ব্যাঙ ও বাচ্চা ছেলেপুলে

একদা আমাদের হরিচরণের বাগানে কয়েকজন ছেলেপুলে খেলা করছিল। বাগানের একদম মাঝখানে একটা পুকুর। ছেলেপুলেগুলা খেলতে খেলতে ওই পুকুরের ধারে চলে গেল। যেয়ে দেখে, পুকুরে অনেক ব্যাঙ৷ ছেলেপুলেদের ভিতর একজন বলে উঠলো, “ওই দেখ দেখ! ব্যাঙ! চল ব্যাঙ নিয়ে খেলি।”

একথা বলেই ছেলেটি ব্যাঙদের দিকে ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে দিল। তার দেখাদেখি বাকিরাও ঢিল মারতে লাগলো। সেই ঢিলের আঘাতে বেচারা ব্যাঙ-রা আতঙ্কে লাফঝাঁপ শুরু করে দিল। কয়েকটা তো মরেই গেল। অবস্থা বেগতিক দেখে, একটা বৃদ্ধ ব্যাঙ তার মাথাটা জল থেকে তুলে ছেলেপুলেদের উদ্দেশ্যে বললো, “বাচ্চারা, দয়া করে থামো এবার। তোমাদের কাছে যা কিছু খেলা, আমাদের কাছে তাই মৃত্যু।”

উপদেশ: অনেকের কাছে যা নিছক খেলা, তাই অন্যের বড়  ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি

কামাল পাশা

[তখন শরৎ-সন্ধ্যা। আস্মানের আঙিনা তখন কার্বালা ময়দানের মতো খুনখারাবির রঙে রঙিন। সেদিনকার মহা-আহবে গ্রীক-সৈন্য সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইহা গিয়াছে। তাহাদের অধিকাংশ

অস্তচাঁদে

ভালোবাসিয়াছি আমি অস্তচাঁদ, -ক্লান্ত শেষপ্রহরের শশী! -অঘোর ঘুমের ঘোরে ঢলে যবে কালো নদী-ঢেউয়ের কলসী, নিঝ্ঝুম বিছানার পরে মেঘবৌ’র খোঁপাখসা জোছনাফুল

হাসির গল্প

শেয়ালসা পীরের দরগা

রহিম এক ঝাঁকা সুপারি নিয়ে হাটে যাচ্ছিল। মাঠের মধ্যে যেখানে তিন পথ একত্র হয়েছে সেখানে শেয়ালে পায়খানা করে রেখেছে। এইখানে

যে কারণে ছোটগল্প পাঠ করবেন

বর্তমান সময়ে ছোটগল্পকে শুধুমাত্র একটা কথাতেই সঙ্গায়িত করা যায়, সে হচ্ছে, এগুলো ছোট। কিন্তু এই ছোট অর্থ কিন্তু শুধুমাত্র শব্দসংখ্যা