গিয়াস গালিব-এর চারটি কবিতা
বিসৃত বিকেল
সে-অ্যাক বিসৃত বিকেল, দূরে কোথাও বইছে প্রাচীন হলুদ ঘেরাণ
আবেগের চটি পড়ে কাশফুল দোল খেলে জাঁইর বাগান পেরিয়ে ছুটি শরৎনদীর নাগাদ, প্রাক্তনের মুখাবয়ব খোঁজের মতোন
গাছে কাঁঠাল, কাঁঠালের আঠা নিয়ে পার করি
ফলের আয়ু
খুঁজতে… খুঁজতে…
খুঁজতে… খুঁজতে…
ওঠে আসে নিরামিষ প্লেট, উধাও কাগজের মুখ।
দূতপাখি
ক্যামন আটপৌরে অ্যাকটি-ঘর
মিস্তিরির প্রতি বুড়োআঙুল দেখিয়ে দখিনজানলা বড় হৈতে হৈতে খুলে যায়
এমন বৃষ্টিস্নাত দুপ্রে
আউলাঝাউলা কদমফুলের বৈয়ারে ভিজে আড়াল
উড়ো উড়ো দূতপাখি
শোন হে চুদির ভাই, মৃত্যুর খুব কাছাকাছি শুইয়ে আছি; এ-কাত থেকে ও-কাত হতেই অ্যাকজোড়া কাঁচামরিচ লাল হয়ে আছে সিথানে।
সাপেরা পোশাক পরে
অনেকদিন বাড়ি আসেন না সূর্য
দ্যাখা হওয়ার এরেদা অ্যাখন গোধূলীরোদ
ঘড়ির দহলিজে ধুলো জমে সমুদ্রসফেন
কেটে গ্যালে ফরসা মেঘ
জল ছাপছাপ পথে ক্ষীণমন
ভাঙাচোরা আয়ু, বিরক্ত অ্যাসে যদি বিরক্তি ঠ্যাকায়
খুচরো কিছু দৈত্যবাতাস ল্যাপ্টে আছে নদী কখনোসখনো কাশবনে দোল খায় ছিনালালো;
সেদিন— জোছনার সকাল
টেবিলে কাঁপো কাঁপো মিতব্যয়ী শব্দ
নদীর তর্জনী ইশারা—
সুপারিপাতার ঘেরের ওপারে অর্ধনগ্ন অ্যাকজোড়া ফুলজৌরা সাপ,
ভাঙাভাঙা চোখে কষাকল চ্যাপে যায়।
পেয়ে পেয়েও পাই না তারে
চেয়ে নরোম হাওয়া— একদৃষ্টে ধরা দ্যায় রৌদফুল, ফুলের ভিত্রে ঢুকে পড়ে আরেক নগ্নবেইল। হামিশা আঙুলগুলো ফন্দি আঁটে বেল্টের ফুটোয় ফুটোয়, জিপারকাটায় বিদ্ধ কামউষ্ণ। সন্নিকটে খুব করে আজ বইছে মাতাল ফ্রক, ফ্রকের হাওয়ায় হাওয়ায় বাজে বেশ্যসুখ। অনন্তর পরিত্যক্ত ডোবায় সাঁতার কাটে কাঁঠালের মেজাজ, বুকের লোমে খেলা করে দুর্গোবিষাদ।