কান্তি ভূষণ তরফদার
জন্ম ১৯৯৭ সালে যশোরে। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত। পাশাপাশি বাংলা নাটকে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
কান্তি ভূষণ তরফদার

অক্সিজেন ও বাঘের রক্ষিতা

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

অক্সিজেন


আমাদের ফুসফুস যখন ভর্তি ছিল
বিশুদ্ধ অক্সিজেনে, তখন আমাদের
মগজজুড়ে ছিলো ঘৃণার চাষাবাদ।
প্রতিহিংসার আগুনে আমরা পুড়িয়েছি
ঘর, দেবালয়, আর আমাদেরই স্বজাতিকে।
জাত্যাভিমানে জর্জরিত আমাদের হিংস্র মনন
আঘাত করেছে অভিন্ন ঈশ্বরের আলাদা সত্ত্বাকে।
আমাদের ফুসফুসে এখন বাতাসের সংকট,
একেকটা নিঃশ্বাস ভীষণ দামী।
পোড়া প্রার্থনালয়ে বসে ঈশ্বর হাসে; আর ভাবে –
যখন আবার সবল হয়ে উঠবে তোমাদের ফুসফুস, ঠিক তখনি…
তোমাদের জান্তব নিঃশ্বাসে বিষাক্ত হবে ধরণী।


বাঘের রক্ষিতা


মধ্যবয়সী বাঘ ছিঁড়ে খেলো একটি যুবতী হরিণকে।
নির্জন প্রান্তরে নিতান্ত অবহেলায় পড়ে রইল
হরিণীর মৃতদেহ।
মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ল মৃতদেহটির উপর;
ব্যবচ্ছেদ করতে লাগলো ছেঁড়াফোড়া শবটিকে।
অভিশাপ দিতে লাগলো হরিণীর লোভ আর নিয়তিকে।
গুচ্ছ গুচ্ছ গালি নিক্ষিপ্ত হলো নিষ্প্রাণ হরিণীর উপর।
সব শেষে জনরায়ে প্রতীয়মাণ হলো, হরিণীটি বাঘের রক্ষিতা;
বাঘ চাইলেই ওর সাথে যা খুশি করতে পারে।
কেউ বাঘটির ধারে-কাছেও ঘেঁষলো না।
কারণ বাঘের গর্জন অনেকদূর পর্যন্ত পৌঁছায়।

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu