ফারা দিবা

নির্বোধ ও প্রার্থনা

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

ফারা দিবার দুটি কবিতা


প্রার্থনা


হে প্রভু,
আমাকে একা করে দাও,
সুপ্ত, আলোকিত, অযাচিত সব বাসনাকে করো ঠুনকো।
উমেদগুলোকে করো ভঙ্গুর
স্বপ্নগুলো হোক চুরমার, নিরঙ্কুর ।
নতুন-প্রাচীন কিংবা জোয়ান- প্রবীণ
সবাই হোক পর,
কেড়ে নাও তুমি সব শান্তির প্রতীক, সাদা রং আর
উড়বে না-তো ওই পায়রার জোড়।
বিকল হোক সব সন্ধি-চুক্তি , থেমে যাক ওই কালির কলম,
মিছরির ছুরি হয়ে বেঁচে আছে যারা
হয়ে যাক সব অমর।
আমাকে অবাধ্য করো, করো নিষ্ঠুর ,
করো নিষ্করুণ আর পাষাণী।
বধির হয়েছো নাকি?
এত এত ডাকি দয়া নিয়ে নাও, মায়া নিয়ে নাও,
আর আছে যা সব নাও সব।
দিনের পর দিন প্রহরের পর প্রহর
তবে কেন বুকে জমে শূল?
যদি কেড়েই না নেবে তাহলে কেন দিলে না মায়া?
তপ্ত রোদে অশ্বত্থের মতো মনগুরুর এক ছায়া?
সকলে আসবে দেখবে আর দেবে অট্টহাসি
শেখাবে না কেউ!
বলবে দাও ভাসান, গা ভেজাও স্রোতে
সকলে বলে ভাসো, কিন্তু ডুবতে বলে না।
তুমি আমাকে ডুবতে শেখাও,
ডুব শেষে
ভাসা যে অনিবার্য ।


নির্বোধ


সকাল,
সূর্যোদয়ের ঠিক পরের মুহূর্ত।
যার আগমনে মন ক্রমশ ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে,
মনের প্রফুল্লতা প্রচ্ছন্নে হারায় নিমেষে।
কবোষ্ণ তাপ শিখা সময়ের আবর্তে হয়ে ওঠে
লেলিহান।
ধীরে ধীরে দেখায় তার রুদ্ররূপ,
আবার কালান্তে হারায় সন্ধ্যের অন্ধকারে।
এমন-ই হয়,
এই ভবিতব্য ।
তবে পক্ষান্তরে সকালের মিষ্টি রোদের ভক্ত আমি;
কারণ তার স্থায়ীত্ব খুবই সামান্য–
সামান্যের প্রেমে পড়া পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বোকামি ।
তাহলে ঘটা করে বলাই যায়–
শুভ সকাল,
আমি এক বোকা বলছি।


 

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu