ডিসি কমিকসের সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ চরিত্র


এখনকার সময়টা কমিকবুকের। কেউ হয়তো বলতে পারেন এখন তো লাইভ একশন ফিল্মের যুগ। এটাতো অবশ্যই। তবে খেয়াল করলে দেখবেন, লাইভ একশন ফিল্মগুলোর মধ্যে কমিকবুক নির্ভর ফিল্মগুলো এখন চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাই এই যুগকে কমিকবুক যুগ বলছি। যে যুগে এক এক ইউনিভার্সে অসংখ্য চরিত্র আছে যাদের শক্তির কোনো সীমা নেই। আর আজ আমি আপনাদের ডিসি কমিকসের সব থেকে শক্তিশালী দশটি চরিত্র সম্পর্কে বলব, যাদের পুরো ডিসি মাল্টিভার্সে মোকাবেলা করার মতো কেউ নেই। এই দশটি চরিত্রের বেশিরভাগ আপনাদের কাছে অপরিচিত হতে পারে— কেননা ডিসির সকল চরিত্র এখনো ডিসি সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে আসেনি। হয়তো, আমাদের তাদের নিয়ে সিনেমা দেখতে আরও কিছু বছর অপেক্ষা করতে হবে।


১০। সুপারম্যান

সুপারম্যান

অনেকে এটা দেখে অবাক হয়ে যাবে যে, সুপারম্যান এই তালিকায় এতো পিছনে কেনো? ম্যান অব স্টিল খ্যাত সুপারম্যান ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্সে বর্তমানে সব থেকে শক্তিশালী সুপারহিরো। কিন্তু যদি ডিসি কমিকসের পুরো ইউনিভার্সের কথা বলি, তাহলে সুপারম্যান অনেক ডিসির আরও শক্তিশালী চরিত্রের আশে-পাশেও থাকতে পারবে না। সুপারম্যান ক্রিপ্টনের সর্বশেষ সন্তান। যার কাছে আছে অতিমানবীয় শক্তি, এক্স-রে দৃষ্টি, তাপ দৃষ্টি, শীতল শ্বাস, অতি গতি, বর্ধিত শ্রবণশক্তি এবং নিকট অদৃশ্যতা। পেশী শক্তি এবং শারীরিক শাস্তি নেওয়ার ক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রেই সুপারম্যান অত্যন্ত শক্তিশালী। তবে এমন কিছু পাওয়ার আছে যেটা থেকে সুপারম্যানও বাঁচতে পারে না। তার মধ্যে হলো— জাদু এবং টেলিকাইনোসিস।

০৯। মারশিয়ান ম্যানহান্টার

মারশিয়ান ম্যানহান্টার

কিছু বছর ধরে এটা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে— সুপারম্যান এবং মারশিয়ান ম্যানহান্টারের মধ্যে সব থেকে বেশি শক্তিশালী কে? যদি শক্তির কথা বলি— তাহলে সুপারম্যান এবং মারশিয়ান ম্যানহান্টারের ক্ষমতা একই হবে। তবে মারশিয়ান ম্যানহান্টারের কাছে আছে সুপিরিওর মাইন্ড— যেটার কারণে সে অতিমানবিক শক্তি, স্থায়িত্ব, ফ্লাইট, পুনর্জন্ম, শাপশিফিং, অদৃশ্যতা, টেলিপ্যাথি, টেলিকাইনসিস, এক্সট্রাসেনসিয়রি ইনপুট এবং তাপ দৃষ্টির মতো ক্ষমতা পেয়েছে। এমনকি সে যে কারো চেহারায় নিজের চেহারা পরিবর্তনও করতে পারে; তবুও তার অনেক ক্ষমতা সুপারম্যানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

০৮। লর্ডস অব ক্যায়োস এন্ড অর্ডার

লর্ডস অব দ্য ক্যায়োস এন্ড অর্ডার

এখন আমরা ডিসি ইউনিভার্সের সুপারহিরো সার্কেল থেকে বেড়িয়ে মাল্টিভার্সের গড সার্কেল নিয়ে কথা বলছি। লর্ডস অব ক্যায়োস এন্ড অর্ডার অতি মানবীয় শক্তির একটি দল— যারা পুরো ইউনিভার্সে আদেশ এবং ক্রিয়া পরিচালনা করে। এই দলের সব থেকে ক্ষমতাসম্পন্ন সদস্য হলো নাবু— যে অর্ডারকে পরিচালনা করে, আরেক চরিত্র মর্ডরু ক্রিয়াকে পরিচালনা করে। এই গ্রুপের আর একজন পরিচিত মেম্বার আছে সে হলো “উইজার্ড শেঝাম”— যে বিলি বেটশনকে তার ক্ষমতা প্রদান করেছিল। অর্থাৎ শেঝামও লর্ডস অব ক্যায়োস এন্ড অর্ডারের একটি অংশ।

