান ওই দুই ঠাকুরের পুত্র ও পৌত্রেরা। ঠাকুরদের তখন এতই ধনসম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছিল যে, শোনা যায়, দুর্গম বন-জঙ্গল সাফ করে তাঁরা সেখানে একটি বাগানবাটি প্রস্তুত করেন, পরে সেখানেই তৈরি হয়েছিল ওই নতুন কেল্লা। এটাই কলকাতা নগরী পত্তনের সঙ্গে ঠাকুর পরিবারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

মূলত গভর্নর জেনারেল রিচার্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৭-১৮০২) পাঁচ বছরের মধ্যে কলকাতাকে যথেষ্ট পরিবর্ধন করেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভবন নির্মাণ করে কলকাতার জন্য আনয়ন করেন ‘প্রাসাদের নগরী’ অভিধা। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীজুড়ে এই কলকাতা নগরী ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য ও রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র। এই ধারা যথারীতি অব্যাহত থাকে পরবর্তী সময়েও।

১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের আগ পর্যন্ত কলকাতা ছিল অবিভক্ত বাংলার (বর্তমান ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ) প্রাদেশিক রাজধানী। ১৭৭২ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত কলকাতা ছিল ব্রিটিশ রাজশক্তির অধীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের রাজধানী। সেই সুবাদে ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী এই কলকাতা শহর থেকেই পুরো ভারতবর্ষ (ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) শাসন করত। কলকাতার বিশাল বিশাল অট্টালিকা সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। কলকাতাকে বর্তমান ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী এবং পূর্ব ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বলেও অভিহিত করা হয়। বাংলা সাহিত্যের পীঠস্থানও বলা হয় শহরটিকে।

হুগলী (স্থানীয়ভাবে যার নাম গঙ্গা) নদীর পূর্ব তীরে (পশ্চিমে হাওড়া শহর) অবস্থিত বাঙালির এই প্রিয় শহরটিতে বর্তমানে প্রায় ২ কোটি মানুষ (৬৩ শতাংশ অবাঙালি এবং ৩৭ শতাংশ বাঙালি) বাস করে, যা ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রোপলিটন শহরের মর্যাদা পেয়েছে। কলকাতা ও হাওড়া শহর দুটি রবীন্দ্র সেতু (হাওড়া ব্রিজ), বিদ্যাসাগর সেতু (হুগলি ব্রিজ) এবং বিবেকানন্দ সেতু (বালি ব্রিজ) দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য, তিন মহান বাঙালির নামে তিনটি সেতুর নামকরণ করা হয়েছে গত শতাব্দীর শেষ দিকে। কয়েক বছর আগে দক্ষিণেশ্বরের কাছে নিবেদিতা সেতু নামে আরো একটি ব্রিজ করা হয়েছে এই গঙ্গা নদীর ওপর।

কলকাতা শহরটির নামকরণ নিয়ে রয়েছে বহুমুখী বিতর্ক। অনেকের মতে কালীক্ষেত্র (Land of Kali-the Goddess) থেকে কলকাতা নামকরণের উৎপত্তি হয়েছে। অন্য মতে, সমতলভূমির অপর নাম বাংলা ‘কিলকিলা’ থেকেই কলকাতা শব্দের উদ্ভব। আবার স্থানীয় শব্দ ‘খালকাটা’ থেকেও কলকাতার নামকরণ হতে পারে বলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেন। যদিও শহরটির নাম বাংলা উচ্চারণে ‘কলকাতা’ বা ‘কলিকাতা’, ইংরেজরা দাপ্তরিক ইংরেজি উচ্চারণে ‘ক্যালকাটা’ ব্যবহার করত, যা ২০০১ সালে কলকাতার বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের দীর্ঘদিনের উদ্যোগ আর আন্দোলনের মুখে ইংরেজিতেও ‘কলকাতা’ করা হয়। এই পদক্ষেপকে ব্রিটিশ রাজের দাসত্ব থেকে মুক্তির একটি ধাপও বলা যায়।

১৬৯০ সালে বাংলায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমনের মাধ্যমে এই শহরটির গোড়াপত্তন হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সেই হিসাবে ওই সময়কার কোম্পানির প্রশাসক জব চার্নককে শহরটির প্রতিষ্ঠাতার কৃতিত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০০৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট এই মর্মে রায় দেন যে, জব চার্নক কলকাতার স্থপতি নয় এবং নগরটির নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠাতা নেই।