০৭। কিসমেত

কিসমেত

কিসমেত ডিসি ইউনিভার্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ার পরেও তার সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানে। যদি সাধারণভাবে বলি কিসমেত ডিসি ইউনিভার্সের আইডেন্টিটি। কিসমেতের শক্তির কোনো সীমাবদ্ধকতা নেই। কসমিক এনার্জিতে কিসমেতের পুরো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। একবার ডিসি মার্ভেল ক্রসওভার ইভেন্টে কিসমেতকে ডিসির আইডেন্টিটি হিসেবে দেখানো হয় এবং তাকে সবাই ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু ইউনিভার্সকে বাঁচানোর জন্যে একসময় ডিসিকে এই আইডেন্টিটি ছেড়ে দিতে হয়।

০৬। মিস্টার এমএক্সওয়াইজেডপিটিএলকে (MR. MXYZPTLK)

MR. MXYZPTLK

এই চরিত্রের নামের পুরো অর্থ আমার জানা নেই। MR. MXYZPTLK একজন পঞ্চম ডাইমেনিস্ট— বিরক্তকারী হিসেবে যাকে সবাই চেনে। MR. MXYZPTLK ইউনিভার্সের ফিজিক্স এবং ডাইমেনশনের মধ্যে আসে না। আর এই জন্য MR. MXYZPTLK সব কিছু করতে পারে। আর সে সুপরম্যানকে বিরক্ত করতে বেশি পছন্দ করে। MR. MXYZPTLK-এর একটাই দুর্বল পয়েন্ট। আর সেটা হলো যদি সে তার নিজের নাম উল্টো করে বলে— তাহলে সে নব্বই দিনের জন্য বন্দি হয়ে নিজের ডাইমেনশনে চলে যাবে।

০৫। ইক্লিপসো

ইক্লিপসো

ইক্লিপসো একজন সুপারভিলেন। ইক্লিপসো যা ইচ্ছা ধ্বংস করতে পারে। আর এটা করার জন্য তার সোলের কিছু নমুনা ডার্ক ডাইমন্ডে জমা করে রেখেছে। আর যে এই ডাইমন্ডকে স্পর্শ করে, ইক্লিপসো তাকে গ্রাস করে ফেলে। ইক্লিপসো জাদুকরি ক্ষমতা ধারণ করে— যার ফলে তার কাছে অতিমানবীয় শক্তি, অতি গতি, অমরত্ব-এর মতো ক্ষমতা আছে।

০৪। ডিক্রেটর

ডিক্রেটর

ডিক্রেটর এক ইভিল আইডেন্টিটি, যার জন্ম হয় ব্লাকহোল থেকে। একবার ডিক্রেটর আকাশের দিকে তাকায়, তারপর যা কিছু দেখতে পায়, সেগুলোকে ডিক্রেট করতে শুরু করে দেয়। এর অর্থ ইউনিভার্সের ধ্বংস। তবে এটা অনেক স্লো একটা প্রোসেস। যেটা প্রতি নিয়তই হয়ে চলেছে। এটা একটি ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ব্যাপারের মতো। যে জিনিস তৈরি হবে, তার ধ্বংস আছেই— তার পরেও তার এই অসম্ভব শক্তিকে খাটো করে দেখার সক্ষমতা ডিসি ইউনিভার্সে প্রায় নেই।

০৩। মাইকেল ডেমিগোস

মাইকেল ডেমিগোস

ডিসি ইউনিভার্সে যখন ঈশ্বর সবকিছু বানিয়েছে তখন তিনি দুই জনকেও বানিয়েছেন। মাইকেল এবং স্যামুয়েল। স্যামুয়েল নিজের রাস্তায় চলে গেছে। আর তার ভাই মাইকেল পেয়েছে পাওয়ার অব গড বা ঈশ্বরের শক্তি। মাইকেল যা ইচ্ছা করতে পারে। সে ইউনিভার্স বানাতে পারে, আবার ইউনিভার্সকে ধ্বংসও করতে পারে। ডিসি ইউনিভার্সে মাইকেল পুরো ইউনিভার্সকে ছয় বার ধ্বংস করে আবার নতুন করে শুরু করেছে।

০২। স্পেকট্রা

স্পেকট্রা

কিছু ডিসি ফ্যান এটা বলতে পারে স্পেকট্রা থেকে মাইকেল ডেমিগোসের শক্তি বেশি। কিন্তু সমস্যা হলো মাইকেল ঈশ্বরের ছেলে হওয়ায় তার কিছু বাঁধা ধরা নিয়ম আছে। যেটার ক্ষেত্রে স্পেকট্রা সব কিছু থেকে মুক্ত। মাইকেলের মতো স্পেকট্রার শক্তির কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। যার ফলে সে লর্ডস অব ক্যায়োস এন্ড অর্ডার-এর কেউ ধ্বংস করে ফেলে। এছাড়া স্পেকট্রা একবার MR. MXYZPTLK- এর শক্তিও কেড়ে নেয়।

০১। লুসিফার মর্নিং স্টার

লুসিফার মর্নিং স্টার

লুসিফার মর্নিং স্টারকে ডিসি ইউনিভার্সে বেশ কয়েকটা নামে জানা যায়। এর মধ্যে একটি হলো স্যামুয়েল। হ্যাঁ, মাইকেলের ভাই স্যামুয়েল। এছাড়া তাকে ডেড এভিল, ফরেন এন্জেল এবং সেটেম নামেও জানা যায়। লুসিফার পুরো মাল্টিভার্সে সব থেকে শক্তিশালী চরিত্র। সে সব কিছু থেকে একধাপ এগিয়ে থাকে। সে অতীত এবং বর্তমান সম্পর্কে সব কিছু জানে। লুসিফার ইউনিভার্সের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবর্তন করতে পারে।

দ্য প্রেসেন্স

এই হলো ডিসি ইউনিভার্সের সব থেকে শক্তিশালী দশটি চরিত্র। এদের থেকেও শক্তিশালী আর একটি চরিত্র আছে, যাকে এই তালিকায় রাখা হয়নি। কারণ তার শক্তির কোনোই সীমাবদ্ধকতা নেই। তাকে ডিসি ইউনিভার্সের ঈশ্বর বলা হয়। আর তার নাম হলো— দ্য প্রেসেন্স। দ্য প্রেসেন্সের কোনো দুর্বলতা নেই। সে ইচ্ছা করলে এক মুহূর্তে ডিসি ইউনিভার্সের সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে, এমনকি এই তালিকায় থাকা সব মহাশক্তিশালী চরিত্রগুলোকেও।

আপনাদের মধ্যে অনেকে হয়তো ভাবছেন তালিকায় উল্লেখিত এই চরিত্রগুলোকে অনেক সময় অন্য চরিত্রের অনেকেই হারিয়েছে। তবে খেয়াল করলে দেখবেন সেই সব চরিত্রকে এই চরিত্রগুলো বহুবার হারিয়েছে। তারপরও এই তালিকা ছিলো শুধুমাত্র দশ জন শক্তিশালী চরিত্রকে নিয়ে। যেখানে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ওই সকল চরিত্রগুলোকে স্থান দেওয়া যায়নি। হয়তো আরও বেশি চরিত্র নিয়ে লিখলে ওই সব চরিত্রকে নিয়ে আসা যেতো।

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি

কবি

ভ্রমরীর মতো চুপে সৃজনের ছায়াধূপে ঘুরে মরে মন আমি নিদালির আঁখি, নেশাখোর চোখের স্বপনে! নিরালায় সুর সাথি, বাঁধি মোর মানসীর

কবিতা

তবু

সে অনেক রাজনীতি রুগ্ন নীতি মারী মন্বন্তর যুদ্ধ ঋণ সময়ের থেকে উঠে এসে এই পৃথিবীর পথে আড়াই হাজার বছরে বয়সী

গল্প

অ্যান্টিক

মেঘখণ্ডগুলো কালো রং ধারণ করে আকাশ ছেয়ে থেকে থেকে বাঘের মতো গর্জাচ্ছে। যেকোনো সময় ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ শুরু

প্রবন্ধ

মূল্যবোধের কারিগর

প্রাসঙ্গিকভাবেই দুটো বিষয়ের ব্যাখ্যা প্রদান অনিবার্যতার দাবি করে। প্রথমত মূল্যবোধ কী, দ্বিতীয়ত কারিগর বলতে কী বোঝায়। মূল্যবোধ শব্দটির প্রকৃত তাৎপর্য