১৮৫০ সাল পর্যন্ত কলকাতায় স্পষ্ট দুটি ভাগ লক্ষ করা যেত। চৌরঙ্গীর চারপাশে অবস্থিত ব্রিটিশ-অধ্যুষিত অঞ্চলকে বলা হতো সাদা শহর। অন্যদিকে উত্তর কলকাতাকেন্দ্রিক বাঙালি তথা ভারতীয়-অধ্যুষিত অঞ্চলকে বলা হতো কালো শহর। তারপর শহরটিতে দ্রুত শিল্পায়নের (বিশেষত টেক্সটাইল ও পাটশিল্প) ফলে অবকাঠামো খাতে (রেল ও টেলিগ্রাফে) ব্রিটিশ সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করে। সেই কর্মসংস্থানের সুবাদে বাঙালি বাবুদের মধ্যে ইংরেজ অনুগত আমলা, পেশাজীবী ও বিভিন্ন চাকরিজীবী শ্রেণির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে এই ইংরেজি শিক্ষিত বাঙালি বাবুরাই বাংলায় রেনেসাঁস বা পুনর্জাগরণ ঘটান।

ইংরেজি শিখে এই নব্যশিক্ষিত বাঙালি যুবারাই পরিচিত হয় দেশপ্রেমের সঙ্গে, জানতে পারে বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় অধ্যায়, যা তাদের উদ্বুদ্ধ করে স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে। দিকে দিকে তারা গড়ে তোলে বিপ্লবী বাহিনী। তাই বাঙালি যুবকরা পড়ে ইংরেজদের রোষানলে। অথচ তখন ভারতের অন্য প্রদেশের লোকজন প্রায় অচেতন, এমনকি পরিচিত নয় স্বাধীনতা শব্দটির সঙ্গেও।

বাঙালিকে বশে আনতে ১৯০৫ সালে কৌশলে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। এই সিদ্ধান্ত বরং ইংরেজদের জন্য বিপদ ডেকে আনে। কারণ বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে আরো ফুঁসে উঠতে থাকে বাঙালিরা। ফলে ১৯১১ সালে ইংরেজরা বাধ্য হয় বঙ্গভঙ্গ রদ করতে। রাজধানী সরিয়ে নেয়া হয় কলকাতা থেকে দিল্লিতে। কিন্তু বাঙালির হৃদয়ে স্বদেশি মন্ত্রের যে বীজ তখন উপ্ত হয়েছিল, তা-ই পরবর্তী সময়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখে।

এভাবে সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দু এই কলকাতায়ই হয়ে ওঠে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তিভূমি। মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে তৎকালীন ভারতের সব নেতাই কলকাতাকে অত্যধিক গুরুত্ব দিতেন; তাঁরা বুঝতেন বাঙালির গুরুত্ব। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভারতের অন্য প্রদেশের মানুষ স্বীকার না করলেও বাঙালির কারণেই ১৯৪৭ সালে দেশভাগের মাধ্যমে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে।

(চলবে…)


প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব

পঞ্চম পর্ব ষষ্ঠ পর্ব সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব


 

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
গল্প

রত্নাকথন

কান্না শুনে মনে হচ্ছে রত্না মারা গেছে, অথবা মারা যেতে আর কয়েক মূহুর্তের অপেক্ষা মাত্র। রত্নার মায়ের আহাজারিতে ঘুমন্ত গ্রাম

কবিতা

কোহিনূর

কোহিনূর তোমারে ঘেরিয়া জাগে কত স্বপ্ন–স্মৃতির শ্মশান, ভুলুণ্ঠিত লুব্ধ অভিযান; সাম্রাজ্যের অশ্রু, রক্ত, সমাধি, পতন হে হীরক, একে একে করেছ

তেলেনাপোতা আবিষ্কার

শনি ও মঙ্গলের—মঙ্গলই হবে বোধ হয়—যোগাযোগ হলে তেলেনাপোতা আপনারাও একদিন আবিষ্কার করতে পারেন। অর্থাৎ কাজেকর্মে মানুষের ভিড়ে হাঁফিয়ে ওঠার পর